ক্যাডেট কলেজে ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া টাঙ্গাইলের শাহীন স্কুলের ২১ শিক্ষার্থীকে হেলিকপ্টারে করে টাঙ্গাইলের আকাশে ভ্রমণ করানো হয়েছে। পাখির চোখে টাঙ্গাইল শহর ও আশপাশের এলাকা দেখে কৃতী শিক্ষার্থীরা ভীষণ উচ্ছ্বসিত। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে শিক্ষার্থীদের এই হেলিকপ্টার ভ্রমণের আয়োজন করে টাঙ্গাইলের শাহীন স্কুল কর্তৃপক্ষ।

বেলা তিনটার দিকে শহরের ঈদগাহ মাঠে হেলিকপ্টার এসে পৌঁছায়। সেখানে আগে থেকেই শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবকেরা অপেক্ষা করছিলেন। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) সঞ্চয় কুমার মহন্ত শিক্ষার্থীদের হেলিকপ্টার ভ্রমণের উদ্বোধন করেন। এরপর একে একে চারজন করে শিক্ষার্থী হেলিকপ্টারে উড়ে ঘুরে দেখে টাঙ্গাইল শহর, যমুনা নদী ও আশপাশের এলাকা। ২১ জন শিক্ষার্থী ছাড়াও শিক্ষক ও অভিভাবকদের মধ্য থেকে লটারির মাধ্যমে চারজনকে হেলিকপ্টারে ভ্রমণের সুযোগ দেওয়া হয়।

হেলিকপ্টার ভ্রমণ করে উচ্ছ্বসিত শিক্ষার্থী নাজমুস সাকিব বলে, ‘হেলিকপ্টারে ওঠার পর ভয় ভয় লাগছিল, আবার মজাও লাগছিল। ওপর থেকে আমাদের শহর অনেক সুন্দর দেখা গেছে।’ অপর শিক্ষার্থী আরিফা বলে, ‘আকাশ থেকে আমাদের শহর দেখে খুব মজা পেয়েছি। বড় বড় বিল্ডিংগুলোকেও অনেক ছোট দেখা গেছে।’

শাহীন শিক্ষা পরিবারের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান মুহাম্মদ মাছুদুল আমীন শাহীন বলেন, ‘আমি শিক্ষার্থীদের কথা দিয়েছিলাম, যারা ক্যাডেট কলেজের ভর্তির লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে, তাদের হেলিকপ্টারে ভ্রমণ করাব। ওদের দেখে অন্যরাও যাতে ভালো ফলাফলে উদ্বুদ্ধ হয়, সে জন্য আমি এ আয়োজন করেছি।’

এর আগে সকালে শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে শাহীন শিক্ষা পরিবারের উদ্যোগে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা, পুরস্কার বিতরণ ও পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়। এর উদ্বোধন করেন টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো.

মিজানুর রহমান। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন (টুকু)। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক সদস্যসচিব মো. মাহমুদুল হক (সানু), জেলা যুবদলের আহ্বায়ক খন্দকার রাশেদুল আলম প্রমুখ।

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ