টানা আট দিন ভারতের শেয়ারবাজারে সূচকের পতন
Published: 16th, February 2025 GMT
ভারতের শেয়ারবাজারের টানা পতন চলছে। গত শুক্রবার শেষ হওয়া সপ্তাহের সব কটি দিনসহ টানা আট দিন পতন হয়েছে শেয়ার সূচকের। সেদিন সেনসেক্স ১৯৯ দশমিক ৭৬ পয়েন্ট পড়ে নেমেছে ৭৬ হাজারের নিচে (৭৫ হাজার ৯৩৯ দশমিক ২১)। আরেক সূচক নিফটি ১০২ দশমিক ১৫ পয়েন্ট পড়ে ২২ হাজার ৯২৯ দশমিক ২৫ অঙ্কে নেমেছে।
৮ দিনে বিনিয়োগকারীরা হারিয়েছেন ২৫ দশমিক ৩১ লাখ কোটি রুপি। তবে শুক্রবার বেড়েছে ডলারের সাপেক্ষে রুপির দর। প্রতি ডলার ২১ পয়সা কমে হয়েছে ৮৬ দশমিক ৭১ রুপি। বিশ্ববাণিজ্য নিয়ে চিন্তা ও বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পুঁজি প্রত্যাহার সূচক পতনের অন্যতম কারণ হলেও সংশ্লিষ্ট মহলের মতে, ভারত-যুক্তরাষ্ট্র বৈঠকের ইতিবাচক কিছু দিক আছে। আগামী দিনে সেদিকে নজর থাকবে বাজারের।
সংবাদে বলা হয়েছে, বিদেশি বিনিয়োগকারীরা গত সপ্তাহে ভারতের বাজার থেকে ২১ হাজার ৪ কোটি ২৩ লাখ রুপি তুলে নিয়েছেন। এটাই সূচকের পতনের প্রধান কারণ। যুক্তরাষ্ট্রের নীতির পাশাপাশি বিনিয়োগকারীরা বাজার থেকে তেমন সুবিধা করে উঠতে না পারায় এ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। বাজারে সৃষ্টি হয়েছে হতাশা।
ভারতের শেয়ারবাজার থেকে টানা বিনিয়োগ প্রত্যাহার করে নিচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা। দেখা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহেও বিনিয়োগকারীরা ৭ হাজার ৩৪২ কোটি রুপির শেয়ার বিক্রি করেছে। এর আগে গত মাসে তারা বিক্রি করেছিল ৭৮ হাজার ২৭ কোটি রুপির শেয়ার। ডিসেম্বরে অবশ্য তারা কিনেছিল ১৫ হাজার ৪৪৬ কোটি রুপির শেয়ার। সব মিলিয়ে ২০২৪ সালে বিনিয়োগ করেছিল মাত্র ৪২৭ কোটি রুপি।
বাজারমহলের মতে, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের পুঁজি প্রত্যাহারের পেছনে একাধিক কারণ কাজ করছে। সেগুলো হলো শুল্কযুদ্ধের পরিস্থিতি তৈরি হওয়া; এ ধরনের পরিস্থিতিতে ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে আশঙ্কা; ভারতের বাজারে ধারাবাহিক সূচক পতন; পড়তি বাজারে এখনো অনেক কোম্পানির শেয়ারের উচ্চ দর; অক্টোবর-ডিসেম্বরে প্রত্যাশা পূরণ করতে না পারার আর্থিক ফলাফল; চলতি অর্থবর্ষে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধির পূর্বাভাস কমে ৬ দশমিক ৪ শতাংশ হওয়া; মূল্যস্ফীতি নিয়ে চিন্তা বহাল থাকার বার্তা, বিশেষত খাদ্য ও জ্বালানি বাদে অন্যান্য পণ্য নিয়ে; ডলারের সাপেক্ষে রুপির রেকর্ড তলানিতে নামায় বিদেশি বিনিয়োগকারীদের মুনাফা হ্রাস।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: দশম ক
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।