কারওয়ান বাজারে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব
Published: 27th, February 2025 GMT
দুই দিন আগে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পুলিশের হাত থেকে ছিনিয়ে নেওয়া মাদক কারবারি শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কারওয়ান বাজার থেকে তাঁকে ও তাঁর সহযোগী দিন ইসলামকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয় বলে র্যাব–২–এর সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
গত মঙ্গলবার শাহিন আলমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। কিন্তু পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁর সহযোগীরা। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় শাহিন আলম ও তাঁর সহযোগীদের বিরুদ্ধে মামলা করে।
আজ র্যাব-২–এর পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে তেজগাঁও থানার একদল টহল পুলিশ কারওয়ান বাজার এলাকায় টহলে যায়। এ সময় শাহিন আলম (২৭) মাদক বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ পুলিশ দেখে তিনি পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু পুলিশ তাঁকে ধরে ফেলে। এ সময় তাঁর চিৎকারে অন্য মাদক ব্যবসায়ীরা দেশীয় অস্ত্র, চাপাতি ও ছুরি দিয়ে পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে শাহিনকে ছিনিয়ে নিয়ে যান। ওই ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে।
র্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পুলিশের কাছ থেকে মাদক কারবারিকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় দেশব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে বেশ আলোচনা হয়। ওই ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে র্যাব–২ আজ দুপুরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কারওয়ান বাজার এলাকা থেকে তাঁকে ও তাঁর সহযোগী দিন ইসলামকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শাহিন জানিয়েছেন, তিনি মাদক কারবারি। তাঁর নেতৃত্বে কারওয়ান বাজার এলাকায় চাঁদাবাজি, মাদকের কারবার, ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালিত হয়।
র্যাব জানায়, শাহিনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় মাদক ও দস্যুতার অভিযোগে একাধিক মামলা রয়েছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক রওয় ন ব জ র গ র প ত র কর র সহয গ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রাম মহানগরীর চান্দগাঁওয়ে শহিদুল ইসলাম শহিদকে হত্যার মামলায় অভিযোগপত্র আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ। এ মামলায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলসহ ২৩১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চান্দগাঁও থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) নুরুল হক গত বুধবার (৩০ জুলাই) আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্র জমা দিয়েছেন।
শনিবার (২ আগস্ট) চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব আহমেদ অভিযোগপত্র জমা দেওয়ার তথ্য সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
চবি ছাত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পুলিশ জানিয়েছে, গত বছরের জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলার সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দায়ের করা কোনো মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল করা হলো।
২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মহানগরীর বহদ্দারহাটে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ (বর্তমানে কার্যক্রম নিষিদ্ধ) ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর নেতাকর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় একাধিক পিস্তল, শটগানসহ ভারী অস্ত্র দিয়ে আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়েছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মীরা।
এর আগে নিউ মার্কেট মোড়ে সমাবেশ করে ছাত্র-জনতা মিছিল নিয়ে যাওয়ার পথে ষোলশহর মেয়র গলিতে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে হামলা চালায়। এর পর বহদ্দারহাট মোড়-সংলগ্ন সাবেক সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীর বাসভবনে হামলা হয়। ওই সময় গুলিবিদ্ধ হন অটোরিকশাচালক শহিদ। তাকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর শহিদের ভাই শফিকুল ইসলাম চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন।
আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি আইনের ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দেওয়া হয়েছে। উল্লেখযোগ্য অপর আসামিরা হলেন— চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরী, এম এ লতিফ, আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামউদ্দীন নদভী, মহিউদ্দিন বাচ্চু, আবদুচ ছালাম, দিদারুল আলম দিদার, এস এম আল মামুন ও নোমান আল মাহমুদ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের সাবেক কাউন্সিলর এসরারুল হক, নুর মোস্তফা টিনু, সলিমুল্লাহ বাচ্চু, জিয়াউল হক সুমন ও নুরুল আজিম রনিসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
আগামী ২৫ আগস্ট বাদীর উপস্থিতিতে অভিযোগপত্রের ওপর শুনানি হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। অভিযোগপত্রে ১২৮ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ২৮ জন সাধারণ মানুষ, ৯৯ জন পুলিশ ও ১ জন চিকিৎসক।
ঢাকা/রেজাউল/রফিক