মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে হামদর্দ ল্যাবরেটরিজ (ওয়াক্ফ) বাংলাদেশের উদ্যোগে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। ক্যাম্পে বিনামূল্যে চিকিৎসা পরামর্শ এবং ওষুধ দেওয়া হয়েছে।

রাজধানীর বাংলামোটরে হামদর্দের নগর বিপণন কেন্দ্রের চত্বরে মেডিকেল ক্যাম্পে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের পরিচালক (বিপণন ও বিক্রয়) হাকিম সাইফউদ্দিন মুরাদ।

অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিরা বলেন, “সালাম, বরকত, রফিক, জব্বারের রক্তস্নাত একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা হলো অধিকার রক্ষায় দৃঢ়ভাবে এগিয়ে যাওয়া। সেই চেতনার সূত্র ধরেই আসে মুক্তিযুদ্ধ। ড.

হাকিম মো. ইউছুফ হারুন ভূঁইয়ার নেতৃত্বে হামদর্দ বাংলাদেশ মানুষের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার অধিকার নিশ্চিত করতে নিরন্তর কাজ করছে। হামদর্দের কল্যাণে দেশের অসংখ্য মানুষ আজ সেবা পাচ্ছে।”

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হামদর্দ ল্যাবরেটরিজের পরিচালক (তথ্য ও গণসংযোগ) আমিরুল মোমেনীন মানিক। এছাড়াও উপিস্থত ছিলেন হামদর্দের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

ঢাকা/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হ মদর দ র

এছাড়াও পড়ুন:

খামেনিকে হত্যায় সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটবে: নেতানিয়াহু

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনিকে হত্যার পরিকল্পনা আছে কিনা এমন প্রশ্নে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরানি শীর্ষ নেতার হত্যায় ‘সংঘাত বাড়বে না, বরং অবসান ঘটাবে’। 

তিনি বলেন, ‘ইরানি নেতার হত্যার সম্ভাব্য পরিকল্পনা ইরান ও ইসরায়েল মধ্যকার চলমান সংঘাতকে ‘আরও বাড়িয়ে তুলবে না, বরং শেষ হবে। এবিসি নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নেতানিয়াহু এ কথা বলেন। 

খামেনিকে হত্যার লক্ষ্যবস্তু করার চিন্তা আছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে নেতানিয়াহু বলেছেন, ইরান দীর্ঘদিন ধরে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সন্ত্রাস ছড়াচ্ছে। ইরান ‘চিরস্থায়ী যুদ্ধ’ চায় এবং ইসরায়েলে পরমাণু যুদ্ধের কিনারায় নিয়ে এসেছে। 

তিনি বলেন, ইসরায়েল এই আগ্রাসন ঠেকাচ্ছে। এটা ঠেকাতে হলে অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়াতেই হবে। আমরা যা প্রয়োজন, তাই করছি। 

ইরানের সঙ্গে সংঘর্ষে ইসরায়েল বিজয় অর্জন করতে যাচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। সোমবার ইসরায়েলি বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনে গিয়ে তিনি বলেন, আমরা বিজয় অর্জনের পথে। এর আগে, তেহরানের আকাশ ‘পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ অর্জন’ করার দাবি করেন ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী কর্মকর্তারা। সেইসঙ্গে, ইরানের মিসাইল লঞ্চার বা ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ যন্ত্রের ‘এক-তৃতীয়াংশ ধ্বংস'’করে দেওয়ারও দাবি করেন তারা।

সেই দাবিই পুনর্ব্যক্ত করে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আমাদের দু'টি লক্ষ্য অর্জনের পথে এগিয়ে যাচ্ছি। পারমাণবিক হুমকি নির্মূল এবং ক্ষেপণাস্ত্র হুমকি নির্মূল করা।

ইসরায়েলের বেসামরিক নাগরিকদেরকে ইরান হামলার লক্ষ্যবস্তুে পরিণত করেছে বলে অভিযোগ করেন নেতানিয়াহু। বিমান ঘাঁটি পরিদর্শনের সময় সেখানে উপস্থিত সেনাদের উদ্দেশে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের ধন্যবাদ। সৃষ্টিকর্তার সাহায্যে আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করবো এবং সফল হব। বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত আমরা (যুদ্ধ) চালিয়ে যাব।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ