যারা জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকে মূল্যায়ন করবো : সজল
Published: 28th, February 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল বলেছেন, আপনারা দীর্ঘদিন রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করে জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। জুলুম নির্যাতনের শিকার হয়েছেন তাদেরকে আমরা মূল্যায়ন করবো ইনশাল্লাহ।
আজকে আমরা আপনাদের মতামত পরামর্শ নিলাম। আমরা সিনিয়র নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপ আলোচনা করে যারা আপনাদের বিপদ আপদে পাশে থাকবে এমন নেতাকেই নির্বাচিত করে দিব।
আমরা এমন নেতা নির্বাচিত করব না যে নেতা তাদের কর্মীদের রেখে শেখ হাসিনার মতন পালিয়ে যাবে। শেখ হাসিনা পালিয়ে গিয়ে তাদের কিশোর গ্যাং চোর বাটপার নেতাকর্মীদেরকে রেখে গেছে তারা এখন সারাদেশে চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ সমাজে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করছে।
সেই নেতাকর্মীরা এখন শেখ হাসিনাকে গালি দিচ্ছে যে শেখ হাসিনা তাদেরকে রেখে পালিয়ে গেছেন। এখন তাদেরকে চুরি ছিনতাই ডাকাতি করে খেতে হয়। আমরা আপনাদেরকে এমন নেতা নির্বাচিত করে দিব যে নেতা নেতাকর্মীদের সুখে দুখে পাশে থাকবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল নারায়ণগঞ্জ মহানগর শাঁখার আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানা ১১নং ওয়ার্ড যুবদলের কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথাগুলো বলেন।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেল তিনটায় শহরের কিল্লারপুলে মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সাইফুল ইসলাম আপনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এই কর্মীসভার আয়োজন করা হয়।
তিনি বলেন, ৫ তারিখে রাজনীতি ছিল একরকম আর ৫ তারিখের পরে রাজনীতি হয়েছে অন্যরকম।
৫ তারিখের আগে আমাদেরকে খুনি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করতে হয়েছে। তখন আমাদের রাজনীতি ছিল চোর পুলিশের মতন শেখ হাসিনার সকল অপকর্মের বিরুদ্ধে রাজপথে আন্দোলন করতে হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছিল।
সেই অপশক্তি যেন আর নতুন করে মাতা নেড়ে উঠতে না পারে তার জন্য আপনাদের সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। আর ৫ তারিখের পর থেকে কিন্তু এ দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের মতো রাজনীতি আমাদের কাছ থেকে আশা করেনা।
আমাদের নেতা তারেক রহমান বিগত ১৭টি বছর আমাদেরকে সুদূর প্রবাস থেকেও আন্দোলন সংগ্রামের নেতৃত্ব দিয়েছেন এখনো দিয়ে যাচ্ছেন। আর ৫ তারিখের পরে আমাদের নেতা সকল হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে মানবিক হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। যারা আমাদের ক্ষতি করেছে আমরা তাদের ক্ষতি করতে চাই না।
যারা অপকর্ম করেছে তাদের অপকর্মই তাদেরকে জেলে দিতে হবে এবং তাদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হবে। সুতরাং আপনারা কারো ক্ষতি করতে যাবেন না।
তিনি আরও বলেন, আগামী যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনে কিন্তু আপনাদেরকে জনগণের কাছে যেতে হবে এবং দলীয় প্রার্থীর পক্ষে ভোট চাইতে হবে। আগামী নির্বাচন কিন্তু আগে নির্বাচনের মত রাতে সিল মেরে নিয়ে যাবেন তা হবে না।
আমাদের নেতা তারেক রহমান আগামীতে যে নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের জনগণের ভোটে বিএনপিকে ক্ষমতায় আনতে চায়। সুতরাং আপনাদেরকে কিন্তু আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করবেন। কারন আমাদের নেতা আমাদেরকে বলেছেন আমরা যেন মানুষের হৃদয় অবস্থান করি।
আমরা যেন মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থাকি। আমাদের কিন্তু সন্ত্রাসীদের মতো আচরণ করলে চলবে না। যুবদলের নেতাকর্মীরা কোন চাঁদাবাজি সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকতে পারবে না। কারণ এদেশের জনগণ বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে ভালোবাসেন। কারণ দীর্ঘ এই ১৭টি বছর বিএনপির নেতাকর্মীরা আওয়ামী লীগের জুলুম অত্যাচার নির্যাতনেও পাহাড় সমান শক্তি সাহস নিয়ে রাজপথে টিকে ছিল।
তিনি আরও বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাষ্ট্র কাঠমো সংস্কারে যে ৩১দফা ঘোষণা করেছেন তা বাস্তবায়ন করতে হলে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে একত্রিতফার যেই দফাগুলো আছে তা বুঝাতে হবে। আগামীতে যে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে সেই নির্বাচনের জন্য বিএনপি সহ সকল রাজনৈতিক দল এ অন্তবর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়েছে।
আমরা বিগত ১৭টি বছর গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ও ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কিন্তু আন্দোলন সংগ্রাম করেছিলাম। আগামীতে যেন এদেশের মানুষ আমাদের দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করে তার জন্য আপনারা মানুষদের সাথে মানবিক আচরণ করবেন।
কারণ আপনার এই দীর্ঘদিন এই ভোটের অধিকারের জন্য কিন্তু রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে সুতরাং আগামী নির্বাচন পর্যন্ত আপনাদেরকে রাজপথে থাকতে হবে। ইনশাআল্লাহ আগামী নির্বাচনে জনগণের ভোটের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর যুবদলের সদস্য সচিব সাহেদ আহমেদের সভাপতিত্বে কর্মী সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরে এলাহী সোহাগ, যুগ্ম আহ্বায়ক রুহুল আমিন, যুগ্ম আহ্বায়ক সাজ্জাদ হোসেন কমল, যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ মোহাম্মদ অপু, যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, যুগ্ম আহ্বায়ক মোফাজ্জল হোসেন আনোয়ার, যুগ্ম আহ্বায়ক শাকিল মিয়া, যুগ্ম আহ্বায়ক আহসান খলিল শ্যামল, যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল আলম সজিব, যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন সেন্টু, যুগ্ম আহ্বায়ক আক্তারুজ্জামান মৃধা, আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রাফি উদ্দিন রিয়াদ, শহিদুল ইসলাম,ওয়াদুদ ভূইয়া সাগর, পারভেজ খান, মোঃ আরমান হোসেন, কামরুল ইসলাম রনি, মিনহাজ মিঠু, আশিকুর রহমান অনি, জুয়েল রানা, কামরুল হাসান মাসুদ, এরশাদ আলী, ফয়েজ উল্লাহ সজল,আলী ইমরান শামীম, তরিকুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম আপন, শাহীন শরীফ, মাগফুর ইসলাম পাপন, জুনায়েদ আলম ঝলক, ফয়সাল আহমেদ, সাইদুর হাসান রিপন, আরিফ খান, কায়সার আহমেদ, এড.
এছাড়াও মহানগর যুবদলের আওতাধীন নারায়ণগঞ্জ সদর থানার বিভিন্ন ওয়ার্ডের যুবদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: য বদল ন র য়ণগঞ জ ন র ব চ ত কর ত র ক রহম ন ন র য়ণগঞ জ আম দ র ন ত ন ত কর ম র র ন ত কর ম র য বদল র কর ম দ র র রহম ন আপন দ র ল ইসল ম অপকর ম র জন ত র জন য র জপথ আপন র ব এনপ
এছাড়াও পড়ুন:
জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যু সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব: সালাহউদ্দ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, ‘‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন ইস্যুর সমাধান আলোচনার টেবিলেই সম্ভব।’’
তিনি মনে করেন, আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান এলে যেকোনো অসাংবিধানিক প্রক্রিয়া ঠেকানো যাবে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘‘আগামী নির্বাচনকে যদি অনিশ্চিত করা হয় বা বিলম্বিত করা হয়, তাহলে তার সুযোগ নেবে ফ্যাসিবাদী বা অসাংবিধানিক শক্তি। এর পরিণতি জাতি অতীতে বহুবার ভোগ করেছে। আমরা আবার সে পরিস্থিতি চাই না।’’
অন্তর্বর্তী সরকারের বৈধতা নিয়ে পৃথক এক প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের মতামতের ভিত্তিতেই সাংবিধানিকভাবে এই সরকার গঠিত হয়েছে। রাষ্ট্রপতির রেফারেন্সে দেওয়া সেই মতামত এখনো বহাল আছে। এর বিপরীতে সুপ্রিম কোর্ট কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই এ বিষয়ে প্রশ্ন তোলা আসলে রাজনৈতিক বক্তব্য, এর কোনো আইনি ভিত্তি নেই।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘যেকোনো সাংবিধানিক আদেশ জারি হলে তা আগামীকাল বা পরশু চ্যালেঞ্জ হতে পারে। আমরা এমন খারাপ নজির জাতির সামনে আনতে চাই না। তাই সমাধানের বিকল্প প্রস্তাব উত্থাপন করেছি। সবাইকে বিবেচনায় নিতে আহ্বান জানাচ্ছি।’’
পিআর পদ্ধতি প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘‘রাজনৈতিক দলের আন্দোলনের অধিকার আছে। তবে পিআর পদ্ধতি চাপিয়ে দেওয়ার বিষয় নয়, শেষ পর্যন্ত জনগণই সিদ্ধান্ত নেবে।’’
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘‘পিআর পদ্ধতিতে ঝুলন্ত পার্লামেন্টের ঝুঁকি থেকে যায়। তাতে রাষ্ট্র ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণ সম্ভব হয় না। আমরা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে যেতে পারি না।’’
সালাহউদ্দিন আহমদ আরো বলেন, ‘‘জনগণই হলো সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ। এই দেশের জনগণ মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছে এবং বারবার গণতন্ত্রকে সংকট থেকে উদ্ধার করেছে।’’
আগামী সংসদে কিছু মৌলিক বিষয়ে সংশোধনের পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘‘আমরা কিছু বিষয়ে ইতোমধ্যে একমত হয়েছি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের সনদের ভেতরে যেসব পরিবর্তন হবে, সেগুলোতে অবশ্যই গণভোট নিতে হবে।’’
ঢাকা/আসাদ/রাজীব