মাঘ পেরিয়ে ফাগুনের শুরু। প্রকৃতিতে এখনো শীতের আবহ। এমন সময় দলে দলে কুমিল্লার গোমতী নদীর দিকে ছুটছিলেন কিছু শৌখিন মানুষ। তাঁদের সবার হাতে পলো। শখের বশেই তাঁরা নদীতে এসেছেন মাছ ধরতে। নদীতে নামার পর কারও পলোতে মাছ আটকালে চারদিকে হইহুল্লোড় পড়ছিল। আবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চেষ্টা করেও মাছ না পেয়ে শূন্য হাতেই কাউকে কাউকে ঘরে ফিরতে হয়েছে। এমন দৃশ্যই দেখা গেছে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া গোমতী নদীতে।

শৌখিন মাছশিকারিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শীতের শেষ সময়ে গোমতী নদীর পানি কমে এলে শৌখিন মাছশিকারিরা দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসেন পলো দিয়ে মাছ ধরার ঐতিহ্য আর উৎসবে মিলিত হতে। গতকাল সোমবার এবং আগের দিন রোববার পাঁচ শতাধিক শৌখিন মাছশিকারি একসঙ্গে নেমে গোমতীতে মেতে ওঠেন পলো উৎসবে।

গতকাল সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার টিক্কারচর সেতুর নিচ থেকে শুরু হয় পলো উৎসব, শেষ হয় প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে একই উপজেলার বানাসুয়া এলাকায় গিয়ে। এর আগের দিন রোববার ভারত সীমান্তের জিরো পয়েন্ট কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কটকবাজার এলাকা থেকে শুরু হয়ে টিক্কারচর এলাকায় গোমতী নদীর সেতু পর্যন্ত প্রায় চার কিলোমিটার এলাকায় চলে পলো দিয়ে মাছ শিকার। পলো ছাড়াও অনেক শৌখিন মাছশিকারির কাছে ছিল ঝাঁকিজাল ও ঠেলাজাল। দুই দিনই অনেক শিকারির পলোতে ধরা পড়েছে বড় বড় রুই, কাতলা, বোয়াল, গজার, আইড়, মৃগেলসহ নানা ধরনের মাছ। এ ছাড়া হাতে ও জালে ধরা পড়ছে ট্যাংরা, বইচা, বাইম, কাচকিসহ নানান ধরনের ছোট মাছ। কারও পলো বা জালে বড় মাছ ধরা পড়লেই হইহুল্লোড়ে মেতে ওঠেন শৌখিন মাছশিকারিরা।

নদীর এক দিক থেকে সারিবদ্ধ হয়ে মাছ ধরেন শিকারিরা। ছবি: এম সাদেক ছবি-৩: কেউ মাছ ধরছেন, কেউ রাখছেন.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: উপজ ল র

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • উৎসব ঘুরে প্রেক্ষাগৃহে ‘বাড়ির নাম শাহানা’
  • কেইনের জোড়া গোলে চেলসিকে হারাল বায়ার্ন, চ্যাম্পিয়ন পিএসজির গোল উৎসব
  • কারও কোনো অপরাধ নাই
  • বিশ্বকর্মা পূজা: গাঙ্গেয় শিল্পের উৎসব
  • আজ থেকে বুসান উৎসব, নানাভাবে রয়েছে বাংলাদেশ
  • ‎সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব : ডিসি
  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • ঘুম থেকে অনন্ত ঘুমে অস্কারজয়ী রবার্ট রেডফোর্ড
  • ২০০ বছরের ঐতিহ্য নিয়ে ভোলার বৈষা দধি
  • শেষ হলো সপ্তম যোসেফাইট ম্যাথ ম্যানিয়া ২০২৫