সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ আহত ৩০
Published: 13th, February 2025 GMT
সিরাজগঞ্জে দুই মহল্লাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত শহরের পৌর এলাকার মিলনমোড় ও থানারোড এলাকাবাসীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ, বসতবাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে বিকাল ৫টার দিকে ভাঙ্গাবাড়ী মসজিদের সামনে আবারো সংঘর্ষে বাঁধে। এসময় কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ এবং রজমান নামের একজনের বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এসময় সংঘর্ষ থামাতে গিয়ে আহত হয়েছেন জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চু। তাকে উদ্ধার করে শহরের মেডিনোভা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্যান্য আহতদের শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গেছে, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে থানারোড এলাকার একটি বাড়ি নির্মাণকে কেন্দ্র করে মিলনমোড় মহল্লার যুবকদের সাথে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে দুই মহল্লাবাসী।
উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ বিভিন্ন বাড়ী-ঘর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
খবর পেয়ে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুর নেতৃত্বে বিএনপি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কেরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সংঘর্ষ থামানোর চেষ্টা করেন। এসময় বড় একটি ইটের টুকরো বাচ্চুর বুকে লাগলে তিনি গুরুতর আহত হন।
তাকে তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া সংঘর্ষ চলাকালে ফাহিম, সেন্টু ও সোহানসহ অন্তত ৩০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
আহত জেলা বিএনপির নেতা সাইদুর রহমান বাচ্চু বলেন, “দুটি মহল্লার মানুষের মধ্যে ঐক্য বজায় রাখতে সংঘর্ষ থামানোর জন্য ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। এসময় হঠাৎ একটি ঢিল এসে আমার বুকের ডানপাশে লাগে।”
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো.
ঢাকা/অদিত্য/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ থ ম পর স থ ত মহল ল
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে প্রবাসী স্বামীর বাড়িতে স্ত্রীর তালা
সিদ্ধিরগঞ্জে জোর পূর্বক সম্পত্তি লিখে নিতে সন্ত্রাসী দিয়ে নিজাম উদ্দিন নামে এক প্রবাসীর ৬ তলা বাড়িতে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ উঠেছে তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিরুদ্ধে। গত বুধবার (১১ জুন) সিদ্ধিরগঞ্জের গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।
এ ঘটনায় বন্দর থানার গকুলদাসেরবাগ এলাকার আ: বাতেনের মেয়ে ও প্রবাসী নিজাম উদ্দিনের ভাগ্নী মাহমুদা (৪০) বাদী হয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ বাজার এলাকার বাসিন্ধা তার মামী উম্মে হাবিবা বিন্দু (২৬), মামীর বাবা বাবুল (৫০) ও মামীর মা সখি (৪৫) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনকে আসামী করে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে মাহমুদা উল্লেখ করেন, গত ৯বছর পূর্বে আমার মামার সাথে উম্মে হাবিবা বিন্দুর বিবাহ হয়। আমার মামার পরিবারে ২টি পুত্র সন্তান আছে। আমার মামা একজন প্রবাসী। তিনি দীর্ঘদিন ধরে প্রবাসী হওয়ার সুবাদে বিবাদীরা আমার মামার টাকা বিভিন্ন ভাবে অপচয় করিত। গত ৫বছর পূর্বে বিবাদী বাবুল আমার মামার কাছ থেকে জমি ক্রয় ও ব্যবসায়ীক কারণে হাওলাত বাবদ ৩৫ লাখ টাকা নিয়ে যায়।
গত ৩ বছর পূর্বে আমার মামা দেশে এসে তার স্ত্রী বিন্দুর কাছে উক্ত টাকা দাবি করলে তিনি ক্ষীপ্ত হয়ে আমার মামাকে অকথ্য ভাষায় গাল মন্দ করিতে থাকে। এসময় আমার মামা উক্ত বিষয়টি তার শ্বশুর বাবুলকে জানাইলে তারা উক্ত টাকা দিব-দিচ্ছি বলে টালবাহানা করতে থাকে।
এরই উপর ভিত্তি করে গত ২ মাস পূর্বে পুনরায় আমার মামা তার শ্বশুরের কাছে টাকা দাবি করলে তিনি উক্ত টাকা দিবে না মর্মে জানায়। এমনকি আমার মামাকে জানায় আমার মামা যদি সিদ্ধিরগঞ্জের তাঁতখানা এলাকার গোদনাইল মৌজাস্থিত ৬তলা বিশিষ্ট বাড়িটি তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তাকে বড় ধরণের ক্ষতি সাধন করবে।
অভিযোগে মাহমুদা আরো উল্লেখ করেন, গত বুধবার আমার মামার শ্বশুর ও শ্বাশুড়ী সহ আরো ১০/১২ জন সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে গোদনাইল তাঁতখানা এলাকার আমার মামার বাড়ীতে প্রবেশ করে আমার মামার অজ্ঞাতসারে ভাংচুর চালায়।
এসময় উক্ত বাড়ীতে আমার খালা সালেহা (৫০) অবস্থানকালে তারা তাকে বাড়ী থেকে বের করে দেয়। একপর্যায়ে তারা উক্ত বাড়ী তালা বদ্ধ করে চলে যায়। এসময় তারা আমার খালাকে জানায় আমার মামা যদি উক্ত বাড়ী তার স্ত্রীর নামে লিখিয়া না দেয় তাহলে তারা আমার মামাকে জানে মারিয়া ফেলবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযোগের তদন্তকারী সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) হাসান আলী জানান, দুই পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। তবে বাড়িতে তালা দেয়ার বিষয়ে নিজামের স্ত্রী বিন্দু ও তার শ্বশুর বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেছিলাম। তারা অস্বীকার করেছে। যেহেতু বিষয়টি পারিবারিক তাই উভয় পক্ষকে নিয়ে বসে সমাধানের চেষ্টা করা হবে।