জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম স্মরণে দুই দিনব্যাপী ‘নজরুল উৎসব ২০২৫’–এর আয়োজন করেছে বাংলাদেশ নজরুলসংগীত সংস্থা। আজ বিকেলে ঢাকার ছায়ানট সংস্কৃতি ভবনে উদ্বোধনী আয়োজনে গান ও কবিতায় নজরুলকে স্মরণ করেছেন শিল্পীরা।
দলীয় সংগীত ‘দাও শৌর্য দাও ধৈর্য’ পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। এরপর নজরুলের ধ্রুপদাঙ্গের শ্যামাসংগীত ‘খড়্গ নিয়ে মাতিস রণে’ শোনান অভিজিত কুণ্ডু। নজরুলের খেয়ালাঙ্গের গান শোনান মনিষ সরকার, মৌমিতা হক, মোহিত খান।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত মঞ্চে নৃত্যালেখ্য ‘জাগে জ্যোতির্ময়’ পরিবেশন করেছে ধৃতি নর্তনালয়। নৃত্য পরিচালনা করেছেন ওয়ার্দা রিহাব।
এরপর নজরুল রচিত ঠুমরি অঙ্গের গান শোনাবেন ভাস্কর দেবনাথ, মিরাজুল জান্নাত ও সুমন মজুমদার। নজরুলের গজল অঙ্গের গান পরিবেশন করবেন রেজাউল করিম, আনিলা আমীরসহ আরও অনেকে। নজরুলের ভক্তিমূলক গান শোনাবেন নাসিমা শাহীন, আফসানা রুনা।
নজরুল উৎসবে আয়োজিত আমন্ত্রিত অতিথিরা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: নজর ল র
এছাড়াও পড়ুন:
ফের রিজার্ভ ৩১ বিলিয়ন ডলার
ফের দেশের বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে। আজ বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ০৩ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর আকুর বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৩০ বিলিয়ন ডলার।
কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন শেষে আইএমএফের হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ২৬ দশমিক ০৮ বিলিয়ন ডলার। গত ৭ সেপ্টেম্বর বিপিএম-৬ অনুযায়ী রিজার্ভ ছিল ২৫ দশমিক ৩৯ বিলিয়ন ডলার।
গত জুন মাস শেষে রেমিট্যান্সে আয়ের প্রবৃদ্ধি, রপ্তানি আয় বৃদ্ধি এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার ঋণ পাওয়ার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার গ্রস রিজার্ভ বেড়ে ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার হয়। এরপর গত জুলাইর প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নে (আকু) ২০২ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ। তখন গ্রস রিজার্ভ কমে দাঁড়ায় ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন ডলারে। আর বিপিএম-৬ অনুযায়ী তা ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলার। এরপর কমলেও আজ বুধবার রিজার্ভ বেড়ে ৩১ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করেছে।
অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর বাজারের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রাখায় বৈদেশিক মুদ্রার বিনিময় হার স্থিতিশীল ছিল। বিশেষ করে ডলারের দাম ১২২-১২৩ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ রাখে। বিপরীত দিকে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়তে থাকে। ফলে মাঝে মধ্যে বাজার থেকে ডলার কেনে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেইসঙ্গে দাতা সংস্থার অনুদান রিজার্ভ বাড়ায় সহায়ক ভূমিকা পালন করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪৮ বিলিয়ন ডলারে। করোনা পরবর্তী সময়ে সংকট মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করে। ফলে ধীরে ধীরে কমতে থাকে রিজার্ভ। যা অন্তবর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে।
ঢাকা/নাজমুল/বকুল