ডিসিদের কাছে জনগণের ৩ প্রত্যাশা
Published: 18th, February 2025 GMT
দেশের জনগণ জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) কাছে নিরাপত্তা, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্র ক্রয় ও হয়রানি ছাড়া সরকারি সেবা পাওয়া প্রত্যাশা করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রতিরক্ষা ও জাতীয় সংহতি উন্নয়ন বিষয়ক বিশেষ সহকারী আবদুল হাফিজ।
তিন দিনের জেলা প্রশাসক সম্মেলনের শেষ দিন মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) প্রথম অধিবেশন শেষে তিনি এ কথা জানান।
অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল আবদুল হাফিজ বলেন, “জেলা প্রশাসকরা মাঠ পর্যায়ে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করে। তাদের কাছে জনগণের চাহিদা মূলত তিনটি। এসব প্রত্যাশা আকাশচুম্বী না- যা পূরণ করা যাবে না। তারা নিরাপত্তা চায়, রাতে শান্তিতে ঘুমাতে চায়। চলাফেরা করতে চায়। দ্বিতীয়টি হচ্ছে, ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে জিনিসপত্র কিনতে চায় এবং তৃতীয়টি হচ্ছে, কোনো ধরনের হয়রানি-ঝামেলা ছাড়াই সরকারি সেবাগুলো পেতে চায়।”এগুলোকে সামনে রেখে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে সামরিক বাহিনী সব ধরনের সহায়তা করবে বেসামরিক বাহিনীকে।
দেশের শান্তিশৃঙ্খলা ফেরাতে যতদিন প্রয়োজন হয় ততদিন পর্যন্ত বেসামরিক বাহিনীর সঙ্গে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা এক হয়ে কাজ করবে বলেও জানান তিনি।
লুট হওয়া সব অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, “৫ আগস্টের পর ৬ হাজার অস্ত্র লুট হয়েছিল। এরমধ্যে এখন পর্যন্ত ৩ ভাগ অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। এখনো উদ্ধার হয়নি ১৪০০ অস্ত্র। গুলি লুট হয়েছিল প্রায় ৬ লাখ, এখনো উদ্ধার হয়নি আড়াই লাখ। এসব অস্ত্র ও গুলি সন্ত্রাসীদের হাতে গিয়ে যাতে দেশকে অস্থিতিশীল করতে না পারে সে ব্যাপারে সতর্ক থেকে কাজ করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
প্রধান উপদেষ্টার এই বিশেষ সহকারী বলেন, “আওয়ামী লীগের দোসররা দেশকে অস্থিতিশীল করতে পায়তারা করছে। জেলা প্রশাসকদের সতর্ক নজরদারির মাধ্যমে এদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে কঠোর অবস্থানে থাকার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।”
ঢাকা/হাসান/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া নিয়ে ঐকমত্য না হলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই: এবি পার্টি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নিয়ে আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেছেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলো ঐকমত্যে পৌঁছাতে না পারলে গণভোট ছাড়া উপায় নেই।
জুলাই সনদ বাস্তবায়নের প্রক্রিয়া নিয়ে আজ বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক হয়। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এবি পার্টির চেয়ারম্যান এ কথা বলেন।
ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে মজিবুর রহমান বলেছেন, ‘সংবিধান পরিবর্তন, সংস্কার, সংশোধন, নতুন করে লেখা বা বাতিলের চূড়ান্ত ক্ষমতা জনগণের। আমরা ঐক্যবদ্ধ মতামতের ভিত্তিতে জুলাই সনদ তৈরি করেছি, হয়তো কয়েকটি বিষয়ে কারও কারও “নোট অব ডিসেন্ট” (দ্বিমত) আছে। কিন্তু চূড়ান্ত কোনটা হবে, তা নির্ধারণের মূল ক্ষমতা জনগণের।’
কমিশনের আজকের প্রস্তাবে জুলাই ঘোষণাপত্রের ২২ নম্বর অনুচ্ছেদকে রেফারেন্স আকারে উল্লেখ করায় কোনো কোনো রাজনৈতিক দল ও নেতা জুলাই ঘোষণাপত্রের বৈধতা নিয়ে মন্তব্য করেন। এ বিষয়ে এবি পার্টির চেয়ারম্যান সাংবাদিকদের বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে যাঁরা আজ প্রশ্ন তুলছেন, কাল তাঁরা সংসদে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করবেন এবং এই সনদকে প্রশ্নবিদ্ধ করবেন না, তার নিশ্চয়তা কী?
এবি পার্টির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সানী আবদুল হক বলেন, সংবিধানে এটা নেই, ওটা নেই বলে সংবিধান সংস্কার করা যাবে না—এই ধারণা অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষাপরিপন্থী। রাজনৈতিক দলগুলো যদি জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতির প্রশ্নে নিজেদের অবস্থান থেকে নমনীয় না হয়, তবে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পুরো প্রচেষ্টা মুখ থুবড়ে পড়বে।
আশঙ্কা প্রকাশ করে এবি পার্টির এই নেতা বলেন, এমন পরিস্থিতি জাতিকে এক গভীর সংকটের দিকে ঠেলে দেবে। সুতরাং জাতীয় স্বার্থে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা জরুরি; অন্যথায় গণভোট ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
আরও পড়ুনবর্ধিত মেয়াদের আগেই জুলাই সনদ বাস্তবায়নের পদ্ধতি চূড়ান্ত করতে চায় কমিশন: আলী রীয়াজ৪ ঘণ্টা আগে