৩ বাংলাদেশিকে আটক করে বিএসএফ, বিজিবির চেষ্টায় ফেরত
Published: 4th, March 2025 GMT
ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর সীমান্ত দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের সময় তিন বাংলাদেশিকে আটক করেছিল ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। পরে নিরলস প্রচেষ্টায় তাদের ফেরত আনতে স্বক্ষম হয়েছে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি)।
সোমবার (৩ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঠাকুরগাঁও বিজিবি সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করে।
এর আগে, শনিবার (২ মার্চ) রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) অধীনস্থ ডাবরী বিওপি এলাকার সীমান্ত পিলার ৩৬৭/২-এস এর বিপরীতে ভারতের ১৫০ গজ অভ্যন্তরে ওয়ালীগড় নামক স্থানে বিএসএফ তিন বাংলাদেশিকে আটক করে।
আরো পড়ুন:
নিহত বাংলাদেশির মরদেহ হস্তান্তর করেছে বিএসএফ
যুবককে নির্যাতন, মৃত ভেবে ফেলে গেল বিএসএফ
ফেরত আনা বাংলাদেশিরা হলেন- ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার লাহিড়ী বাজারের স্বাধীন পালের ছেলে শ্রী তুলান পাল, দুখু সিংহের ছেলে শ্রী মিঠুন সিংহ এবং পঞ্চগড় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বামন কুমার আলেয়াখোয়া গ্রামের মেঘলাল চন্দ্র সিংহের ছেলে শ্রী মনহরি চন্দ্র সিংহ।
জানা যায়, ঘটনার পরপরই বিজিবি বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করে। সোমবার (৩ মার্চ) দুপুরে বিজিবি ও বিএসএফ কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পরে বিএসএফ আটককৃত তিন বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। পরবর্তীতে অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিজিবি তাদের হরিপুর থানায় সোপর্দ করে।
ঠাকুরগাঁও ব্যাটালিয়ন (৫০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজির আহমেদ বলেন, “সীমান্ত নিরাপত্তা রক্ষায় বিজিবি সবসময় তৎপর রয়েছে। আমরা বিএসএফের সঙ্গে দ্রুত যোগাযোগ করে আটক বাংলাদেশিদের ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি। ভবিষ্যতে যাতে কেউ এ ধরনের ঝুঁকি না নেয়, সে বিষয়ে জনগণকে আরো সচেতন করা হবে।”
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ