সোনারগাঁয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে পরিবেশবাদীদের সমাবেশ
Published: 22nd, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে এলএনজি আমদানি বিরোধী ও নবায়নযোগ্য জ্বালানির দাবিতে পরিবেশবাদীদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়ছে।
শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) জ্বালানি নীতিতে জীবাশ্ম জ্বালানির সম্প্রসারণের প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগড়াপাড়া চৌরাস্তা থানা রোডে পরিবেশবাদী সংগঠন পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন সোসাইট (ইএসএডিএস), ক্লিন ও বিডব্লিউজিইডির নেতৃত্বে বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ সরকার ও আর্জেন্ট এলএলসির মধ্যে স্বাক্ষরিত এলএনজি চুক্তির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভকারীরা নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে রূপান্তরের দাবি তোলেন।
বক্তারা বলেন, এলএনজি আমদানির মাধ্যমে জ্বালানির উপর বিদেশি নির্ভরতা বাড়লে অর্থনৈতিক সংকট ও পরিবেশগত ঝুঁকি বাড়বে। ইএসএডিএস-এর মহাসচিব মীযানুর রহমান বলেন, “এলএনজির বদলে সৌর, বায়ুর মতো স্থানীয় নবায়নযোগ্য উৎসে বিনিয়োগই টেকসই সমাধান।”
সমাবেশে পাঁচ দাবি উত্থাপন করা হয়: এলএনজি চুক্তি বাতিল, জ্বালানি বাজেটের ৭০% নবায়নযোগ্য খাতে বরাদ্দ, দুর্নীতি বন্ধ, ২০৪০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যে নামানো এবং বিকেন্দ্রীকৃত জ্বালানি ব্যবস্থা গঠন।
প্রাসঙ্গিক তথ্য অনুযায়ী, দেশের ৬২% জ্বালানি আসে প্রাকৃতিক গ্যাস থেকে, যা ১২ বছরের মধ্যে ফুরিয়ে যেতে পারে। আর্জেন্টের সাথে চুক্তি অনুযায়ী, বছরে ৪.
তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয়দের ব্যাপক সমর্থনপুষ্ট এ আন্দোলন জলবায়ু ন্যায়বিচারের দাবিকে শক্তিশালী করেছে। বিশ্লেষকদের মতে, জ্বালানি নীতি পরিবর্তন না হলে ভবিষ্যতে গণবিক্ষোভ আরও বেগবান হবে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন ESADS)-এর চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসাইন, মির্জা ওয়াসিম উদ্দিন, জহিরুল ইসলাম, এম,এ মহিন সরদার প্রমুখ।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।