এ সপ্তাহের রাশিফল (২২-২৮ ফেব্রুয়ারি)
Published: 22nd, February 2025 GMT
সাফল্য লাভের জন্য কর্ম যথেষ্ট নয়। দরকার সঠিক কর্মকৌশল, সহনশীলতা এবং কিছু বিষয়ে সচেতনতা। আর তাতেই আপনি জীবনের প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ায় রূপান্তর করতে পারবেন।
পাশ্চাত্য রাশিচক্রমতে চন্দ্র ও অন্যান্য গ্রহগত অবস্থানের ওপর ভিত্তি করে চলতি সপ্তাহের বিভিন্ন রাশির জাতক-জাতিকাদের নানা বিষয়ের শুভাশুভ পূর্বাভাস ও সতর্কতা জানাচ্ছেন বাংলাদেশ অ্যাস্ট্রলজার্স সোসাইটির(বিএএস) যুগ্ম মহাসচিব জ্যোতিষশাস্ত্রী ড.
মেষ রাশি (২১ মার্চ-২০ এপ্রিল): অর্থনৈতিক কার্যক্রম আপনার অনুকূলে থাকবে। রোগ সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতন হন। গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফলতা পাবেন। পারিবারিক সমস্যায় ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করুন। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ভ্রমণ শুভ। বিনিয়োগে সফলতা পাবেন।
আরো পড়ুন:
এ সপ্তাহের রাশিফল (১৫-২১ ফেব্রুয়ারি)
এ সপ্তাহের রাশিফল (৮-১৪ ফেব্রুয়ারি)
বৃষ রাশি (২১ এপ্রিল-২১ মে): বিনিয়োগ, ব্যবসায়িক সংক্রান্ত বিষয় আপনার জন্য শুভ। নতুনভাবে কোনো সমস্যায় পড়তে পারেন। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। প্রেমে সফলতা পাবেন। রাগ, জেদ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে।
মিথুন রাশি (২২ মে-২১ জুন): ধৈর্য বৃদ্ধি করুন। প্রেমে অহেতুক সমালোচনা পড়তে পারেন। আর্থিক বিষয় আপনার জন্য শুভ। শারীরিক ও মানসিকভাবে অস্থিরতা বাড়তে পারে। ভ্রমণ শুভ। ব্যবসায়িক সফলতা পাবেন।
কর্কট রাশি (২২ জুন-২৩ জুলাই): সৃজনশীলত কাজে অনুকূল পরিবেশ তৈরি হবে। পারিবারিক মনোমালিন্য বাড়তে পারে। প্রিয়জনের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। পেশাগত পদোন্নতি হবে।
সিংহ রাশি (২৩ জুলাই-২৩ আগস্ট): স্বাস্থ্য স্বাভাবিক থাকবে। আর্থিক যোগাযোগ শুভ। নতুন কোনো সমস্যা তৈরি হতে পারে। প্রেমে সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ। যানবাহন চলাচলে সাবধানতা অবলম্বন করুন।
কন্যা রাশি (২৪ আগস্ট-২৩ সেপ্টেম্বর): কাজের চাপ বাড়বে। আর্থিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। ভ্রমণ শুভ। আর্থিক নিয়ে কারো সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে সমস্যা তৈরি হবে।
তুলা রাশি (২৪ সেপ্টেম্বর-২৩ অক্টোবর): পারিবারিক শান্তি বিঘ্নিত হবে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় থাকবে না। শারীরিক বিষয়ে সাবধানে থাকতে হবে। ভ্রমণ শুভ।
বৃশ্চিক রাশি (২৪ অক্টোবর-২২ নভেম্বর): মানসিক অস্থিরতা বাড়তে পারে। প্রেমে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। পারিবারিক বিষয় নিয়ে যত্নশীল হোন। পেশাগত কাজে সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ।
ধনু রাশি (২৩ নভেম্বর-২১ ডিসেম্বর): মানসিক ও শারীরিক বিষয় নিয়ে সমস্যা হতে পারে। ব্যয় নিয়ন্ত্রণ কঠিন হবে। আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার চেষ্টা করুন। ব্যবসায়িক কার্যক্রম বাড়বে।
মকর রাশি (২২ ডিসেম্বর-২০ জানুয়ারি): এ সপ্তাহ আপনার জন্য শুভ ও স্বাভাবিক যাবে। কাজের জায়গায় সফলতা পাবেন। বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় আপনার জন্য শুভ। প্রেমে সফলতা পাবেন।
কুম্ভ রাশি (২১ জানুয়ারি-১৮ ফেব্রুয়ারি): আর্থিক সফলতা পাবেন। ব্যবসায়িক যোগাযোগ শুভ। কোনো আনন্দ অনুষ্ঠানে যোগদান করতে পারেন। কোনো ধরনের অলসতাকে প্রশ্রয় দেবেন না।
মীন রাশি (১৯ ফেব্রুয়ারি-২০ মার্চ): আনন্দদায়ক সময় কাটবে। অনেক বিষয় আপনার জন্য শুভ। দাম্পত্য ও পারিবারিক সম্পর্ক ভালো যাবে। প্রেমে সফলতা পাবেন। ভ্রমণ শুভ।
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র শ ফল ব যবস য় ক ভ রমণ শ ভ আর থ ক সমস য
এছাড়াও পড়ুন:
সিজারের সময় নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় সিজারিয়ান অপারেশনের সময় এক নবজাতকের পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ক্লিনিকের চেয়ারম্যান ও আবাসিক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে। রবিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিয়ে রোগীর স্বজনদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে নবজাতকসহ তাদেরকে ক্লিনিক থেকে বের করে দেওয়া হয়। ওই রাতেই শিশুটিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (শেবাচিম হাসপাতালে) নেওয়া হয়।
অভিযুক্ত চিকিৎসক পার্থ সমদ্দার কলাপাড়া পৌর শহরের জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের আবাসিক চিকিৎসক এবং চেয়ারম্যান।শিশুটির
স্বজনদের অভিযোগ, গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্রসব বেদনা নিয়ে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি হন লালুয়ার ইউনিয়নের গোলবুনিয়া গ্রামের সিদ্দিক মিয়ার মেয়ে ও রফিকুলের স্ত্রী মিম বেগম। ওই রাতেই মিমের সিজারিয়ান অপারেশন করেন ডা. পার্থ সমদ্দার। সিজারের কিছুক্ষণ পরই টিকার কথা বলে নবজাতকের পায়ে একটি ইনজেকশন পুশ করা হয়। পরের দিন থেকেই নবজাতকের বাম পা ফুলতে শুরু করে এবং কান্না বাড়তে থাকে। বিষয়টি চিকিৎসক ও নার্সদেরকে অবহিত করলে তারা তাতে কর্ণপাত করেননি। উল্টো ওই ক্লিনিকের কর্মী ও নার্সরা নবজাতকের স্বজনদের সঙ্গে অসদাচরণের পাশাপাশি তাদের ক্লিনিক থেকে বের করে দেন। পরে অন্যত্র এক্সরে করে জানা যায়, সিজারের সময় নবাজতকের পা ভেঙে ফেলেছেন চিকিৎসক।
নবজাতকের মা মিম আক্তার বলেছেন, বাচ্চা অনবরত কান্না করলে প্রথমে নার্স ও পরে চিকিৎককে অবহিত করা হয়। বাচ্চার বাম ফুলে গেলে তা জানানো হয়। কিন্তু, তারা এর কোনো প্রতিকার না করে আমাদের ধমকাতে থাকেন। ক্লিনিক ছেড়ে চলে যেতে চাপ প্রয়োগ করেন।
নবজাতকের নানা সিদ্দিক বলেন, টিকার কথা বলে আমার নাতিকে শরীর অবশ করার ইনজেকশন দিয়েছিল নার্সরা। ইনজেকশনের কার্যকারিতা শেষ হওয়ার পরপরই আমার নাতি অনেক কান্না করে। আমার স্ত্রী নার্সদের বললে তারা তাকে মারধরের চেষ্টা করে। আমাদের সঙ্গে ক্লিনিকের সবাই অনেক খারাপ আচরণ করেছে। এভাবে রোগীদের সঙ্গে প্রাইভেট ক্লিনিকের কর্মকর্তারাও যদি অসদাচরণ করে, তাহলে আমরা কোথায় যাব?
সিজারের সময় নবজাকের পা ভাঙেনি, দাবি করে জমজম ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. পার্থ সমদ্দার বলেছেন, আমি শিশু বিশেষজ্ঞ নই। নবজাতককে একজন শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কলাপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. শংকর প্রসাদ অধিকারী বলেছেন, যদি সিজারিয়ান অপারেশনের প্রশিক্ষণ থাকে, তাহলে এনেস্থেসিস্টও সিজার করতে পারেন। তবে, এনেস্থেসিস্ট একাই সিজারিয়ান অপারেশন করতে পারেন না।
ঢাকা/ইমরান/রফিক