Samakal:
2025-11-03@13:58:51 GMT

নদীতে চার কুমির এলাকায় আতঙ্ক

Published: 3rd, March 2025 GMT

নদীতে চার কুমির এলাকায় আতঙ্ক

ঝিনাইদহের শৈলকুপার খুলুমবাড়িয়া এলাকায় গড়াই নদীতে ভেসে বেড়াচ্ছে কুমির। গত তিন মাস ধরে চারটি কুমির নদীতে বিচরণ করায় জেলে ও খেয়া ঘাটের মাঝিসহ স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয়রা জানান, গড়াই নদীতে ভেসে বেড়ানো বড় আকারের একটি কুমিরের দৈর্ঘ্য ৭-৮ হাত হবে। তার সঙ্গে তিনটি বাচ্চা কুমিরও রয়েছে। এতে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। কুমিরের ভয়ে কেউ নদীতে নামার সাহস পাচ্ছে না। স্থানীয় তরুণরা রোববার গড়াই নদীর ওপার রাজবাড়ী জেলার কেওয়া গ্রাম এলাকা থেকে গড়াই নদীতে একটি ড্রোন উড়িয়ে বড় একটি কুমির ভাসতে দেখেছেন। ড্রোন থেকে ধারণ করা কুমিরের ভিডিও এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাসছে।
শৈলকুপার খুলুমবাড়িয়া খেয়াঘাটের মাঝি চম্বক কুমার দাস বলেন, গত তিন মাস ধরে তারা গড়াই নদীতে কুমিরের উপস্থিতির বিষয়টি লক্ষ্য করে আসছেন। একটি বড় কুমির। সঙ্গে তিনটি ছোট কুমির। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন কুমিরগুলো নদী থেকে উদ্ধার করতে না পারলে যে কোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
মৎস্যজীবী মাদলা গ্রামের ওলিয়ার মোল্যা বলেন, তারা কোনো দিন কুমার নদীতে কুমিরের দেখা পাননি। তবে গত তিন মাস ধরে তিনি আতঙ্কে গড়াই নদীতে মাছ শিকার করতে যেতে পারছেন না। 
ঝিনাইদহ বন বিভাগের জোনাল কর্মকর্তা বলেন, গড়াই নদীতে কুমিরের উপস্থিতির বিষয়টি সত্যি হয়ে থাকলে, তা খুশির খবর। নদীতে কুমির থাকবে, মাছ থাকবে, জীববৈচিত্র্যের আরও অনেক কিছু থাকবে। কুমিরগুলোকে বিরক্ত না করতে নদীপারের মানুষকে অনুরোধ জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: নদ আতঙ ক

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ