ব্রাজিল ৩ : ০ চিলি

আর্জেন্টিনা ২ : ৩ প্যারাগুয়ে

আর্জেন্টিনা-প্যারাগুয়ে ম্যাচ শেষ হতে তখনো কয়েক মিনিট বাকি। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা পিছিয়ে ৩-২ গোলে। কিন্তু এর মধ্যেই গ্যালারির ছোট একটি অংশে শুরু হয়ে গেল হলুদ জার্সি পরা একদল খেলোয়াড়ের উল্লাস আর উদ্‌যাপন। আর্জেন্টিনা ম্যাচের শেষ বাঁশি বাজার পর যা পরিণত হয় শিরোপাজয়ের উচ্ছ্বাসে।

আর্জেন্টিনাকে পেছনে ফেলে আবারও দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জিতল ব্রাজিল। এ নিয়ে টানা দ্বিতীয় এবং সব মিলিয়ে ১৩তমবার দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশের বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্টটির ট্রফি জিতল সেলেসাওরা। অথচ এবারের আসরে ব্রাজিলের শুরুটা ছিল ভুলে যাওয়ার মতোই।

চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার কাছ থেকে ৬ গোল খেয়ে দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু করেছিল ব্রাজিল। সেই ম্যাচে ব্রাজিলের দুর্দশা দেখে সম্ভাব্য শিরোপাজয়ী দলের তালিকা থেকে অনেকেই কেটে দিয়েছিল তাদের নাম। বিপরীতে আর্জেন্টিনাকে অনেকেই তখন সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসেবে দেখা শুরু করেছিলেন। কিন্তু উত্থান-পতনের নাটকীয়তায় সেই আর্জেন্টিনাকে হতাশায় ডুবিয়ে শিরোপা জিতেছে ব্রাজিলই।

আরও পড়ুনশিরোপা জিততে যা করতে হবে ব্রাজিল–আর্জেন্টিনাকে১৩ ঘণ্টা আগে

চূড়ান্ত পর্বে প্রথম ৪ ম্যাচ শেষে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা দুই দলেরই পয়েন্ট ছিল ১০ করে। ফলে শেষ ম্যাচ দিয়েই শিরোপা নির্ধারণের অপেক্ষায় ছিল দুই দল।

ব্রাজিলের উদ্‌যাপন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আর জ ন ট ন ক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ