জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে দুই দিনব্যাপী ‘নজরুল উৎসব ২০২৫’–এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা। আজ বিকেলে ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে উদ্বোধনী আয়োজনে গান ও কবিতায় নজরুলকে স্মরণ করেছেন শিল্পীরা।
দলীয় সংগীত ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর নজরুলের ধ্রুপদাঙ্গের শ্যামাসংগীত ‘খড়্গ নিয়ে মাতিস রণে’ শোনান অভিজিত কুণ্ডু। নজরুলের খেয়ালাঙ্গের গান শোনান মনিষ সরকার, মৌমিতা হক, মোহিত খান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঞ্চে নৃত্যালেখ্য ‘জাগে জ্যোতির্ময়’ পরিবেশন করেছে ধৃতি নর্তনালয়। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ওয়ার্দা রিহাব।
এরপর নজরুল রচিত ঠুমরি অঙ্গের গান শোনাবেন ভাস্কর দেবনাথ, মিরাজুল জান্নাত ও সুমন মজুমদার। নজরুলের গজল অঙ্গের গান পরিবেশন করবেন রেজাউল করিম, আনিলা আমীরসহ আরও অনেকে। নজরুলের ভক্তিমূলক গান শোনাবেন নাসিমা শাহীন, আফসানা রুনা।
নজরুল উৎসবে আয়োজিত আমন্ত্রিত অতিথিরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল র
এছাড়াও পড়ুন:
আকাশ থেকে ঝরে পড়ছে চকলেট
যুক্তরাষ্ট্রের ডেট্রয়েটে এখন বসন্তকাল, চমৎকার উষ্ণ আবহাওয়া, আকাশে এলোমেলো উড়ে বেড়াচ্ছে কিছু মেঘ। এমন আবহাওয়ায় চকলেট বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা শতভাগ।
কি, অবাক হচ্ছেন তো? ভাবছেন কীভাবে আকাশ থেকে চকলেট বৃষ্টি পড়বে? আপনি যখন এসব ভাবছেন, তখন ডেট্রয়েটের ওর্ডেন পার্কে কয়েক শ শিশু অধীর হয়ে চকলেট বৃষ্টি শুরু হওয়ার অপেক্ষায় আছে। তাদের হাতে রংবেরঙের ছোট ছোট ঝুড়ি, কেউ কেউ আবার খরগোশের কান পরে এসেছে। একটু পরপর আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা পরিস্থিতি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
হঠাৎই একটি হেলিকপ্টার উড়ে আসার শব্দ শোনা যায়, শিশুদের মধ্যে চঞ্চলতা বেড়ে যায়। এদিকে হেলিকপ্টার থেকে ওর্ডেন পার্কের সবুজ লন ভালো করে দেখে নেওয়া হচ্ছে, মুহূর্তখানেক পরই শুরু হয় চকলেট বৃষ্টি। হেলিকপ্টার থেকে বস্তার মুখ খুলে ফেলা হচ্ছে মার্শমেলো (চকলেট)। সবুজ ঘাসে ছড়িয়ে পড়ছে রঙিন মার্শমেলো।
শিশুদের ধৈর্যের বাঁধ প্রায় ভেঙে পড়ার অবস্থা। কিন্তু হলুদ রঙের ভেস্ট পরা স্বেচ্ছাসেবকেরা নিরাপত্তার খাতিরে শিশুদের চকলেট কুড়াতে যেতে দিচ্ছেন না। হেলিকপ্টার থেকে চকলেট বৃষ্টি পড়া বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত শিশুদের কোনোমতে আটকে রাখা হয়। এরপর স্বেচ্ছাসেবকেরা সরে দাঁড়াতেই খুশিতে চিৎকার করতে করতে ঝুড়ি হাতে মাঠে ছড়িয়ে থাকা মার্শমেলোর দিকে শিশুরা ছুটতে শুরু করে। মার্শমেলো কুড়িয়ে হাতে থাকা ঝুড়ি ভর্তি করে ফেলে তারা।
খোলা জায়গায় ফেলা মার্শমেলো খাওয়া ঠিক হবে কি না, তা নিয়ে যে কেউ ভাবনায় পড়তে পারেন। ভাবনার কিছু নেই, ‘দ্য অ্যানুয়াল গ্রেট মার্শমেলো ড্রপ’ উৎসবে যেসব মার্শমেলো ফেলা হয়, সেগুলো খাওয়ার জন্য নয়। শিশুরা কুড়িয়ে নেওয়া মার্শমেলোর বদলে গিফট ব্যাগ নিতে পারে। ওই ব্যাগে তাদের জন্য বিভিন্ন পার্কে বিনা মূল্যে প্রবেশের টিকিট থেকে শুরু করে ঘুড়িসহ নানা খেলনা থাকে।
তিন দশকের বেশি সময় ধরে ডেট্রয়েটের শহরতলি রয়্যাল ওকে মার্শমেলো ড্রপ উৎসবের আয়োজন করা হয়। ওকল্যান্ড কাউন্টি পার্ক ওই উৎসবের আয়োজক।