দহগ্রাম সীমান্তে ফের কাঁটাতারের বেড়া দিল বিএসএফ
Published: 1st, March 2025 GMT
লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বেড়া নির্মাণের প্রতিবাদ জানায়। এর পর থেকে ওই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বিজিবি ও স্থানীয়রা সমকালকে জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে দহগ্রাম কলোনিপাড়া সীমান্ত এলাকায় (প্রধান ডিএএমপি পিলার ২ নম্বরের ৩ থেকে ৮ নম্বর উপপিলার) শূন্যরেখার ৩ থেকে ৫ গজ বাদ দিয়ে ৫০০ গজ সীমান্তে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার খুঁটি নির্মাণ করে পশ্চিমবঙ্গ বিএসএফের ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে তাদের সহায়তা করে ভারতীয় নাগরিকরা। শনিবার সকালে খবর পেয়ে দহগ্রাম আঙ্গরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান বিজিবি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে বিএসএফ সদস্যরাও কাঁটাতারের বেড়ার পাশে অবস্থান নেয়। এতে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।
এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অরুণ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে কলোনিপাড়া শূন্যরেখায় প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক করে বিজিবি। এতে বিজিবির পক্ষে পানবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব আলী ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপরপক্ষে ভারতের বিএসএফ বোটবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার জালম সিংয়ের নেতৃত্বে ৭ সদসস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে বিজিবির টহল ও নজরদারি অব্যাহত আছে।
এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এসএফ কম ন ড র ব এসএফ সদস য
এছাড়াও পড়ুন:
কড়া নজরদারি সুন্দরবন সীমান্তে
দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন জলসীমানা প্রায় দেড়শো কিলোমিটার। ভারতীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, এ সীমানা দিয়ে অনুপ্রবেশ ঠেকাতে বাড়তি তৎপরতা নেওয়া হচ্ছে। খবর আনন্দবাজারের।
খবরে বলা হয়েছে, নদী ও বনভূমি এলাকায় সীমান্ত বরাবর বিএসএফ মোতায়েন আছে। ভাসমান বর্ডার আউটপোস্ট, বঙ্গোপসাগর অংশে কোস্ট গার্ডের নজরদারি চলছে। ড্রোন, সেন্সর ও ক্যামেরা, কিছু জায়গায় নাইট ভিশন ক্যামেরা ব্যবহার করা হচ্ছে। পাশাপাশি, পুলিশের তরফেও উপকূল এলাকায় দিনরাত নজরদারি চলছে।
উপকূল থানাগুলোর পক্ষ থেকে নদীপথে নিয়মিত টহল দেওয়া হচ্ছে। রাতেও উপকূলবর্তী এলাকাগুলিতে নজর রাখা হচ্ছে। নদীপথে কোনো জলযান দেখলেই তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। মৎস্যজীবীদের পরিচয়পত্রও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নদী বা সমুদ্রে এখন মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা চলছে। মৎস্যজীবীদের জলযান চলাচল করার কথা নয়। তাই জলযান দেখলেই তল্লাশি চলছে। বাংলাদেশি জাহাজগুলোতেও পুলিশ তল্লাশি চালাচ্ছে।
সুন্দরবন পুলিশ জেলার সুপার কোটেশ্বর রাও নালাভাট বলেন, আগেও উপকূলবর্তী এলাকায় পুলিশের নজরদারি চলত। এখন বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। দু’বেলা নদী ও স্থলপথে পুলিশের টহল বৃদ্ধি পেয়েছে। নাকা চেকিং হচ্ছে। চলছে তল্লাশিও।
উত্তর ২৪ পরগনাতেও উপকূল এলাকায় নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। নিরাপত্তা বেড়েছে জল ও স্থলসীমান্তে। জল, ভূমি ও আকাশে অত্যাধুনিক ইজ়রাইল রাডারের মাধ্যমে নজরদারি চালাচ্ছে সীমান্তরক্ষী বাহিনী।
ইতোমধ্যে ভারতীয় কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা দফতর জানিয়েছে, বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে ভারতকে আক্রমণ করতে পারে সশস্ত্র সংগঠনগুলো। ফলে সুরক্ষা বাড়াতে বিএসএফের তৎপরতা শুরু হয়েছে। বসিরহাট মহকুমার স্বরূপনগর থেকে হিঙ্গলগঞ্জের হেমনগর কোস্টাল থানা পর্যন্ত ৯৪ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে। তার মধ্যে ৫০ কিলোমিটার জলসীমান্ত। স্থলসীমান্ত ৪৪ কিলোমিটার। সীমান্ত সুরক্ষায় অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর।