বিএনপির কার্যালয়ে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনায় এনসিপির উদ্বেগ
Published: 20th, October 2025 GMT
রাজধানীর গুলশানে বিএনপির চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক জাহিদুল ইসলামের ওপর হামলা, নির্যাতন ও মোবাইল ফোন ভাঙচুরের ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)।
সোমবার (২০ অক্টোবর) এনসিপির মিডিয়া সেলের সম্পাদক মুশফিক উস সালেহীন স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগের কথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনসিপি মনে করে, সাংবাদিকদের ওপর হামলা মানে গণতন্ত্র ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর আঘাত। গণমাধ্যম রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ; তাদের ওপর আক্রমণ জনগণের তথ্য জানার অধিকার কেড়ে নেয়।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দাবি করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে ঘটনাটির নিরপেক্ষ তদন্ত করে দায়ীদের শনাক্ত ও আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর কার্যালয়ে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। গণমাধ্যমকর্মীদের প্রতি সম্মান ও সহযোগিতার পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে।
সাংবাদিকের ওপর হামলার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে কঠোর ব্যবস্থা নিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করার জন্য বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে এনসিপি।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, জাতীয় নাগরিক পার্টি বিশ্বাস করে, মুক্ত সাংবাদিকতা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ছাড়া কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা টিকে থাকতে পারে না। এ ধরনের ঘটনা জনমনে ফ্যাসিবাদী আমলের রাজনৈতিক সংস্কৃতি ফিরে আসার আশঙ্কা তৈরি করে। আমরা জাহিদুল ইসলামসহ সকল নির্যাতিত সাংবাদিকদের পাশে আছি এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন না ঘটে, সে বিষয়ে সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশে গণমাধ্যমকর্মীদের জন্য নিরাপদ পরিবেশ তৈরি করে নাগরিকদের মত প্রকাশ ও তথ্য জানার অধিকার নিশ্চিত করার ব্যাপারে এনসিপি দঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছে।
ঢাকা/রায়হান/রফিক
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক শ র ঘটন র ওপর এনস প
এছাড়াও পড়ুন:
২৭ বছর ধরে তিনি পৃথিবীর পথে হেঁটে বেড়াচ্ছেন
বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ২৯ বছর বয়সে পায়ে হেঁটে বিশ্বভ্রমণে বের হয়েছিলেন ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সাবেক প্যারাট্রুপার কার্ল বুশবি। তিনি ভেবেছিলেন ১২ বছরে শেষ করতে পারবেন দুঃসাহসিক যাত্রা। কিন্তু তার ধারণার চেয়ে দ্বিগুণেরও বেশি সময় লেগেছে । ২৭ বছরের ভ্রমণ শেষে বাড়ি ফিরেছেন ৫৬ বছর বয়সী বুশবি। তিনি ‘গলিয়াৎ এক্সপিডিশন’ এর শেষ পর্যায়ে এসে পৌঁছতে পেরেছেন।
১৯৯৮ সালে চিলির পান্তা অ্যারেনাস থেকে শুরু হওয়া ওই অভিযানে বুশরি দুটি কঠিন নিয়ম মেনে চলেছেন— এই দীর্ঘ যাত্রা কার্ল বুশরি কোনো মোটরচালিত পরিবহণ ব্যবহার করেননি। এবং হেঁটে গন্তব্যে না পৌঁছানো পর্যন্ত বাড়ি ফেরেননি। তিনি পায়ে হেঁটে পাড়ি দিয়েছেন পাতাগোনিয়া ও আন্দিজ পর্বতমালা। একে একে পাড়ি দিয়েছেন মধ্য আমেরিকা, মেক্সিকো ও পুরো যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, মঙ্গোলিয়া এবং এশিয়ার কিছু অংশ।
আরো পড়ুন:
ট্রাভেল পাস ছাড়া সেন্টমার্টিনের টিকিট বিক্রি: কেয়ারি সিন্দাবাদকে জরিমানা
১ অক্টোবর থেকেই কেওক্রাডং যেতে পারবেন পর্যটকরা, মানতে হবে ৬ নির্দেশনা
কার্ল বুশরি পায়ে হেটে পানামা ও কলম্বিয়ার ডারিয়েন গ্যাপ পাড়ি দিয়েছেন। বরফ ভেঙে পার হয়েছেন আলাস্কা ও রাশিয়ার মধ্যবর্তী বেরিং প্রণালি। তিনি কাজাখস্তান থেকে আজারবাইজান পর্যন্ত টানা ৩১ দিন ধরে সাঁতরে পাড়ি দিয়েছেন কাম্পিয়ান সাগর। যাত্রা পথে মোকাবিলা করেছেন ভিসার জটিলতা, রাজনৈতিক বাধা, অর্থনৈতিক সমস্যা এমনকি মহামারিও।
শুরু করেছিলেন মাত্র ৫০০ ডলার নিয়ে। এরপর ক্ষুধা মেটাতে রাস্তার পাশ থেকেও খাবার কুড়িয়ে খেয়েছেন। তার এই সংগ্রামের কথা ছড়িয়ে পড়লে ব্যক্তি ও কোম্পানির পক্ষ থেকে সহযোগিতা পেতে শুরু করেন।
কার্ল বুশবি মনে করেন, ‘পৃথিবীটা আসলে আমাদের ধারণার চেয়ে বেশি দয়ালু ও সুন্দর’। বর্তমানে তিনি হাঙ্গেরিতে। তার শহর হাল থেকে মাত্র ৯৩২ মাইল দূরে। ২০২৬ এর সেপ্টেম্বর তার ভ্রমণ শেষ হওয়ার কথা।
সূত্র: ওয়াশিংটন পোস্ট
ঢাকা/লিপি