রাজধানীর মতিঝিলে মোটরসাইকেলযোগে ছিনতাই করে পালানোর সময় ধাওয়া করে পেশাদার ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় ২ সদস্যকে দেশীয় অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির মতিঝিল থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-জাহিদ ওরফে সাব্বির ওরফে হৃদয় খান ও অন্তর মোল্লা ওরফে নাজমুল। এ সময় তাদের হেফাজত হতে ছিনতাইকৃত ৪টি মোবাইল ফোন, ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি চাকু ও একটি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

রবিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে মতিঝিলের ফকিরাপুল চার রাস্তার মোড় এলাকা হতে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, রবিবার রাতে মতিঝিল থানা পুলিশের একটি টহল টিম দায়িত্ব পালনকালে সংবাদ পায় ২ জন ছিনতাইকারী মোটরসাইকেল যোগে ফকিরাপুল কাঁচাবাজার এলাকা হতে ছিনতাই করে ফকিরাপুলের চার রাস্তার মোড়ের দিকে পালিয়ে যাচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশের টহল টিমটি দ্রুত ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে। ছিনতাইকারীরা পুলিশের ধাওয়া খেয়ে মোটরসাইকেলসহ দ্রুত পালানোর সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

মতিঝিল থানা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা ফকিরাপুল এলাকায় ধারালো চাকুর ভয় দেখিয়ে এক পথচারীর কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনতাই করে পালাচ্ছিলেন। এ ঘটনায় মতিঝিল থানায় মামলা হয়েছে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রাপ্ত তথ্য সম্পর্কে আরো জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার ছিনতাইকারী দলের সক্রিয় সদস্য। তারা রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সময় সুযোগ বুঝে মোটরসাইকেলযোগে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে অর্থসহ মূল্যবান মালামাল ছিনিয়ে নিতো মর্মে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে। তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

ঢাকা/মাকসুদ/সাইফ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মত ঝ ল থ ন

এছাড়াও পড়ুন:

তালাকপ্রাপ্ত নারীর ঘরে আটক পুলিশ সদস্য বললেন, ‘কালিমা পড়ে বিয়ে করেছি’

রাজশাহীতে তালাকপ্রাপ্ত এক নারীর ঘর থেকে পুলিশের এক কনস্টেবলকে আটক করেছেন স্থানীয়রা। পরে তাকে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ এপ্রিল) মধ্যরাতে নগরীর তালাইমারি বাদুড়তলা এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।

ওই পুলিশ কনস্টেবলের নাম টি এম নাসির উদ্দিন। তিনি পুলিশের রাজশাহী রেঞ্জের বেইজড ওয়ারলেস অপারেটর। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) দুপুর পর্যন্ত তিনি নগরীর মতিহার থানায় ছিলেন।

ওই কনস্টেবলের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। সেখানে তার স্ত্রী-সন্তান আছে। যে নারীর ঘরে তাকে পাওয়া গেছে তার স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে।

কনস্টেবল নাসির দাবি করেন, আগের স্বামীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর তিনি ওই নারীকে কালেমা পড়ে বিয়ে করেছেন।

মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, ‘‘তালাকপ্রাপ্ত নারী তার মায়ের বাড়িতেই থাকতেন। সেখানে রাতে আমাদের কনস্টেবল যান। তখন স্থানীয়রা দুজনকে ঘরে আটকে রেখে থানায় খবর দেন। আমরা গিয়ে তাদের থানায় এনেছি।’’

ওসি বলেন, ‘‘কনস্টেবল দাবি করেছেন, তিনি কালেমা পড়ে ওই নারীকে বিয়ে করেছেন। আগের স্ত্রীও বিষয়টি অবগত। তবে, বিয়ের কোনো রেজিস্ট্রি নেই। এখন তিনি রেজিস্ট্রি করে নিতে চাচ্ছেন। দুজনে থানায় আছেন। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।’’

‘‘এক্ষেত্রে, কনস্টেবল নাসিরের আগের স্ত্রীর কোনো আপত্তি থাকলে তিনি আইনি পদক্ষেপ নিতে পারবেন।’’- যোগ করেন ওসি আবদুল মালেক।

রাজশাহী রেঞ্জের পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মদ শাহজাহান মিয়া বলেন, ‘‘বিষয়টা আমার জানা নাই। এ রকম হয়ে থাকলে অবশ্যই বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

ঢাকা/কেয়া/রাজীব

সম্পর্কিত নিবন্ধ