পার্বতীপুরের সেই ইউএনওকে ফের রাজশাহীতেই বদলি
Published: 17th, February 2025 GMT
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীদের আন্দোলনের মুখে কার্যালয় ছেড়ে বাসায় বসে দাপ্তরিক কাজ করা ইউএনও ফাতেমা খাতুনকে ফের রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে বদলি করা হয়েছে।
রোববার জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখার উপসচিব মো. আমিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ বদলির আদেশ দেওয়া হয়। এর আগেও তাকে রাজশাহীতে বদলি করা হয়েছিল।
এর আগে গত বুধবার ইউএনও ফাতেমা খাতুনের দুর্নীতির বিচার ও অপসারণ দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও নাগরিক কমিটির নেতাকর্মীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরে তারা ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে তাকে পার্বতীপুর ছাড়তে ২ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন। আন্দোলনকারীদের তোপের মুখে তিনি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় কার্যালয় ছেড়ে তার বাংলোতে অবস্থান নেন এবং সেখান থেকেই দাপ্তরিক কাজ করছিলেন।
উপজেলা জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট (শিক্ষানবিশ) তারিকুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের ১২ মার্চ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে ফাতেমা খাতুন পার্বতীপুর উপজেলায় যোগদান করেন। গত ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলায় ইউএনও পদে বদলির আদেশ পান। কিন্তু তিনি সেখানে যোগদান করেননি। পরে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে বদলির আদেশ পেলেও তদবির করে সেটি বাতিল করে পার্বতীপুরেই থেকে যান।
ইউএনও ফাতেমা খাতুন বলেন, আজও আমি অফিস করেছি। আবারও রাজশাহীতে বদলির আদেশ পেয়েছি। বিষয়টি তিনি জেনেছেন বলে জানান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
মেঘনায় নদীতে অবৈধ বালু তোলায় ব্যবহৃত ৭টি খননযন্ত্র ও ১টি বাল্কহেড জব্দ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তোলায় ব্যবহৃত সাতটি খননযন্ত্র ও একটি বাল্কহেড জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। গতকাল বুধবার বিকেলে আশুগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রাফে মোহাম্মদের নেতৃত্বে সেখানে অভিযান চালানো হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা গেছে, দুর্গাপুর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদী থেকে খননযন্ত্রের মাধ্যমে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ পায় উপজেলা প্রশাসন। এরপর বিকেলে ইউএনও রাফে মোহাম্মদ সেখানে অভিযান চালান। এ সময় অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের প্রমাণ পাওয়া গেলে সাতটি ড্রেজার ও একটি বাল্কহেড জব্দ করা হয়।
জব্দ করা খননযন্ত্রগুলো হলো মেসার্স আবির ট্রেডার্স, আবাবিল ড্রেজিং প্রকল্প, সাকিব সাব্বির লোড ড্রেজার, আতিবা আদিবা লোড ড্রেজার, আল্লাহ সর্বশক্তিমান ড্রেজার, গাউসিয়া লোড ড্রেজার ও জোন শাহ ড্রেজার। এ ছাড়া ‘জিয়া অ্যান্ড সাব্বির এন্টারপ্রাইজ’ নামের একটি বাল্কহেডও জব্দ করা হয়। এগুলো ভৈরব নৌ থানার জিম্মায় রাখা হয়েছে। অভিযানে আশুগঞ্জ থানা ও ভৈরব নৌ থানার একটি দল অংশ নেয়।
রাফে মোহাম্মদ বলেন, মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন পরিবেশ ও নদীর স্বাভাবিক প্রবাহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান চলবে।