তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন বেড়েছে
Published: 24th, February 2025 GMT
তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন কিছুটা বেড়েছে। চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিক অক্টোবর–ডিসেম্বরে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন হয়েছে ৬১ শতাংশ। তার আগের অর্থবছরে এই হার ছিল ৫৯ শতাংশ।
তৈরি পোশাক খাত নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ ত্রৈমাসিক প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে। এতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দ্বিতীয় প্রান্তিকে দেশ থেকে ১ হাজার ৩৭ কোটি মার্কিন ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। এর বিপরীতে আমদানি হয়েছে ৪০৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের অক্টোবর-ডিসেম্বরে প্রান্তিকে তৈরি পোশাকশিল্পে মূল্য সংযোজন দাঁড়িয়েছে ৬১ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, পোশাক রপ্তানি থেকে তুলা, সুতা, কাপড় ও সরঞ্জামের আমদানি ব্যয় বাদ দিয়ে নিট রপ্তানি বা মূল্য সংযোজন হিসাব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আবার অনেকে প্রকৃত রপ্তানি আয়কে পোশাক খাতের মূল্য সংযোজন হিসেবেও অভিহিত করে থাকেন।
গত দুই অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি বাড়িয়ে দেখিয়েছে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তখন রপ্তানির পাশাপাশি মূল্য সংযোজনও কৃত্রিমভাবে বেড়ে গিয়েছে। পরিসংখ্যানের এই গরমিলের বিষয়টি গত বছরের মাঝামাঝি সময়ে বাংলাদেশ ব্যাংক সামনে আনে। তারপর রপ্তানির পরিসংখ্যান সংশোধন হয়। তাতে গত দুই অর্থবছরের সাত প্রান্তিকে পোশাক খাতে মূল্য সংযোজন কমে যায়।
রপ্তানি আয় বাড়িয়ে দেখানোর কারণে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (অক্টোবর–ডিসেম্বর) তৈরি পোশাক রপ্তানিতে মূল্য সংযোজন একলাফে ৫৯ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬৭ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়। তারপরের পাঁচ প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন ৭০ থেকে ৭২ শতাংশের মধ্যে ছিল। যদিও সংশোধনের পর দেখা যায়, ওই অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চ ও এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে হয় ৬২ শতাংশে। এ ছাড়া গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের চার প্রান্তিকে মূল্য সংযোজন কমে সাড়ে ৫৭ থেকে সাড়ে ৬১ শতাংশ হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ২০২১-২২ অর্থবছরে ৪ হাজার ২৬১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়েছে। তখন আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৯৪৪ কোটি ডলারের কাঁচামাল। তখন মূল্য সংযোজন ছিল ৫৪ দশমিক ৩৮ শতাংশ। পরের অর্থবছরে ৩ হাজার ৮১৭ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছিল ১ হাজার ৫৯৯ কোটি ডলারের। তাতে মূল্য সংযোজন বেড়ে ৫৮ শতাংশ হয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ৩ হাজার ৬১৩ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। আর কাঁচামাল আমদানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৪৪০ কোটি ডলার। সেই হিসাবে মূল্য সংযোজন হয় ৬০ শতাংশ।
এদিকে চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিক জুলাই–সেপ্টেম্বরে ৯৫১ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক রপ্তানি হয়। তার বিপরীতে কাঁচামাল আমদানি হয়েছে ৩৮৯ কোটি ডলারের। সেই হিসাবে মূল্য সংযোজন হয় ৫৯ শতাংশ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম ল য স য জন হ ম ল য স য জন ক আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা