বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের সন্তানেরা এমন এমন সব জায়গায় যায়, যেখানে অনেকের কখনো যাওয়ার সুযোগই হবে না।

বিদেশি নেতাদের সঙ্গে বৈঠক থেকে শুরু করে স্পেসএক্সের উৎক্ষেপণ কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণকক্ষ—সব জায়গাতেই মাস্কের সন্তানদের উপস্থিতি দেখা যায়।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রযুক্তি ধনকুবের ও টেসলার সহপ্রতিষ্ঠাতা মাস্ককে তাঁর প্রশাসনের নবগঠিত গভর্নমেন্ট ইফিসিয়েন্সি বিভাগের দায়িত্ব দিয়েছেন। এই দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটনের বিভিন্ন অনুষ্ঠানেও মাস্কের সঙ্গে তাঁর সন্তানদের দেখা যাচ্ছে।

এমনকি মাস্কের চার বছর বয়সী সন্তান ‘লিল এক্স’-কে গত বুধবার ওভাল অফিসের রেজল্যুট ডেস্কের (মার্কিন প্রেসিডেন্টের ব্যবহৃত ডেস্ক) কোনা ধরে ঝোলাঝুলি করতে দেখা গেছে।

গত বৃহস্পতিবার প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনসংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফররত ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন মাস্ক। তখন সেখানে এক্সসহ মাস্কের তিন সন্তান উপস্থিত ছিল। তারা মোদির সঙ্গে উপহার বিনিময় করে।

ওয়াশিংটনে আসার আগেও মাস্কের সঙ্গে তাঁর সন্তানদের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক–আয়োজনে দেখা গেছে।

তুরস্কের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠক, একটি স্মরণসভা ও টাইম সাময়িকী আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে মাস্কের সঙ্গে তাঁর সন্তানেরা ছিল।

কিন্তু মাস্ক কেন তাঁর সন্তানদের এভাবে সঙ্গে রাখেন?

আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনযোগাযোগ বিভাগের অধ্যাপক কার্ট ব্র্যাডকের মতে, এটা মাস্কের একটি রাজনৈতিক কৌশল। তিনি জনসাধারণের কাছে নিজেকে অনেক বেশি ব্যক্তিত্ববান ও মানবিক হিসেবে উপস্থাপন করতে চান।

তবে ব্র্যাডক মনে করেন, মাস্কের চার বছর বয়সী সন্তানকে ওভাল অফিসে নেওয়ার ঘটনাটি বিরল।

ওভাল অফিসে ৩০ মিনিটের প্রেস ব্রিফিং চলার সময় এক্সকে দেখে মনে হচ্ছিল, সে একঘেয়ে হয়ে উঠেছে। সে তার বাবার দিকে তাকাচ্ছিল, মেঝেতে বসে পড়েছিল।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে ইলন মাস্কের বৈঠক চলাকালে তাঁর সন্তানদের দেখা যায়.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন’, জামায়াত আমিরের দুঃখ প্রকাশ

নারী বিষয়ক কমিশনের রি‌পোর্ট‌কে শরীয়তবিরোধী ও অগ্রহণযোগ্য রিপোর্ট উল্লেখ ক‌রে এর ওপর বুধবার প্রদত্ত বক্তব্যের এক পর্যায়ে একটি শব্দের ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে ব‌লে জা‌নি‌য়ে‌ছেন বাংলা‌দেশ জামায়া‌তে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান।

বৃহস্প‌তিবার (১ মে) নি‌জের ও দ‌লের ফেসবুক পে‌জে এ কথা ব‌লেন তিনি।

এতে তি‌নি জানান, অসাবধানতাবশত ভুল শব্দ চয়ন হয়েছে, যা একান্তই অনিচ্ছাকৃত। এজন‌্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করেন তি‌নি।

আরো পড়ুন:

প্রতিহিংসার রাজনীতিতে শান্তি আসতে পারে না: জামায়াত আমির

দেশকে যে ভালোবাসে, সে দেশ ছেড়ে পালায় না: শফিকুর রহমান

জামায়াত আমির ব‌লেন, “রেইপ হচ্ছে বিবাহবহির্ভূত এক ধরনের জোরপূর্বক শারীরিক সম্পর্ক, যা সাধারণত বৈবাহিক সম্পর্কের বাইরে ঘটে, যেখানে অপরাধী ব্যক্তিটি অসৎ ও দোষী, কিন্তু ভিকটিম সম্পূর্ণ নিরপরাধ।”

“আমি এটাও মনে করি যে, বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যে ‘রেইপ' এর মতো জঘন্য শব্দকে প্রবেশ করানো পবিত্র এই সম্পর্কের জন্য অবমাননাকর এবং দীর্ঘ মেয়াদে দাম্পত্য সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। স্বামী স্ত্রীর ঘনিষ্ঠতার ক্ষেত্রে কারো দ্বারা সীমালঙ্ঘন বা জুলুম সংঘটিত হলে তা স্বাভাবিক বিচারের আওতায় অবশ্যই আনতে হবে। কিন্তু বৈবাহিক সম্পর্কের মধ্যকার কোনো অনাকাঙ্খিত বিষয়কে রেইপ বা ধর্ষণের মতো জঘন্য অপরাধের সাথে তুলনা করা অবাঞ্ছণীয় এবং দীর্ঘ মেয়াদে সমস্যাজনক।”

“আমার এই অনিচ্ছাকৃত শব্দ চয়নের জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি। ইসলামের দৃষ্টিতে নারীর মর্যাদা, নিরাপত্তা ও ন্যায়বিচার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পায় এবং জামায়াতে ইসলামীর অবস্থান সর্বদা সেই মূলনীতির ওপরই প্রতিষ্ঠিত,” ব‌লেও দা‌বি ক‌রেন তি‌নি।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ