গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বাবার জানাজায় অংশ নিতে দুবাই থেকে দেশে ফেরেন চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার বাসিন্দা তোফাজ্জল হোসেন। ২৮ ফেব্রুয়ারি তাঁর ফিরে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু বাসায় ব্যাগ গোছাতে গিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যান তিনি। কোনোভাবেই পাসপোর্ট খুঁজে পাচ্ছিলেন না। এ কারণে তাঁর দুবাইযাত্রা বাতিল হয়।

উপায়ন্ত না দেখে তোফাজ্জল হোসেন শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখায় যোগাযোগ করেন। তিনি আশঙ্কা করছিলেন, দুবাই থেকে ফেরার সময় বিমানবন্দরের কোনো এক জায়গায় পাসপোর্টটি হারিয়েছিলেন। তাঁর আশঙ্কাই সত্য হয়েছে। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষে তাঁর আশঙ্কা আমলে নিয়ে খোঁজ শুরু করে। সিসিটিভি ফুটেজ ঘেঁটে তোফাজ্জল হোসেনের পাসপোর্টটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। আজ শনিবার দুপুরে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা শাখার সহকারী নিরাপত্তা কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহিম খোয়া যাওয়া পাসপোর্টটি তোফাজ্জলের হাতে তুলে দেন।

ঘটনার বিষয়ে বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল প্রথম আলোকে বলেন, সম্ভাব্য কয়েকটি পয়েন্টের সব সিসিটিভি ফুটেজ যাচাই করে পাসপোর্টটি পাওয়া গেছে। এ কাজে প্রচুর সময় দিতে হয়েছে। পাসপোর্ট ফিরে পেয়ে তোফাজ্জল হোসেন দারুণ উচ্ছ্বসিত। এখন তিনি দুবাইয়ে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ঢাকার তেজগাঁওয়ে ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

রাজধানীর তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল এলাকায় ট্রাকের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন।

গতকাল রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে তেজগাঁও সাউদার্ন পাম্পের পাশে সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত খন্দকার সাইদুর রহমান (৩৮) পেশায় মার্চেন্ডাইজার ছিলেন। তাঁর বাড়ি ঢাকার পল্লবীর বাউনিয়ার আলাবদিরটেক এলাকায়। তাঁর বাবার নাম খন্দকার মোফাজ্জল হায়দার।

মৃতের ভাই মোস্তাফিজুর রহমান জানান, রাতে সাইদুর মোটরসাইকেল চালিয়ে যাচ্ছিলেন। পথে একটি ট্রাকের ধাক্কায় তিনি গুরুতর আহত হন। পথচারীরা তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মোটরসাইকেলে সাইদুরের সঙ্গে তাঁর এক সহকর্মীও ছিলেন। তবে তিনি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান বলে তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মারুফ জানিয়েছেন।

আবদুল্লাহ আল মারুফ বলেন, যে ট্রাকটি সাইদুরের মোটরসাইকেলে ধাক্কা দিয়েছিল, তা আটক করা হয়েছে, তবে এর চালক পালিয়ে গেছেন।

পরিবারের লিখিত আবেদনের ভিত্তিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই সাইদুরের মরদেহ তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ কর্মকর্তা আল মারুফ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ