বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি বলেছেন, ‘‘দেশের একটি দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপি শিক্ষকদের ন্যায্য দাবির সঙ্গে নীতিগতভাবে একমত। জনগণের ভোটে বিএনপি আবারো রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেলে শিক্ষকদের চাকরি স্থায়ীকরণ এবং সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পর্যায়ক্রমে জাতীয়করণ করা হবে।’’

সোমবার (২০ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আন্দোলনরত শিক্ষকদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করতে এসে তিনি এ কথা বলেন।

এ সময় তিনি বলেন, ‘‘বর্তমান সরকার ঘোষিত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের বাড়িভাড়া ভাতা মূল বেতনের ৫ শতাংশ যথেষ্ট নয়। তাই সরকারকে বিশেষ বিবেচনার অনুরোধ জানাই শিক্ষকদের দাবি মেনে নেয়ার। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ন্যায্য দাবিতে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের রাস্তায় নামতে হবে না।’’

এ্যানি আরো বলেন, ‘‘তারেক রহমান ও বিএনপির কাছে শিক্ষকদের সামাজিক মর্যাদা সবসময়ই গুরুত্ব পেয়ে এসেছে।’’ এ সময় তিনি শিক্ষকদের সুশৃঙ্খলভাবে নয়দিন ধরে কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। 

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, এমপিওভুক্ত শিক্ষা জাতীয়করণ প্রত্যাশী জোটের সদস্যসচিবসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। 

ঢাকা/রায়হান/

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র ব এনপ

এছাড়াও পড়ুন:

জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের কর্মসূচি 

জাতীয়করণের দাবিতে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে দ্বিতীয় দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসার শিক্ষকরা। 

সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা কয়েক হাজার শিক্ষক এই কর্মসূচিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশ স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষক সমিতির ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, সরকারের নানা আশ্বাস সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো জাতীয়করণ করা হয়নি। ফলে দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকরা অনিশ্চয়তা ও বঞ্চনার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন।

স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদরাসা শিক্ষক ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান কাজী মোখলেছুর রহমান বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌‌‌‘‘আমরা বছরের পর বছর ধরে শিক্ষা দিয়ে যাচ্ছি, অথচ সরকারি কোনো সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি না। সরকার যদি আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না করে, তাহলে বাধ্য হয়ে আমরা অনশনসহ কঠোর কর্মসূচিতে যাব।’’

তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘‘দেশের প্রায় ৬৫ হাজার স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসায় কয়েক লাখ শিক্ষক-কর্মচারী কর্মরত, যারা প্রাথমিক শিক্ষার ভিত্তি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। অথচ এই শিক্ষকরা বেতন–ভাতা থেকে শুরু করে কোনো সরকারি সহায়তা পান না।’’

অবস্থান ধর্মঘটে অংশ নেওয়া কয়েকজন শিক্ষক জানান, বেতন না পেয়ে অনেকেই জীবিকা নির্বাহে হিমশিম খাচ্ছেন। শিক্ষার মান ধরে রাখতে তারা ব্যক্তিগত ত্যাগ স্বীকার করেও ক্লাস চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা এই বৈষম্যের অবসান চান। 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সংযুক্ত কওমি মাদ্রাসাগুলো ইতোমধ্যে নানা সুবিধা পেলেও, স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসাগুলো এখনো জাতীয়করণের বাইরে রয়ে গেছে বলে দাবি করেন তারা।

অবস্থান কর্মসূচি থেকে বক্তারা ঘোষণা দেন—সরকার যদি দ্রুত স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা জাতীয়করণের ঘোষণা না দেয়, তবে তারা অনির্দিষ্টকালের জন্য অনশনসহ কঠোর আন্দোলনে নামবেন।

এ সময় শিক্ষকরা ‘শিক্ষক বাঁচাও, শিক্ষা বাঁচাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।

সকাল থেকে রাজধানীর প্রেসক্লাব সংলগ্ন এলাকায় শিক্ষক সমাবেশ চলায় যান চলাচলেও কিছুটা বিঘ্ন ঘটে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।

ঢাকা/এএএম//

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জাতীয়করণের দাবিতে স্বতন্ত্র ইবতেদায়ী মাদ্রাসা শিক্ষকদের কর্মসূচি