ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ের শীর্ষে ৩ নাটক
Published: 21st, February 2025 GMT
টিভির পাশাপাশি ইউটিউবের জন্য নিয়মিত নির্মিত হচ্ছে একক নাটক। এসব নাটক ইউটিউবে মুক্তি পেলেও দারুণ দর্শকপ্রিয়তা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। গত কয়েক দিনে ইউটিউবে অনেক নাটকই প্রকাশিত হয়েছে। তার মধ্যে ইউটিউব ট্রেন্ডিংয়ে বাংলাদেশ অংশের শীর্ষে জায়গা করে নিয়েছে তিনটি একক নাটক।
ট্রেন্ডিংয়ের তালিকার শীর্ষে রয়েছে ‘মন দুয়ারী’। জাকারিয়া সৌখিনের চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেছেন জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও নাজনীন নিহা। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে ১৮ ফেব্রুয়ারি সিএমভির ইউটিউবে মুক্তি পায় এটি।
যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী অপূর্ব হঠাৎ বাংলাদেশে ফিরে দাদিকে দূর দেশে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু পারিবারিক বন্ধন ছেড়ে দাদি দিলারা জামান যেতে চান না। বাধা হয়ে দাঁড়ায় কাজিন নাজনীন নিহাসহ পরিবারের অন্য সদস্যরাও। এমন গল্প নিয়ে নির্মিত নাটকটি দুই দিনে ইউটিউবে প্রায় ৫৭ লাখবার দেখা হয়েছে। দর্শকরাও ভূয়সী প্রশংসা করছেন।
আরো পড়ুন:
চলচ্চিত্রের ইতিহাসে নাবিলাকে কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না: জয়
মা হচ্ছেন স্বাগতা, প্রকাশ্যে বেবি বাম্পের ছবি
ট্রেন্ডিংয়ের দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘গুন্ডা’ নাটক। পরিচালনার পাশাপাশি নাটকটির চিত্রনাট্যও রচনা করেছেন জোবায়ের ইবনে বকর। প্রধান চরিত্র রূপায়ন করেছেন নিলয় আলমগীর। তা ছাড়াও অভিনয় করেছেন— আয়শা খান, রকি খান, আশরাফুল আলম সোহাগ, রাখি চৌধুরী, জাহিদ ইসলাম, তাইজুল ইসলাম প্রমুখ। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি এনএএফ এন্টারটেইনমেন্টের ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে এটি। এ পর্যন্ত নাটকটির ভিউ হয়েছে ৫৫ লাখের বেশি। তবে নাটকটি নিয়ে নেটিজেনরা মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করছেন।
এ তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে ‘মনেরই রঙে রাঙিয়ে’। বিশ্ব ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে এটি নির্মাণ করেন কে এম সোহাগ রানা। এ নাটকে প্রথমবার জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন সংগীতশিল্পী পড়শী ও তৌসিফ মাহবুব। নাটকটিতে আরো অভিনয় করছেন— এমএনইউ রাজু, মাহমুদুল ইসলাম মিঠু, সাদনিমা প্রমুখ। রোমান্টিক গল্পের নাটকটি গত ১৬ ফেব্রুয়ারি সিনেমাওয়ালার ইউটিউব চ্যানেলে মুক্তি পেয়েছে। এ পর্যন্ত নাটকটি প্রায় ৩২ লাখবার দেখা হয়েছে। ভক্তরাও পড়শী-তৌসিফ জুটিকে দেশে প্রশংসা করছেন।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কর ছ ন ন টকট করছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে হিন্দু নেতাদের সাক্ষাৎ
আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিভিন্ন পূজা উদ্যাপন পরিষদের নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন। তাঁরা এ সময় প্রধান উপদেষ্টাকে পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানান।
আজ সোমবার বিকেলে হিন্দু নেতারা রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় যান। এ সময় তাঁদের কাছে দুর্গাপূজার প্রস্তুতি ও সার্বিক অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি তাঁদের বলেন, ‘আপনাদের সঙ্গে সব সময় দেখা করার ইচ্ছা থাকলেও সুযোগ হয় না। পূজা উপলক্ষে বছরে একবার সামনাসামনি দেখা হয়, কথা বলার সুযোগ হয়।’
হিন্দুধর্মীয় নেতারা জানান, গত বছরের তুলনায় এ বছর এক হাজারের বেশি পূজামণ্ডপ বেড়েছে। সারা দেশে পূজামণ্ডপ তৈরির কাজ পুরোদমে এগিয়ে চলছে।
নেতারা বলেন, ধর্ম উপদেষ্টা নিয়মিতভাবে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, মন্দির পরিদর্শন করেন। দুর্গাপূজা উৎসবমুখর করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও নির্বিঘ্নে পূজা উদ্যাপন হবে বলে তাঁরা আশা করছি।
এ সময় স্থায়ী দুর্গামন্দিরের জন্য রেল মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জায়গা বরাদ্দ দেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানান মহানগর পূজা কমিটির সভাপতি জয়ন্ত কুমার দেব। তিনি বলেন, ‘এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। এ জন্য আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। আপনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে নিয়মিত আমাদের খোঁজখবর রেখেছেন। গত বছরের মতো এ বছরও পূজায় আমরা দুই দিন ছুটি পেয়েছি। এ জন্যও আপনাকে বিশেষ ধন্যবাদ। গত বছর ৮ আগস্ট দেশে ফেরার পরপরই আপনি ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শন করে বলেছিলেন, আমরা সবাই এক পরিবার। আপনার বক্তব্য আমাদের মনে গভীরভাবে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।’
বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর বলেন, ‘গত বছর দুর্গাপূজায় ঢাকেশ্বরী মন্দির পরিদর্শনে গিয়ে আপনি বলেছিলেন, নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে কড়া পাহারা বসিয়ে পূজা হবে এমন দেশ আমরা চাই না। আমরা প্রথমবারের মতো কোনো সরকারপ্রধানের কাছে এমন বক্তব্য শুনেছি। আমরাও আপনার বক্তব্যের সঙ্গে একমত, আমরাও চাই এ আয়োজনে সবাই সহযোগিতা করুক, দেশের সবার মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক থাকুক।’
বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুণ দে বলেন, ‘আপনি দায়িত্বে থাকাকালীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নজির স্থাপন করেছেন। আমরা লক্ষ করেছি, এক বছর ধরে, বিশেষ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচুর মিথ্যা কথা, ফেক নিউজ ছড়ানো হচ্ছে। আপনার নেতৃত্বে ধর্ম–বর্ণ–জাতিনির্বিশেষে বাংলাদেশের সব মানুষের কল্যাণ হবে, আমরা সেটাই কামনা করি।’
বৈঠকে ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘ধর্ম মন্ত্রণালয় সব ধর্মের প্রতিনিধিত্ব করে। কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে আমরা কল্যাণকর কর্মসূচিগুলো নিশ্চিত করি।’ এ সময় তিনি বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন।
প্রধান উপদেষ্টা সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও পূজার অগ্রিম শুভেচ্ছা জানান এবং দুর্গাপূজা ঘিরে যাতে কোনো ধরনের ষড়যন্ত্রের সুযোগ তৈরি না হয়, সে জন্য সবাইকে সজাগ থাকার আহ্বান জানান।
বৈঠকে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, হিন্দুধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান তপন চন্দ্র মজুমদার ও সচিব দেবেন্দ্র নাথ উঁরাও, রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী পূর্ণানন্দ (একক), বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু সমাজসংস্কার সমিতির সভাপতি অধ্যাপক হীরেন্দ্রনাথ বিশ্বাস, শ্রীশ্রী গীতা হরি সংঘ দেব মন্দিরের সভাপতি বিমান বিহারী তালুকদার, বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অপর্ণা রায় দাস, শ্রীশ্রী সিদ্ধেশ্বরী কালীমন্দিরের সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত ও সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রণীতা সরকার উপস্থিত ছিলেন।