নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে জবির প্রথম ফেজের কাজ: উপাচার্য
Published: 10th, February 2025 GMT
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজ নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে বলে জানিয়েছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম। তিনি বলেছেন, আমরা আশা করি নির্দিষ্ট সময়ের আগেই শেষ হবে প্রথম ফেজের কাজ। সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জোরালো তৎপরতা রয়েছে। তবুও আমাদের সিদ্ধান্তগুলো সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনী, ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে হবে।
আজ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সভাকক্ষে সকালে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসন ও হল নির্মাণ বিষয়ে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, সেনাবাহিনীর পিডি, বিভিন্ন রাজনৈতিক ছাত্র নেতৃবৃন্দ ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রথম ফেজের কাজের অগ্রগতি, বাধা ও পরবর্তী কার্যাবলি নিয়ে আলোচনা করেন আলোচকরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বানী ভবন ও হাবিবুর রহমান হলের জায়গায় অস্থায়ী আবাসনের পরিবর্তে স্থায়ী আবাসন নির্মাণের দাবি জানান।
সভায় সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইফতেখার বলেন, কয়েকবার আমরা জায়গাগুলো পর্যবেক্ষণ করেছি। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করছি। কিন্তু স্থানীয় পর্যায় থেকে কিছু আপত্তি আসছে। সেগুলো বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে কাজ ধাবমান হবে। স্থানীয়দের বিভিন্ন রকম মতামত আছে। তবে আমরা আশাবাদী ২০২৬ এর মধ্যেই আমরা প্রথম ফেজের কাজ শেষ করতে পারবো। দুইটি স্টিল স্টাকচার বিল্ডিংয়ের মাধ্যমে আমরা কাজ করতে পারি। এছাড়া স্থায়ী আবাসনের জন্য আমাদের কিছু বাধা রয়েছে।
এ সময় লোকাল কমিউনিটির সাথে আলোচনা করে সমাধানের প্রস্তাব রাখেন জবি ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল। তিনি বলেন, আমরা ছাত্র প্রতিনিধিরা সবাই একত্র হয়ে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করে সমাধান করতে পারি। আমরা আশা রাখি তাদের সাথে কথা বললে তারা বুঝবে। আমরা তাদের বোঝাতে সক্ষম হবো।
সার্বিক অবস্থা জানিয়ে শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড.
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি আসাদুল ইসলাম বলেন, শুধু ছাত্রীদের জন্য নয়। ছাত্রদের জন্যেও হল প্রয়োজন।
শাখা ছাত্রদলের সদস্য সচিব সামসুর আরেফিন বলেন, আমাদের মুল ক্যাম্পাসকে কেন্দ্র করেই আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম গড়ে তুলতে হবে।
সংস্কার কমিটি সদস্য নওশিন নাওয়ার জয়া বলেন, আমাদের ছাত্রীদের জন্য একটা হল আছে। সুতরাং ছেলেদের হলটা বেশি প্রয়োজন।
শিক্ষার্থীদের এ সকল দাবির প্রেক্ষিতে ঢাকার এডিসি পারভেজ বলেন, আমরা চেষ্টা করছি আইনগত কাঠামোর মধ্যে কিভাবে ফ্যাসিলিটেট করা যায়।
আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমিন, শিক্ষার্থী সংশ্লিষ্ট কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন, নাসির আহমেদ, প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক, ছাত্রকল্যাণ পরিচালক ড. কে এম রিফাত, হল প্রোভোস্ট অধ্যাপক ড. আঞ্জুমান আরা বেগম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রথম ফ জ র ক জ আম দ র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে রায় পুনর্বিবেচনার আবেদনের পরবর্তী শুনানি বুধবার
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের ‘ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স’ নিয়ে আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের (রিভিউ) ওপর পরবর্তী শুনানির জন্য আগামীকাল বুধবার দিন রেখেছেন আপিল বিভাগ। আজ মঙ্গলবার শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন ছয় সদস্যের বেঞ্চ পরবর্তী ওই দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ১৮ মে শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ শুনানির জন্য ১ জুলাই দিন ধার্য করেছিলেন। ধার্য তারিখে বিষয়টি শুনানির জন্য রিভিউ আবেদনকারী পক্ষের আইনজীবীর সময়ের আরজির পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ ১৫ জুলাই পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন। আজ বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স সংশোধন করে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। পরে ২০১৬ সালের ১০ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়। রায়ে রাষ্ট্রের সাংবিধানিক পদধারীদের পদক্রম ওপরের দিকে রাখা ও অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়। পাশাপাশি জেলা জজদের পদক্রম আট ধাপ উন্নীত করে সচিবদের সমান করা হয়।
আপিল বিভাগের রায়ের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতির পদক্রম এক ধাপ উন্নীত করে জাতীয় সংসদের স্পিকারের সমান এবং রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (স্বাধীনতা পুরস্কার, একুশে পদক ও মহান স্বাধীনতাসংগ্রামে অংশগ্রহণ করে যে মুক্তিযোদ্ধারা বীর উত্তম খেতাব পেয়েছেন) পদক্রমে যথাযথভাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে উল্লেখ করা হয়।
ওই রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) তৎকালীন চেয়ারম্যান ২০১৭ সালে পৃথক আবেদন করেন। রিভিউ আবেদনে রাষ্ট্রের ৯০ জন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল পক্ষভুক্ত হন। পুনর্বিবেচনা চেয়ে করা আবেদনের ওপর গত ২৭ এপ্রিল শুনানি শুরু হয়।
আজ আদালতে রিভিউ আবেদনকারী মন্ত্রিপরিষদ সচিবের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী সালাহ উদ্দিন দোলন শুনানি করেন। রিট আবেদনকারী পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী প্রবীর নিয়োগী এবং ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম শুনানিতে অংশ নেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী, ১৯৮৬ সালে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরি করে। রাষ্ট্রপতির অনুমোদনের পর একই বছরের ১১ সেপ্টেম্বর তা জারি করা হয়। পরে বিভিন্ন সময়ে তা সংশোধন করা হয়।
সর্বশেষ সংশোধন করা হয় ২০০৩ সালের ডিসেম্বরে। সংশোধিত এই ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স তৈরির ক্ষেত্রে সাংবিধানিক পদ, সংবিধান কর্তৃক স্বীকৃত ও সংজ্ঞায়িত পদগুলো প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের নিচের ক্রমিকে রাখা হয়েছে—এমন উল্লেখ করে এর বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের তৎকালীন মহাসচিব মো. আতাউর রহমান ২০০৬ সালে রিট করেন।
রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১০ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট আট দফা নির্দেশনাসহ ১৯৮৬ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (সংশোধিত) অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন। হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ২০১১ সালে আপিল করে। এ আপিলের ওপর শুনানি শেষে ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি আপিল বিভাগ রায় দেন। এ রায় পুনর্বিবেচনা চেয়ে ২০১৭ সালে করা আবেদনের ওপর শুনানি চলছে।