ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার একটি বাড়ি থেকে এক তরুণী ও তার কিশোরী বোনের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে নিহত তরুণীর স্বামী পালাতক রয়েছেন।

সোমবার (৩ মার্চ) সকাল সোয়া ১০টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের এতথ্য জানিয়েছেন।

মারা যাওয়ারা হলেন- জ্যোতি আক্তার (২০) ও তার বোন স্মৃতি আক্তার (১৩)। 

আরো পড়ুন:

বারনই নদী থেকে ভ্যানচালকের লাশ উদ্ধার

মা-মেয়ের বিভৎস হত্যাকাণ্ডের পর অভিযুক্তের বাড়িতে আগুন

পালাতক যুবকের নাম আমীর হোসেন (২৮)। তিনি কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার জামতলী গ্রামের জাকির হোসেনের ছেলে। তিনি নিহত জ্যোতি আক্তারের স্বামী।

সাবেক ইউপি মেম্বার মো.

ইউনুস পাঠান জানান, খবর পেয়ে তারা এসে বিছানায় লাশ দেখতে পান। দুই বোনের শরীরে আঘাত না থাকায় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পরিবারের লোকজন বলছে, স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। গতকাল রবিবার রাত ১টার পর ঘটানাটি ঘটানো হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।

গোপীনাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কিভাবে কি হয়েছে সেটা জানার চেষ্টা করছে। আমীর হোসেন পালিয়ে গেছে।

কসবা থানার ওসি মো. আব্দুল কাদের বলেন, ‍“রবিবার রাত ১১টা থেকে সোমবার ভোর ৫টার মধ্যে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে অষ্টম শ্রেণি পড়ুয়া স্মৃতি আক্তারের গলায় একটু দাগ আছে, তবে জ্যোতির শরীরের কোথাও কোনো দাগ নেই।” 

তিনি আরো বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, বালিশ চাপ দিয়ে তাদের হত্যা করা হয়েছে। লাশ দুইটি ময়নাতদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠানো হবে। তদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর হত্যার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।” 

ঢাকা/মাইনুদ্দীন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ