মাসব্যাপী ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি শুরু করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) সুহৃদ সমাবেশ। ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টায় শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবন চত্বরে ‘ক্লিন ক্যাম্পাস, সেভ ক্যাম্পাস’ এ স্লোগানকে সামনে রেখে জেলা প্রশাসনের সপ্তাহব্যাপী কর্মসূচি শুরুর পর সুহৃদরা এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখেন। কর্মসূচি উদ্বোধন করেন বারি উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব।

বক্তব্য দেন উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) প্রফেসর মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) প্রফেসর মোহা.

ফরিদ উদ্দীন খানসহ শিক্ষক প্রতিনিধিরা। উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর মো. মাহবুবর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা ড. মো. আমিরুল ইসলাম, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর মো. আখতার হোসেন মজুমদারসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও স্বেচ্ছাসেবকরা।

উপাচার্য প্রফেসর সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ক্যাম্পাসে এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানের কার্যক্রম চলমান থাকবে। ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আমাদের সবার দায়িত্ব। এ অভিযান সবসময়ের জন্য চালু রাখতে হবে। যাতে এ ক্যাম্পাস পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমরা ময়লা-আবর্জনাগুলো যত্রতত্র না ফেলে ক্যাম্পাসে যেখানে ডাস্টবিন আছে সেখানে ফেলব। এ জন্য আমাদের অভ্যাসের পরিবর্তন আনতে হবে। খাবারের পরিত্যক্ত প্যাকেট ও অন্যান্য বর্জ্য কেউ যেখানে-সেখানে ফেললে আমরা তখনই তার প্রতিবাদ করব। প্রয়োজন হলে আমরা ক্যাম্পাসে ডাস্টবিনের সংখ্যা বাড়িয়ে দেব।

অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন বলেন, ক্যাম্পাসে যেসব দোকান আছে এর আশপাশে প্লাস্টিক, পলিথিন প্যাকেট ও ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অধ্যাপক মো. ফরিদ উদ্দীন খান বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবার দায়িত্ব এ ক্যাম্পাসকে পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর রাখা। সুস্থ থাকতে হলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিকল্প আর কিছু নেই। এ সময় ক্যাম্পাসে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতন হতেও তিনি আহ্বান জানান।

রাবি সমকাল সুহৃদ সমাবেশসহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতায় অংশ নেয়। প্রশাসন ভবন চত্বর ছাড়াও তারা গ্রন্থাগার চত্বর, একাডেমিক ভবন ও আবাসিক হল এলাকা এবং রাস্তায় পড়ে থাকা ময়লা-আবর্জনাও পরিষ্কার করে।

এ সময় সমকাল সুহৃদ সমাবেশ, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এ পরিচ্ছন্নতা অভিযানে অংশ নেয়। এ পরিচ্ছন্নতা অভিযান সপ্তাহব্যাপী চলে এবং সুহৃদ সমাবেশের সদস্যরা 
 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: উপ চ র য

এছাড়াও পড়ুন:

বন্ধুদের নিয়ে ‘উড়াল’

আট বছর আগে জোবায়দুর রহমানকে গল্পটা শুনিয়েছিলেন সম্রাট প্রামানিক। জোবায়দুর তখন সহকারী পরিচালক, স্বপ্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা হওয়া। কয়েক বছর পর সত্যি সত্যিই যখন সিনেমা নির্মাণের কথা ভাবলেন, শুরুতেই তাঁর সেই গল্পের কথা মনে পড়ল। সম্রাটকে ফোন করলেন জোবায়দুর, চায়ের দোকানে বসে আবারও গল্পটা শুনলেন। ঠিক করলেন, এ গল্প থেকেই ছবি বানাবেন তিনি।

পেশাদার কোনো প্রযোজকের কাছে যাননি জোবায়দুর, নিজেরাই স্বাধীনভাবে ছবিটি নির্মাণ করেছেন; পাশে ছিলেন ভাই-বন্ধুরা। নির্মাতা বললেন, ‘এটাই আমার প্রথম নির্মাণ, আগে কোনো কাজ করিনি। কী করা যায়? আশপাশের ভাই–বন্ধুদের সঙ্গে আলোচনা করলাম। শরীফ সিরাজ, সম্রাট প্রামানিক, জহিরুল ইসলামসহ তিন-চারজন মিলে কাজটা শুরু করি।’ তাঁরা কেন বিনিয়োগ করলেন? এমন প্রশ্নের জবাবে নির্মাতা জোবায়দুর বলেন, ‘গল্পের কারণে আগ্রহী হয়েছেন তাঁরা।’

শুটিংয়র ফাঁকে তোলা ছবি

সম্পর্কিত নিবন্ধ