দুই সেঞ্চুরিতে পাকিস্তানকে ৩২১ রানের টার্গেট দিলো নিউজিল্যান্ড
Published: 19th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে বলা হয় মিনি বিশ্বকাপ। দীর্ঘ আট বছর পর মাঠে গড়ালো এই টুর্নামেন্ট। আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতিক পাকিস্তান। উইল ইয়ং এবং টম লাথামের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে স্বাগতিকদের ৩২১ রানের লক্ষ্য দিয়েছে ব্ল্যাকক্যাপসরা। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ইতিহাসে পঞ্চমবারের মতো এক ইনিংসে দুটি সেঞ্চরির নজির এটি।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ভালো শুরু করেছিল নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ডেভন কনওয়ে ও উইল ইয়ং। কিন্তু ইনিংস বড় করতে পারেননি কনওয়ে। ১৭ বলে ১০ রান করে বোল্ড হন এই তারকা ক্রিকেটার।
তিনে ব্যাট করতে নেমে আলো ছড়াতে পারেননি কেন উইলিয়ামসনও। ২ বলে ১ রান করে ফেরেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। তবে এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করতে থাকেন ইয়ং। ২৪ বলে ১০ রান করে তাকে সঙ্গ দেন ড্যারিল মিচেল।
দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে ৫৬ বলে ফিফটি তুলে নেন ইয়ং। মিচেল আউট হলে লাথামকে সঙ্গে নিয়ে সেঞ্চুরির দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যান ইয়ং। ১০৭ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। অপর প্রান্ত থেকে ৬১ বলে ফিফটি তুলে নেন লাথাম।
৩৮তম ওভারে নাসিম শাহকে বোলিংয়ে আনেন অধিনায়ক রিজওয়ান। ওভারের দ্বিতীয় বলে ইয়ংকে ক্যাচ আউটের ফাঁদে ফেলেন নাসিম। এরপর লাথামকে সঙ্গ দেন গ্লেন ফিলিপস। দুজনের ব্যাটে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে এগিয়ে যেতে থাকে নিউজিল্যান্ড।
নিয়ন্ত্রিত ব্যাটিংয়ে ৯৫ বলে ফিফটি তুলে নেন লাথাম। অপর প্রান্ত থেকে ব্যাট চালাতে থাকেন ফিলিপসও। ৩৪ বলে ফিফটি তুলে নেন এই ডান হাতি ব্যাটার। ৩৯ বলে ৬১ রান করে শেষ দিকে ফিলিপস আউট হলে লাথামের ১০৪ বলের অপরাজিত ১১৮ রানে ভর করে ৩২০ রানে বড় পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড।
পাকিস্তানের হয়ে হারিস রাউফ ও নাসিম শাহ দুটি করে উইকেট শিকার করেন। এক উইকেট নেন আবরার আহমেদ।
বিএইচ
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: র ন কর
এছাড়াও পড়ুন:
২০ বছর পর সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যা মামলার আসামির আত্মসমর্পণ
দীর্ঘ ২০ বছর পলাতক থাকার পর খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি আব্দুস সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার আত্মসমর্পণ করেছেন। সোমবার খুলনা বিভাগীয় দ্রুত বিচার ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন তিনি। ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মঞ্জুরুল ইমাম জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠান।
ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) জিল্লুর রহমান খান সমকালকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা নুর মোহাম্মাদ ওরফে নুরুর ছেলে। হত্যাকাণ্ডের পর দীর্ঘ ২০ বছর ধরে তিনি পলাতক ছিলেন।
জানা যায়, ২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাব অদূরে সন্ত্রাসীদের বোমার আঘাতে খুন হন সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা।
ট্রাইব্যুনালের উচ্চমান বেঞ্চ সহকারী মাজাহারুল ইসলাম জানান, সোমবার দুপুরের পর আদালতে উপস্থিত হন ডিসকো সাত্তার। ওকালত নামায় তিনি উল্লেখ করেন, জীবন এবং জীবিকার তাগিদে খুলনার বাইরে থাকায় মামলার রায় প্রচারের সময়ে আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি। তিনি রায়ের বিষয়টি অবগত ছিলেন না।
ট্রাইব্যুনাল থেকে জানা গেছে, সাংবাদিক মানিক চন্দ্র সাহা হত্যার দু’দিন পর ২০০৪ সালের ১৭ জানুয়ারি খুলনা সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) রণজিৎ কুমার দাস বাদী হয়ে হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা সদর থানার তৎকালীন ওসি মোশাররফ হোসেন ২০০৪ সালের ২০ জুন হত্যা মামলার চার্জশিট দাখিল করেন। চার্জশিট দাখিলের পর থেকে ডিসকো সাত্তার পলাতক ছিলেন।
দীর্ঘ এক যুগ পর বিচারিক প্রক্রিয়া শেষ করে ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর আদালত মানিক চন্দ্র সাহা হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মামলায় ৯ জন আসামিকে দোষী সাবস্ত করে যাবজ্জীবন কারদণ্ড প্রদান করেন।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন- সুমন ওরফে নুরুজ্জামান, বুলবুল ওরফে বুলু, আকরাম হোসেন ওরফে আকরাম ওরফে বোমরু আকরাম ওরফে বোমা আকরাম ওরফে ফাটা, আলী আকবর সিকদার ওরফে শাওন, ছাত্তার ওরফে ডিসকো সাত্তার, বেল্লাল, মিঠুন ওরফে মিটুল, সাকা ওরফে শওকাত হোসেন, সরো ওরফে সরোয়ার হোসেন।
মামলায় দু’জন খালাস পেয়েছিলেন। তারা হলেন হাই ইসলাম ও কচি ওরফে ওমর ফারুক।