ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় না সংসদ নির্বাচন হবে সেটা বিরাট প্রশ্ন: গয়েশ্বর চন্দ্র
Published: 25th, February 2025 GMT
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বাবু গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, কে কে যেন ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের কথা বলছে। এটা কতটুকু সত্য আমি জানি না। মাঝখানে জামায়াতে ইসলামী ঢুকে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চায়। ডিসেম্বরের মধ্যে স্থানীয় সরকার নির্বাচন হবে, না জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সেটা বিরাট প্রশ্ন। আমরা ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ ও পৌরসভা নির্বাচনের জন্য আন্দোলন করিনি। আমরা আন্দোলন করেছি জনগণের ভোটের অধিকারের মধ্য দিয়ে স্বচ্ছতার সঙ্গে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একটি পার্লামেন্ট, একটি সরকার। সেটি এখনও হয়নি। আমরা আন্দোলন করেছি একটি জনপ্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের জন্য। জনগণের ভোটের অধিকার আদায়ের জন্য। মঙ্গলবার বিকেলে গাজীপুর জেলা শহরের রাজবাড়ি ময়দানে জেলা বিএনপির সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমরা নির্বাচনের কথা শুনি না। সকাল-বিকাল সংস্কারের কথা শুনি। ১৭ বছর যাবৎ সংস্কারের কথা শুনছি। মইনুদ্দিন-ফখরুদ্দিন সংস্কার শুরু করেছে। সে সংস্কারের যা অসমাপ্ত আছে সেটা সমাপ্ত করার দায়িত্ব কি এ সরকার নিয়েছে কিনা আমি জানি না। আমরা ১৭ বছর ধরে আন্দোলন করছি নির্বাচনের জন্য। এটা নতুন কোনো দাবি না। এ নির্বাচনটা এখনও দেয়নি।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, শান্তিপূর্ণ অবস্থায় আমরা একটি সঠিক নির্বাচন চাই। নিরপেক্ষ, নির্দলীয় নির্বাচন। যে নির্বাচনে জনগণ হাসতে হাসতে ভোট কেন্দ্রে যাবে। একটা উৎসবের মধ্যে যার যার ভোট সে সে দেবে। যার ভোট সে দেবে। যাকে খুশি তাকে দেবে এবং দিনের ভোট দিনে দেবে রাতে দেবে না।
তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করবে শুক্রবার। সেটা ভালো। দলটা করে মাঠে নামেন আর আপনার দলের যারা মন্ত্রিসভায় আছেন তাদেরকে নামিয়ে আনেন। গাছেরটাও খাবেন আর নিচেরটাও খাবেন দুইটা এক সাথে খেতে পারবেন না। একটা খাবেন। হয় রাজনৈতিক দল করবেন রাস্তায় নামবেন আর না হয় সরকারেরটা খাচ্ছেন খান, চুপ করে বসে থাকেন। ডিক্লারেশন অব ৫ আগস্ট তাদের লেখাটা পড়লাম, কোনো জায়গায় মুক্তিযুদ্ধের কথাটা নেই। একাত্তরে নাকি জনযুদ্ধ হয়েছে, মুক্তিযুদ্ধ হয়নি। অর্থাৎ যারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে স্বীকার করে না তারা রাষ্ট্রীয়ভাবে রাষ্ট্রদ্রোহী।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাবেক এমপি একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে সদস্য সচিব চৌধুরী ইশরাক আহমেদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সমাবেশে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আরও বলেন, ড.
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী ছাইয়্যেদুল আলম বাবুল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ওমর ফারুক শাফিন, জেলা বিএনপির যুগ্ন আহবায়ক অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, শাহ রিয়াজুল হান্নান, আক্তারুল আলম মাস্টার, আবু তাহের মুসল্লী, বিল্লাল হোসেন বেপারী প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ২৪ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট ছাত্ররা কোটা বাতিলের দাবিতে নেমেছিল আমরা তাদের প্রথম দিনই নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। তারপর আমরা সর্বাত্বক সমর্থন দিয়েছি। তারপর আমরা ছদ্ববেশে সে আন্দোলনে ঢুকে গেছি। জুলাই বিপ্লবের বিজয়ের ফসলের শিরোপা তোমাদের মাথায় তুলে দিয়েছি। অবহেলা, অযত্ন, অহংকার বোধে সে শিরোপা যেন মাথা থেকে না পড়ে যায়। তোমরা কষ্ট না পেলেও জাতি কষ্ট পাবে। সম্প্রতি যে অহমিকাসুলভ কথাবার্তা, রাজনৈতিক নেতাদের নিয়ে তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করা এটা অত্যন্ত গর্হিত কাজ। তিনি বলেন, এ মূহূর্তে দরকার নির্বাচিত সরকার। নির্বাচিত সরকার ছাড়া জনগণের কাছে কেউ দায়বদ্ধ থাকে না। বর্তমান অন্তবর্তীকালীন সরকার জনগণের কাছে দায়বদ্ধ না।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ব এনপ র জনগণ র র জন য সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
লন্ডন বৈঠকে অবিশ্বাস দূর, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের পথ সুগম হবে: সাইফুল হক
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠক দেশে আগামী সংসদ নির্বাচনকেন্দ্রিক অচলাবস্থা, সন্দেহ ও অবিশ্বাস দূর করবে বলে আশা করছেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক। আজ শনিবার সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে এ কথাগুলো বলেন তিনি।
লন্ডনে দুই নেতার বৈঠকের বিস্তারিত সব রাজনৈতিক দল ও জনগণের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রকাশ করারও আহ্বান জানিয়েছেন সাইফুল হক।
সরকারের এই উদ্যোগ বিলম্বিত বোধদয়ের ফল বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। সাইফুল হক বলেন, আরও আগে সরকারের এই বোধদয় হলে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত বিতর্ক ও রাজনৈতিক বিরোধ এড়িয়ে নির্বাচনের প্রস্তুতিসহ মৌলিক কাজে আরও বেশি মনোযোগ দেওয়া যেত।
সব অংশীজনকে আস্থায় নিয়ে সরকারকে কাজ করার আহ্বান জানান সাইফুল হক। তিনি বলেন, এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচনের মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকারের সম্মানজনক প্রস্থানের রাস্তা সুগম হলো।
বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাইফুল হক বলেন, দেশের মানুষের অধিকার ও মুক্তি অর্জনে তাঁর দল জনগণের ভালোবাসা নিয়ে আগামীতে আপসহীন ধারায় সংগ্রাম অব্যাহত রাখবে।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির রাজনৈতিক পরিষদের সদস্য বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল ও মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক। সমাবেশে সংহতি জানান গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র পরিষদের আহবায়ক শেখ আবদুর নূর।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম মীর, রেজাউল আলম, ফিরোজ আলী, কেন্দ্রীয় সংগঠক আইয়ুব আলী, বাবর চৌধুরী, ঢাকা মহানগর কমিটির নেতা মো. সালাউদ্দীন, মিজারুল রহমান ডালিম, আরিফুল ইসলামসহ পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতারা।