নাট্যকার মোমেনার ‘আত্মজয়’ ২৭ ফেব্রুয়ারি
Published: 24th, February 2025 GMT
মঞ্চে নতুন নাটক নিয়ে আসছে শূন্যন রেপার্টরি থিয়েটার। ‘আত্মজয়’ নামে নাটকটি লিখেছেন মোমেনা চৌধুরী, নির্দেশনায় শামীম সাগর। ২৭ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে প্রদর্শিত হবে নাটকটি। দীর্ঘদিন ধরে অভিনয়ের সঙ্গে যুক্ত থাকা মোমেনা চৌধুরী এ প্রথম মঞ্চের জন্য কোনো নাটক লিখেছেন। তিনি বলেন, ‘আগে টুকটাক লিখতাম। করোনার সময় কোয়ান্টাম ওয়েবসাইটে ১৯টি ছোটগল্প লিখেছিলাম। সেখান থেকেই নাটক লেখার সাহস পেলাম।’ আত্মহত্যা থেকে মানুষকে নিরুৎসাহিত করার প্রেক্ষাপটে তৈরি হয়েছে আত্মজয়।
মোমেনা চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান সময়ে যে অস্থিরতা, মানুষের চাওয়া-পাওয়া, আর্থসামাজিক অবস্থা– সবকিছু মিলিয়ে মানুষ হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ছে। বিভিন্ন সময় খবর পাই, ছোটখাট বিষয় নিয়ে মানুষ আত্মহত্যা করছে। মানুষকে আত্মহত্যা থেকে নিরুৎসাহিত করার জন্যই আত্মজয় লেখা। আত্মজয়ের জন্য চাই আত্মবিশ্বাস। নিজের ওপর বিশ্বাস থাকলে আমরা এগিয়ে যেতে পারব। এ বিষয়টাই উঠে এসেছে নাটকটিতে।’
নির্দেশক শামীম সাগর বলেন, ‘আত্মজয় নাটকের মধ্য দিয়ে শূন্যন থিয়েটারের সঙ্গে আমার যাত্রা শুরু হলো। আত্মহত্যা প্রবণতা একটি জটিল সামাজিক ও মানসিক সংকট, যা প্রতিরোধযোগ্য। সাংস্কৃতিক মাধ্যমে সচেতনতা তৈরি করে আমরা এ সংকট মোকাবিলার পথ দেখাতে পারি। সেই চেষ্টাই রয়েছে ‘আত্মজয়’ নাটকে।
আত্মজয় দিয়ে এক বছর পর মঞ্চে ফিরছেন তাহমিনা সুলতানা মৌ। একসময় ‘সুবচন’ ও ‘বটতলা’ নাট্যদলের হয়ে মঞ্চে নিয়মিত দেখা গেলেও এখন অনেকটাই অনিয়মিত তিনি। আত্মজয় নাটকে তিনি অভিনয় করেছেন মমতাজ বেগম চরিত্রে। মৌ বলেন, ‘সব সময় মঞ্চে অভিনয় করতে ইচ্ছা করে। কিন্তু টিভি নাটকে নিয়মিত অভিনয় করার ফলে মঞ্চের জন্য সময় বের করাটা কঠিন হয়ে যায়। অনেক দিন পর মঞ্চে আবারও অভিনয় করব ভেবে খুব ভালো লাগছে।’
আত্মজয় নাটকে আরও অভিনয় করেছেন রাফিউল রকি, আনুশকা দেবনাথ, মিতু রহমান, তানভীর সানি ও মোমেনা চৌধুরী। আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠান্ডু রায়হান, আবহ সংগীত করেছেন নির্ঝর চৌধুরী, পোশাক পরিকল্পনায় সামিউন জাহান দোলা।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।