সিনেমা চলতে চলতে হলের পর্দায় আগুন লাগার ঘটনার সাক্ষী হল দর্শক। বুধবার বিকেলে ভারতের নয়া দিল্লির একটি শপিংমলের প্রেক্ষাগৃহে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ হতাহত হয়নি।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, পিভিআর সিনেমা হলে ‘ছাবা’র শো চলাকালীন আগুন লাগে। সেই অগ্নিকাণ্ডের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
ভাইরাল একটি ভিডিওতে দেখা যায়, প্রেক্ষাগৃহে পর্দার এক কোণায় আগুন লাগে। সেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে পুরো পর্দাজুড়ে। আর এ সময় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে প্রেক্ষাগৃহে।
হলের ভেতর থাকা দর্শকরা জানান, আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গেই ফায়ার অ্যালার্ম বাজতে থাকে। সেই আওয়াজে আরও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সবাই দ্রুত বাহিরের দরজা দিয়ে বের হতে চান। ভিড়ের জন্য আর ঠেলাঠেলির কারণে বেড়ে যায় আতঙ্ক। এরপর দ্রুত খালি করে দেওয়া হয় সিনেমা হল।
দিল্লির এক দমকল কর্মকর্তা জানিয়েছেন, তাদের কাছে বিকেল ৫টা বেজে ৪২ মিনিটে আগুন লাগার খবর আসে। সঙ্গে সঙ্গে বেশ কিছু দমকল ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। ৫টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে বলে এএনআই সূত্রের খবর। এই ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি। সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস ও এই সময়।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স ন ম হল
এছাড়াও পড়ুন:
সন্দ্বীপ চ্যানেলে মাঝপথে জ্বালানি শেষ স্পিডবোটের, ২৭ যাত্রী নিয়ে ভেসে ছিল আড়াই ঘণ্টা
সন্দ্বীপ চ্যানেলে দুর্ঘটনায় পড়া একটি স্পিডবোট আড়াই ঘণ্টা সাগরে ভেসে থাকার পর কূলে পৌঁছেছে। বোটটিতে ৩ শিশু, ২ নারীসহ মোট ২৭ জন যাত্রী ছিলেন।
আজ সোমবার দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের সন্দ্বীপের গুপ্তছড়া ঘাট থেকে ছেড়ে আসা বোটটি বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সীতাকুণ্ড উপজেলার ছোট কুমিরা উপকূলে পৌঁছায়। বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠানটি হলো সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিস।
বোটের কয়েকজন যাত্রী প্রথম আলোকে জানান, কুমিরা ঘাটের কাছাকাছি আসতেই বোটটির গতি কমে যায়। এরপর প্রবল ঢেউ ও স্রোতের মুখে বারবার পানিতে আছড়ে পড়তে থাকে। চালক তখন যাত্রীদের জানান, বোটের জ্বালানি শেষ হয়ে গেছে। এর মধ্যে বোটের সামনের অংশে পানি ঢুকতে দেখা যায়। আতঙ্কিত যাত্রীরা তখন চিৎকার করতে থাকেন। পরে বোটটি ভাসতে ভাসতে কূলে পৌঁছায়।
বোটে থাকা যাত্রী ফুয়াদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বোটের তলা ফেটে পানি ঢুকছে আর আমরা এক কিলোমিটার দূরে উত্তাল সাগরে ভাসছি। একপর্যায়ে মনে হচ্ছিল বেঁচে ফিরতে পারব না, এমনকি সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়ার কথাও ভাবছিলাম। কিন্তু ভাগ্য ভালো, শেষ পর্যন্ত কূলে পৌঁছাতে পেরেছি।’
বেলা সাড়ে তিনটার দিকে সবাই নিরাপদে কূলে নামতে সক্ষম হন বলে জানান ফুয়াদ।
বিকেলেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্পিডবোট ডুবে যাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ে। এতে প্রাণহানির আশঙ্কায় অনেকেই উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং বিষয়টির কারণ জানতে বিভিন্ন মন্তব্য করেন।
জানতে চাইলে বোট পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান সন্দ্বীপ মেরিন সার্ভিসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. নাসির উদ্দিন বলেন, ‘বোটের জ্বালানি শেষ হয়নি। তীব্র স্রোতের কারণে বোটটি কুমিরা ঘাট থেকে উত্তরে সরে গিয়ে তীরের কংক্রিট ব্লকে ধাক্কা খায়। এতে বোটের নিচের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কিন্তু যাত্রীরা সবাই নিরাপদে কূলে পৌঁছাতে সক্ষম হন।’
বৈরী আবহাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও বোট চালানোর বিষয়ে জানতে চাইলে নাসির উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সার্ভিস বন্ধ ছিল। তবে বিদেশগামী কয়েকজন যাত্রীর অনুরোধে এই একটি ট্রিপ চালু করতে হয়েছে।’
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) চট্টগ্রাম অঞ্চলের উপপরিচালক মো. কামরুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বৈরী আবহাওয়ার কারণে এই সময়ে বোট চলাচলের অনুমতি ছিল না। তিনি বলেন, মাঝ সাগরে জ্বালানি শেষ হওয়ার যে কথা বলা হচ্ছে, তার দায় চালক ও মালিকের। ইতিমধ্যে স্বত্বাধিকারীদের কাছে কৈফিয়ত তলব করা হয়েছে। চালকের লাইসেন্স স্থগিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।