ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে একটি বাসকে পেছনে থেকে আরেকটি বাস ধাক্কা দিলে সড়ক নিরাপত্তার টহল গাড়িসহ তিন গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে সুরভি পরিবহনের বাসের অন্তত ১২ জন যাত্রী আহত হয়েছেন। 

এ সময় এক্সপ্রেসওয়েতে অন্তত তিন কিলোমিটার এলাকাজুড়ে আধাঘণ্টা সময় যানচলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শনিবার সকাল ৯টায় এক্সপ্রেসওয়ের নিমতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মাওয়াগামী গ্রিন ঢাকা পরিবহনের একটি বাসকে পেছন থেকে সুরভি পরিবহনের আরেকটি বাস ধাক্কা দেয়। এতে গ্রিন ঢাকা পরিবহনের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তার সামনে থাকা সড়কে নিরাপত্তা ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজে নিয়োজিত টহল গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। এ সময় সুরভি পরিবহনের ১০ থেকে ১২ জন গুরুতর আহত হন।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জিলানী বলেন, দুর্ঘটনায় কয়েকজন আহত হয়েছে। আহতদের বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। 

তিনি জানান, সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। গাড়িগুলো জব্দ করে থানায় নেওয়া হবে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

 

 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: সড়ক দ র ঘটন আহত

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ