রাজশাহীতে সমঝোতা সংলাপ অনুষ্ঠিত
Published: 28th, February 2025 GMT
রাজশাহীতে রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন ও জুলাই ৩৬ ফোরাম-অপরাজেয় বাংলা’র উদ্যোগে ‘সমঝোতা ব্যতীত সংবিধান সংস্কার কি সম্ভব’ শীর্ষক রাজশাহী বিভাগীয় সমঝোতা সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সংলাপে বক্তারা বলেছেন, “এখনও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে ফ্যাসিবাদব্যবস্থা বিরাজ করছে। রাজনৈতিক দলগুলোরও সংস্কার প্রয়োজন।”
রাজশাহীর বরেন্দ্র কলেজে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত চলা এই সমঝোতা সংলাপে বক্তারা মুক্ত আলোচনায় বলেন, “গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদ সরকারের পতন হলেও বাংলাদেশ থেকে চূড়ান্ত ফ্যাসিবাদ বিলোপ করা সম্ভব হয়নি। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যেও ফ্যাসিবাদ ব্যবস্থা বিরাজমান রয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যেও সংস্কার প্রয়োজন।”
তারা বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ এখনো তার ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক অবক্ষয় হিসেবে চুরি, ছিনতাই, ডাকাতি ও চাঁদাবাজি প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে নতুন বিজয়ের সূচনা হলেও এখন পর্যন্ত কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। বাংলাদেশে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও শিক্ষাক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সংস্কার ও সমঝোতা জরুরি।”
সংলাপের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম। সভাপতিত্ব করেন রাজশাহী বিভাগীয় সমন্বয়ক মাহমুদ জামাল কাদেরী।
বক্তব্য রাখেন- ড্যাবের জেলা সভাপতি ডা.
ঢাকা/কেয়া/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন ত ক সমঝ ত
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।