বগুড়ার শেরপুরে অটোরিকশাচালককে ছুরিকাঘাত করে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়েছে ছিনতাইকারী। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কের শেরপুর পৌরশহরের উপজেলা গেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ওই চালককে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাসড়কের পাশে ফেলে যায় ছিনতাইকারী। ওই অটোরিকশাচালকের নাম মো. নাহিদ (৩০)। তাঁর বাড়ি উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের ভাদাইশপাড়া গ্রামে।

খবর পেয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গাড়িচালককে উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় পুলিশ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ওই চালকের ডান হাতের কবজি এবং বাঁ কানের পেছনে ধারালো অস্ত্রের গুরুতর জখম আছে। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

আহত অটোরিকশাচালক মো.

নাহিদ বলেন, ধুনট রোড বাসস্ট্যান্ড থেকে যাত্রী সেজে এক যুবক (২৫) তাঁর অটোরিকশায় ওঠেন। উপজেলা গেটের সামনে যাওয়ার পর পেছন থেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁর শরীরে একাধিকবার আঘাত করেন ওই যুবক। একপর্যায়ে গাড়ি থেকে তাঁকে মহাসড়কের পাশে ফেলে দিয়ে তাঁর গাড়িটি নিয়ে চলে যান বগুড়ার দিকে। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় মহাসড়কের পাশে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেন।

শেরপুর টাউন পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ছিনতাই হয়ে যাওয়া গাড়িটি উদ্ধারে তাঁরা অনুসন্ধান শুরু করেছেন।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: চ লকক উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

গাজীপুরে এটিএম বুথে ধর্ষণের অভিযোগ, অভিযুক্ত পলাতক

গাজীপুরের শ্রীপুরে অধিক বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে এক নারী পোশাক শ্রমিককে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে একটি এটিএম বুথের নিরাপত্তা প্রহরীর বিরুদ্ধে।

সোমবার (১৬ জুন) সকালে ওই নারী শ্রমিকের বাবা বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। 

রবিবার (১৫ জুন) সকালে শ্রীপুর উপজেলার মুলাইদ গ্রামের এমসি বাজার এলাকায় তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন একটি ব্যাংকের এটিএম বুথে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ ।

ভুক্তভোগী নারী স্থানীয় একটি কারখানায় ৬ হাজার টাকা বেতনে কাজ করতেন। অভিযুক্ত নিরাপত্তা প্রহরী মো. লিটন (৩৫) তালহা স্পিনিং মিল সংলগ্ন বুথে দায়িত্ব পালন করতেন। 

লিটন ময়মনসিংহ জেলার পাগলা থানার ডুবাইল গ্রামের মৃত আব্দুল আউয়ালের ছেলে। বর্তমানে তিনি মুলাইদ গ্রামের আতাব উদ্দিনের বাড়িতে ভাড়া থাকেন এবং ফাস্ট সলিউশন লিমিটেড নামের একটি নিরাপত্তা নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠানের অধীনে চাকরি করতেন।

থানায় দায়ের করা অভিযোগ থেকে জানা যায়, এটিএম বুথে টাকা তোলার সূত্র ধরে এই নারী শ্রমিকের সঙ্গে পরিচয় হয় লিটনের। একপর্যায়ে লিটন ভুক্তভোগীকে ১২ হাজার টাকা বেতনের চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে রবিবার সকালে তার বাবার মোবাইলে ফোন করে ডেকে আনেন। সকাল ৬টার দিকে বুথে গেলে লিটন তাকে ভেতরে একটি ছোট কক্ষে বসিয়ে রাখেন এবং জানান যে, নতুন চাকরির উর্ধ্বতন কর্মকর্তা এসে তার সাক্ষাৎকার নেবেন।

ভিকটিমের বাবা দুইবার মেয়ে চাকরির বিষয়ে খোঁজ নিলে লিটন জানান, চিন্তার কিছু নেই, সব ঠিক আছে। তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেব। এরপর আনুমানিক সকাল ১০টার দিকে লিটন কক্ষে ঢুকে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং তাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। বাড়ি ফেরার পথে মেয়ে তার বাবাকে ঘটনাটি জানায়।

ঘটনার বিষয়ে ফাস্ট সলিউশন লিমিটেডের সুপারভাইজার মো. হানিফের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি মোবাইল রিসিভ না করায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

শ্রীপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল বারিক জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরপরই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্ত লিটন পলাতক থাকায় তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। দ্রুতই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো জানান, ভিকটিমের স্বাস্থ্য পরীক্ষা গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সম্পন্ন করা হয়েছে।

ঢাকা/রফিক/টিপু  

সম্পর্কিত নিবন্ধ