Samakal:
2025-05-01@00:47:19 GMT

নদীতে চার কুমির এলাকায় আতঙ্ক

Published: 3rd, March 2025 GMT

নদীতে চার কুমির এলাকায় আতঙ্ক

ঝিনাইদহের শৈলকুপার খুলুমবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে কুমির। গত তিন মাস ধরে চারটি কুমির নদীতে বিচরণ করায় জেলে ও খেয়া ঘাটের মাঝিসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো বড় আকারের একটি কুমিরের দৈর্ঘ্য ৭-৮ হাত হবে। তার সঙ্গে তিনটি বাচ্চা কুমিরও রয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিরের ভয়ে কেউ নদীতে নামার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় তরুণরা রোববার গড়াই নদীর ওপার রাজবাড়ী জেলার কেওয়া গ্রাম এলাকা থেকে গড়াই নদীতে একটি ড্রোন উড়িয়ে বড় একটি কুমির ভাসতে দেখেছেন। ড্রোন থেকে ধারণ করা কুমিরের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে।
শৈলকুপার খুলুমবাড়িয়া খেয়াঘাটের মাঝি চম্বক কুমার দাস বলেন, গত তিন মাস ধরে তারা গড়াই নদীতে কুমিরের উপস্থিতির বিষয়টি লক্ষ্য করে আসছেন। একটি বড় কুমির। সঙ্গে তিনটি ছোট কুমির। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন কুমিরগুলো নদী থেকে উদ্ধার করতে না পারলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মৎস্যজীবী মাদলা গ্রামের ওলিয়ার মোল্যা বলেন, তারা কোনো দিন কুমার নদীতে কুমিরের দেখা পাননি। তবে গত তিন মাস ধরে তিনি আতঙ্কে গড়াই নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারছেন না। 
ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল কর্মকর্তা বলেন, গড়াই নদীতে কুমিরের উপস্থিতির বিষয়টি সত্যি হয়ে থাকলে, তা খুশির খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে, জীববৈচিত্র্যের আরও অনেক কিছু থাকবে। কুমিরগুলোকে বিরক্ত না করতে নদীপারের মানুষকে অনুরোধ জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

চাকরি খেয়ে ফেলব, কারারক্ষীকে কারাবন্দী আ’লীগ নেতা

‘চাকরি খেয়ে ফেলব, দেখে নেব তোমাকে, চেন আমি কে?’ কারবন্দী কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজু (৪৯) মঙ্গলবার বিকেল ৪টার দিকে ২ কারারক্ষীকে এভাবে হুমকি দেন বলে অভিযোগ উঠেছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলা কারাগারে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে দেখতে যান তার কয়েকজন স্বজন। কারা নিয়মানুযায়ী সাক্ষাৎ কক্ষে বেঁধে দেওয়া সময়ে কথা শেষ করার কথা থাকলেও তিনি তার মানতে রাজি নন। তিনি দীর্ঘ সময় কথা বলতে চাইলে সাক্ষাৎ কক্ষে দায়িত্বরত মহিলা কারারক্ষী পপি রানী কারাবন্দী নেতার স্বজনদের সময়ের মধ্যে কথা শেষ করতে বলেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আওয়ামী লীগ নেতা সাজু। তখন তিনি বলেন, ‘এই আপনি কে? ডিস্টার্ব করছেন কেন? চিনেন আমাকে? চাকরি খেয়ে ফেলব।’

এ সময় সাক্ষাৎ কক্ষে সাজুর স্বজনরাও পপি রানীর সঙ্গেও আক্রমণাত্মক আচরণ করেন। পপি রানীকে নিরাপদ করতে সুমন নামের আরেকজন কারারক্ষী এগিয়ে এলে তাকে লাথি দিয়ে বের করে দেওয়ার হুমকি দেন সাজু। উত্তেজনার একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত উপস্থিত হন প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক। তিনি সাজুর স্বজনদের সাক্ষাৎ কক্ষ থেকে চলে যেতে বলেন। তারাও চলে যাওয়ার সময়ে কারারক্ষীদের গালিগালাজ করেন। 

এ ব্যাপারে কারারক্ষী পপি রানী  বলেন, ‘আমি ডিউটিরত অবস্থায় তিনি আমাকে প্রভাব দেখিয়ে চাকরি খাওয়ার হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন। আমি জেলার স্যারের কাছে বিচার প্রার্থনা করছি।’

প্রত্যক্ষদর্শী কারারক্ষী মো. সুমন বলেন, ‘আমরা তো ছোট পদে চাকরি করি, আমাদের নানান নির্যাতন সহ্য করতে হয়। আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি ছাড়া আর কিছু বলতে পারব না।’

প্রধান কারারক্ষী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘সাক্ষাৎ কক্ষের ভেতরে পুলিশ সদস্যকে গালিগালাজ করা হয়। পরে আমি গিয়ে পরিবেশ শান্ত করি।’ 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুড়িগ্রাম কারাগারের জেলার এ জি মো. মামুদ বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। বন্দীরা আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করলেও আমরা মানবিকতা প্রদর্শন করি। কেউ অতিরিক্ত কিছু করলে জেলের নিয়ম অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান সাজুকে গত ৩ ফেব্রুয়ারি বিকেলে রংপুর শহরের সড়ক ও জনপথ কার্যালয়ের কাছ থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা ও শিক্ষার্থী আশিক হত্যা মামলাসহ একাধিক মামলা রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ