২৯ বছরে প্রাচ্যনাট: শিল্পকলায় দিনভর নানা আয়োজন
Published: 28th, February 2025 GMT
২৯ বছরে পদাপর্ণ করল নানা প্রযোজনার মধ্য দিয়ে দর্শক প্রশংসা কুড়ানো নাট্যদল প্রাচ্যনাট। গত ২১ ফেব্রুয়ারি দলটি এ মাইলফলক স্পর্শ করেছে। এ উপলক্ষে মাসব্যাপী নানা আয়োজন করেছে প্রাচ্যনাট। সেসব আয়োজনের অংশ হিসেবে আজ রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজন করা হচ্ছে ২৯ বছরে পদার্পণের সমাপনী অনুষ্ঠান। উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্যরা জানান, জাতীয় চিত্রশালায় বিকেল ৩টা থেকে শুরু হবে তাদের অনুষ্ঠান পর্ব।
শুরুতেই থাকছে শিশুদের জন্য নাটক, পাপেট ও ক্র্যাফট মেকিং ওয়ার্কশপ। যেখানে অংশ নেবে নাট্যদল বটতলা, জলছবি ও জলপুতুল পাপেট। এরপর বিকেল ৫টায় প্রাচ্যনাটের পরিবেশনায় থাকছে লাঠি খেলা। এটি অনুষ্ঠিত হবে চিত্রশালার লবিতে। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্ব শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়। প্রাচ্যনাটের কোরিওগ্রাফি টিম পরিবেশনা ‘সৃজনে সংগ্রামে ২৯’ নাট্যায়োজন দিয়ে শুরু হবে এ পর্ব। এরপর সাড়ে ৬টায় প্রাচ্যনাটের পরিবেশনায় থাকছে নাটকের গান ‘ফুল পাখি ও নদীর গান’।
সবশেষে চিত্রশালা মিলনায়তনে থাকছে সংগীতায়োজন ‘প্রাণের মানুষের গান’। এতে সংগীত পরিবেশন করবে দেশের আলোকিত গানের দল জলের গান, সর্বনাম ও বটতলা। এ ছাড়াও চিত্রশালার লবিতে দিনব্যাপী থাকছে শিল্পকর্ম ও নাটকের আলোকচিত্র প্রদর্শনী। সব মিলিয়ে এ আয়োজন দর্শক-শ্রোতার প্রত্যাশা পূরণ করবে বলেও আয়োজকরা আশা প্রকাশ করেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সমাজকর্ম বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুব্রত কুমার বিশ্বাসকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭৩তম রিজেন্ট বোর্ড সভায় ২৬ জুলাই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বিষয়টি জানাজানি হয়।
সুব্রত কুমার বিশ্বাস পাবনার ঈশ্বরদী পৌর শহরের পোস্ট অফিসপাড়ার বাসিন্দা। তাঁর বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের সান্ধ্যকালীন (ইভিনিং) স্নাতকোত্তর শ্রেণির এক ছাত্রী যৌন হয়রানির লিখিত অভিযোগ করেছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত শিক্ষক ওই ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন এবং বিয়ের আশ্বাসে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান। কিন্তু পরে বিয়েতে অস্বীকৃতি জানালে ছাত্রীটি ২০২৩ সালের ২২ সেপ্টেম্বর বিভাগের প্রধানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। এরপর ২৩ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিল একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। তদন্ত কমিটি ওই বছরের ৯ অক্টোবর শিক্ষক সুব্রতকে সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সুপারিশ করে রেজিস্ট্রার বরাবর চিঠি দেয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়নবিরোধী সেল বিষয়টি নিয়ে উচ্চতর তদন্ত করে। তদন্তে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হয়। এরপর তদন্ত কমিটি তাঁকে স্থায়ীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারের সুপারিশ করে। এ সুপারিশের ভিত্তিতেই রিজেন্ট বোর্ড বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষক সুব্রত কুমার বিশ্বাসের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এস এম আবদুল আওয়াল প্রথম আলোকে বলেন, রিজেন্ট বোর্ডে একজন শিক্ষককে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এটি আইন অনুযায়ীই হয়েছে।