চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির জন্য ঘোষিত ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে জায়গা হয়নি লিটন দাসের। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সের কারণে জাতীয় দলের এই অভিজ্ঞ ওপেনারকে রাখা হয়নি মূল দলে। তবে দলের বাইরে থেকেও বাংলাদেশের প্রতি তার সমর্থন অটুট।

বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক পোস্টে লিটন জাতীয় দলকে শুভকামনা জানিয়ে লেখেন, 'আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি ২০২৫-এর এই অসাধারণ দলকে শুভকামনা। আমার বিশ্বাস, আকর্ষণীয় এই টুর্নামেন্টে দল নিজেদের সেরাটা দিয়ে খেলবে। টাইগাররা কীভাবে খেলে, সেটি পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দাও!'

স্কোয়াডে না থাকা নিয়ে তিনি আরও লেখেন, 'আমি দলে নেই, কিন্তু বিষয়টি আমাকে দলের সবচেয়ে বড় সমর্থকে পরিণত করেছে। আমি প্রতিটি রান, উইকেট এবং ক্যাচের জন্য উদযাপন করব। তোমরা ভিন্ন ভূমিকায় তোমাদের এই ১৬তম সদস্যকে পাবে!'

এদিকে, আজ মধ্যরাতে নাজমুল হোসেন শান্তর নেতৃত্বে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে অংশ নিতে দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। সেখানে পৌঁছে ১৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তান শাহিনসের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে টাইগাররা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির মূল পর্ব শুরু হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি। বাংলাদেশের প্রথম ম্যাচ ২০ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ২৪ ফেব্রুয়ারি নিউজিল্যান্ড ও ২৭ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে খেলবে টাইগাররা।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ল টন দ স

এছাড়াও পড়ুন:

মুশফিকের প্রেমকাহিনির মঞ্চে ম্যাথুসের বিদায়ী সুর

* শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২৬ টেস্টে বাংলাদেশের একটাই জয়। সেটি আবার শ্রীলঙ্কাতে। সেই জয় বাংলাদেশের শততম টেস্টে বলে আপনার তা খুব ভালোমতোই মনে থাকার কথা।

* টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের ৬০০ ছাড়ানো একমাত্র স্কোরটি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। সেটিও শ্রীলঙ্কাতে।

* টেস্টে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। হ্যাঁ, হ্যাঁ, সেটিও শ্রীলঙ্কাতেই।

শেষ দুটি আবার একে অন্যের সঙ্গে অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত। দুটি একই টেস্টে। ২০১৩ সালে যে টেস্টে বাংলাদেশের ৬৩৮, সেটিতেই মুশফিকুর রহিমের ডাবল সেঞ্চুরি। টানা ১২ টেস্টে হারার পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ড্র-ও।

এই পুরোনো প্যাচাল খুব বেশি অপ্রাসঙ্গিক লাগবে না, যখন জানবেন ওই টেস্টটা হয়েছিল গল ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে। পশ্চাৎপটে অতিকায় গল ফোর্টের পাথুরে কাঠামো আর দুই পাশে সাগর মিলিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে সুন্দর স্টেডিয়ামের একটি। ২০০৪ সালে সুনামিতে লন্ডভন্ড হয়ে যাওয়ার পর পুনর্জন্ম নেওয়া গলের সেই মাঠেই আজ শুরু বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা প্রথম টেস্ট। শুরু আসলে তিন ধরনের ক্রিকেটেই একে অন্যের নাড়ি-নক্ষত্র বুঝে নেওয়ার লড়াই। যাতে টেস্ট আছে, ওয়ানডে আছে, আছে টি-টোয়েন্টিও। দুই টেস্টের পর সাদা বলের সিরিজে তিনটি করে ম্যাচ।

আরও পড়ুনআমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিনতে হলে এই লেখাটা পড়তে হবে০২ জুন ২০২৫

দুই দল পরস্পরের খুব চেনা। বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ২৬টি টেস্ট খেলেছে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। ঘন ঘন দেখা হলে হৃদ্যতা যেমন হয়, তেমনি রেষারেষিও। বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ক্ষেত্রেও তা-ই হয়েছে। গত কয়েক বছরে এই দুই দল মুখোমুখি হলেই মাঠে বা মাঠের বাইরে উত্তেজনার ফুলকি ছুটেছে। ‘টাইমড আউট’ হয়তো সেটির এক নম্বরে, এর বাইরেও নানা কিছু মিলে লঙ্কা-বাংলা এখন গনগনে এক দ্বৈরথের নাম।

গত চার বছর দুই দলের মধ্যে চতুর্থ টেস্ট সিরিজ। দুই দলের জন্যই রণকৌশল ঠিক করা তাই খুব সহজ হওয়ার কথা। বাংলাদেশ দলের জন্য হয়তো তা থাকছে না শ্রীলঙ্কা দলে নতুনের সমারোহে। ১৮ জনের দলের এক–তৃতীয়াংশই এখনো টেস্ট খেলার অপেক্ষায়। বাংলাদেশ দলেও কিছু পরিবর্তন আছে, তবে তা ধর্তব্যের মধ্যে নয়।

টেস্টের প্রস্তুতিতে গলে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল

সম্পর্কিত নিবন্ধ