লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তের শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। খবর পেয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা সীমান্ত আইন লঙ্ঘন করে বেড়া নির্মাণের প্রতিবাদ জানায়। এর পর থেকে ওই সীমান্তে উত্তেজনা বিরাজ করছে।

বিজিবি ও স্থানীয়রা সমকালকে জানায়, শুক্রবার গভীর রাতে দহগ্রাম কলোনিপাড়া সীমান্ত এলাকায় (প্রধান ডিএএমপি পিলার ২ নম্বরের ৩ থেকে ৮ নম্বর উপপিলার) শূন্যরেখার ৩ থেকে ৫ গজ বাদ দিয়ে ৫০০ গজ সীমান্তে অবৈধভাবে কাঁটাতারের বেড়া ও লোহার খুঁটি নির্মাণ করে পশ্চিমবঙ্গ বিএসএফের ৬ ব্যাটালিয়নের অরুণ ক্যাম্পের সদস্যরা। এতে তাদের সহায়তা করে ভারতীয় নাগরিকরা। শনিবার সকালে খবর পেয়ে দহগ্রাম আঙ্গরপোতা বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান বিজিবি সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় নির্মাণকাজ বন্ধ রেখে বিএসএফ সদস্যরাও কাঁটাতারের বেড়ার পাশে অবস্থান নেয়। এতে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়।

এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় বিজিবি। বিষয়টি নিয়ে শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে অরুণ ক্যাম্পের ক্যাম্প কমান্ডারের সঙ্গে কলোনিপাড়া শূন্যরেখায় প্রায় আধা ঘণ্টাব্যাপী পতাকা বৈঠক করে বিজিবি। এতে বিজিবির পক্ষে পানবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার আইয়ুব আলী ৭ সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। অপরপক্ষে ভারতের বিএসএফ বোটবাড়ী কোম্পানি কমান্ডার জালম সিংয়ের নেতৃত্বে ৭ সদসস্যের প্রতিনিধি দল বৈঠকে অংশ নেন।        

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের পানবাড়ি কোম্পানির কমান্ডার সুবেদার লুৎফর রহমান বলেন, এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। সীমান্তে বিজিবির টহল ও নজরদারি অব্যাহত আছে।

এ বিষয়ে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) রংপুর ৫১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে.

কর্নেল মো. সেলিম আলদীন বলেন, ‘কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে। বিএসএফ জানিয়েছে তাদের দেশের স্থানীয় গ্রামবাসী জেলা প্রশাসনের সহায়তায় নাকি কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করেছে। আমরা বলেছি এসব মৌখিক কথা মানিনা। তাদেরকে কমিডমেন্ট ঠিক রাখতে বলা হয়েছে। বিএসএফ তাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ ব্যাপারে সমাধান করবেন বলে আমাদের জানিয়েছে।’  

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এসএফ কম ন ড র ব এসএফ সদস য

এছাড়াও পড়ুন:

নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ

নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। 

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী। 

বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।

আরো পড়ুন:

গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ

বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ

আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।

বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ঢাকা/সাজু/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মুজিবনগর সীমান্তে ১৭ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর বিএসএফের
  • চুয়াডাঙ্গায় বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক, ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর
  • দর্শনা চেকপোস্ট দিয়ে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করেছে বিএসএফ 
  • নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
  • নওগাঁর সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • পঞ্চগড়ের দুই সীমান্ত দিয়ে আরও ১৭ জনকে ঠেলে পাঠাল বিএসএফ
  • গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
  • চোরাচালানে গিয়ে বিএসএফের হাতে আটক, ফিরিয়ে এনে ব্যবস্থা নিচ্ছে বিজিবি