অধিকাংশ পদে বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীদের জয়
Published: 27th, February 2025 GMT
জামালপুর জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে ১৪টিতে জয় লাভ করেছেন বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত আইনজীবী ঐক্য পরিষদের প্রার্থীরা। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ১২টি পদে বিএনপি ও দুটি পদে জামায়াতপন্থী এবং একটি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন।
গতকাল বুধবার ভোট গ্রহণ শেষে রাত একটায় ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির প্রধান আবদুল বারী। নির্বাচনে ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেলের গোলাম নবী (বিএনপিপন্থী) ১৯৩ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র (আওয়ামীপন্থী) প্রার্থী নজরুল ইসলাম পেয়েছেন ১৫২ ভোট। এবারের নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী আইনজীবীদের কোনো প্যানেল ছিল না।
অন্যদিকে ১৭৯ ভোট পেয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেলের রিশাদ রেজওয়ান (বিএনপিপন্থী)। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এককভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী শামসুজ্জোহা ইসমাইল (আওয়ামীপন্থী) পেয়েছেন ১২২ ভোট।
বিএনপি-জামায়াত সমর্থিত ‘আইনজীবী ঐক্য পরিষদ’ প্যানেল থেকে নির্বাচিত বাকিরা হলেন সহসভাপতি পদে আবদুল আওয়াল (জামায়াতপন্থী) ও জামিল হাসান; সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মতি ও মোবারক হোসেন; অডিটর শফিকুল ইসলাম; পাঠাগার ও সাহিত্যবিষয়ক সম্পাদক শামীমা তাসনিম; ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম। সেই সঙ্গে নির্বাহী কমিটির সদস্য পদে শাহাজাদা মিয়া, আল আমীন, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন, মাহমুদা আক্তার ওরফে স্বপ্না, আছিমুল ইসলাম (জামায়াতপন্থী) ও আজাদী হাসান ওরফে মামুন (গণতন্ত্র মঞ্চ) নির্বাচিত হয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার আবদুল বারী ফলাফল ঘোষণার সময় গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। জেলা আইনজীবী সমিতির ৪২৪ ভোটারের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ৩৬৮ জন। ১৫টি পদে দুটি প্যানেলসহ স্বতন্ত্র প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: স বতন ত র ল ইসল ম আইনজ ব হয় ছ ন আবদ ল ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনায় বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া প্রশ্নে রুল
চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল (এনসিটি) পরিচালনায় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের বিদেশি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তির চলমান প্রক্রিয়া কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ বুধবার এ রুল দেন। একই সঙ্গে যেকোনো অপারেটরকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব (নিযুক্ত) দেওয়ার আগে সংশ্লিষ্ট আইন ও নীতি অনুসারে ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক পাবলিক বিডিং (দরপত্র আহ্বান) নিশ্চিত করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
আরও পড়ুননতুন ব্যবস্থাপনায় নিউমুরিং টার্মিনাল পরিচালনা শুরু০৭ জুলাই ২০২৫নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল বিদেশি প্রতিষ্ঠানের হাতে ছেড়ে দেওয়ার প্রক্রিয়ার বৈধতা নিয়ে বাংলাদেশ যুব অর্থনীতিবিদ ফোরামের পক্ষে সংগঠনটির সভাপতি মির্জা ওয়ালিদ হোসাইন রিটটি করেন। রিটে নৌসচিব, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান ও পিপিপি কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিবাদী করা হয়।
‘নিউমুরিং টার্মিনালে সবই আছে, তবু কেন বিদেশির হাতে যাচ্ছে’ শিরোনামে গত ২৬ এপ্রিল প্রথম আলোয় একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। এ প্রতিবেদনসহ এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন যুক্ত করে এনসিটি পরিচালনায় ন্যায্য ও প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র আহ্বান করার নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করা হয়।
আগের ধারাবাহিকতায় ৯ জুলাই রিটের ওপর শুনানি শেষ হয়। সেদিন আদালত ২৩ জুলাই আদেশের জন্য দিন রাখেন। ধার্য তারিখে আদালত আদেশের জন্য ৩০ জুলাই দিন রাখেন। এ অনুসারে আজ বিষয়টি আদেশের জন্য আদালতের কার্যতালিকার ৭ নম্বর ক্রমিকে ওঠে।
আজ মধ্যাহ্নবিরতির পর আদালত আদেশ দেন। আদালত বলেন, শুধু রুল দেওয়া হলো।
আদেশের সময় রিটের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও আহসানুল করিম এবং আইনজীবী কায়সার কামাল ও আনোয়ার হোসেন উপস্থিত ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মহাদ্দেস-উল-ইসলাম।
পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল পরিচালনার নতুন দায়িত্ব নিয়েছে নৌবাহিনীর প্রতিষ্ঠান চিটাগং ড্রাইডক লিমিটেড। টার্মিনালটি পরিচালনার জন্য বন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের চুক্তির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ৬ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে এ দায়িত্ব নেয় জাহাজ মেরামতের এ প্রতিষ্ঠান। প্রথমবারের মতো বন্দরে টার্মিনাল পরিচালনায় যুক্ত হলো চিটাগং ড্রাইডক।
চট্টগ্রাম বন্দরের বৃহৎ এই টার্মিনাল নির্মিত হয় ২০০৭ সালে। টার্মিনালটি নির্মাণ ও যন্ত্রপাতি সংযোজনে বন্দর কর্তৃপক্ষ ধাপে ধাপে মোট ২ হাজার ৭১২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছে। বন্দরের আমদানি-রপ্তানি কনটেইনারের সিংহভাগ এই টার্মিনাল দিয়ে পরিবহন হয়।