উত্তরার বাসায় চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার
Published: 20th, February 2025 GMT
রাজধানীর উত্তরার একটি বাসা থেকে এক চীনা নাগরিকের রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটার দিকে খবর পেয়ে উত্তরা ১৪ নম্বর সেক্টরের ১৬ নম্বর সড়কের বাসা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত চীনা নাগরিকের নাম ওয়াং বু (৩৭)।
পুলিশ জানিয়েছে, নিহত ওই চীনা নাগরিকের বাসাটিতে সহকর্মীদের সঙ্গে বসবাস করতেন। ওই ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে নিহত ওয়াং বুর সঙ্গে আরও দু-তিনজন চীনা নাগরিককে ওই বাসায় প্রবেশ করতে দেখা গেছে। বুধবার দিবাগত রাত ১২টার পর ওই ব্যক্তিরাই হত্যার ঘটনা ঘটিয়ে থাকতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের।
তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, এক মাস আগে সহকর্মীদের নিয়ে ওই বাসায় ভাড়ায় ওঠেন নিহত চীনা নাগরিক ওয়াং বু। তিনি বাংলাদেশে ৯ বছর ধরে পার্টনারশিপে পাথরের ব্যবসা করতেন। ওয়াং বু–কে হত্যার পর তাঁর সহকর্মীরা বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওয়াং বুর সঙ্গে আরও দুই চীনা নাগরিকের ওই বাসায় প্রবেশের সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া গেছে। ফুটেজে ওই দুই ব্যক্তিকে কিছু সময় পর ভবনটি থেকে বের হতে দেখা গেছে। তবে প্রাথমিকভাবে দুই ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করতে পারেনি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ধারালো অস্ত্র দিয়ে চীনা নাগরিক ওয়াং বু–কে হত্যা করা হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আলামত সংগ্রহ করছে পুলিশ। পাশাপাশি আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং হত্যার পুরো রহস্য উদ্ঘাটনে কাজ চলছে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
কর্মক্ষেত্রে বুলিং: শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষেত্রে একজন ব্যক্তির প্রতি অন্য সহকর্মী দ্বারা ইচ্ছাকৃতভাবে ও নিয়মিতভাবে খারাপ আচরণ করাকে কর্মক্ষেত্রে বুলিং অথবা উৎপীড়ন বলে। এটি কর্মক্ষেত্রের পরিবেশকে বিষাক্ত করে তোলে, কর্মীর কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয়; কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব পড়ে।
প্রকারভেদ
কর্মক্ষেত্রে বুলিং বিভিন্ন রকম হয়—
মৌখিক বুলিং: গালিগালাজ, অপমানজনক মন্তব্য, সবার সামনে ছোট করা, বিদ্রূপ করা।
শারীরিক বুলিং: মারামারি, ধাক্কা দেওয়া অথবা শারীরিকভাবে আঘাত করা।
সাইবার বুলিং: অনলাইনে বা সামাজিক মাধ্যমে অপমানজনক বার্তা পাঠানো, মোবাইলে ফোন করে খারাপ ব্যবহার করা।
কেন করা হয়?
এই উৎপীড়নের পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে—
কর্মক্ষেত্রে ক্ষমতা জাহির করা।
সহকর্মীর প্রতি ঈর্ষা।
ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সামনে নিজেকে জাহির করার ইচ্ছা।
কর্মীর পারিবারিক অথবা মানসিক সমস্যা; যা কর্মক্ষেত্রে প্রতিফলিত হয়।
কর্মীর স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
বুলিং কর্মীর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ব্যাপক প্রভাব বিস্তার করে। এর কারণে অনেক সময় আক্রান্ত ব্যক্তি চাকরি ছেড়ে দেওয়া, অনেক সময় আত্মহত্যাও করতে পারেন।
মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
ডিপ্রেশন বা হতাশা
অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা
ইনসমনিয়া বা ঘুম কম হওয়া
আত্মবিশ্বাস কমে যাওয়া
আত্মহত্যার প্রবণতা
শারীরিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব
কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া
ওজন বেড়ে যাওয়া
হৃদ্রোগের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া
মানসিক চাপ ডায়াবেটিসসহ অন্যান্য রোগকে অনিয়ন্ত্রিত করে দেয়।
প্রতিরোধের উপায়
ঊর্ধ্বতন নিয়ন্ত্রণকারী কর্মকর্তার কাছে পুরো বিষয়টি বুঝিয়ে বলা।
প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে মানসিক রোগবিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া যেতে পারে।
ডা. নাজমুল হক মুন্না সহকারী অধ্যাপক (নিউরোলজি)