ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রয়াত এইচ টি ইমামের ছেলে ও সিরাজগঞ্জ-৪ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর ইমামের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে বিপ্লবী ছাত্র-জনতা। মঙ্গলবার রাত ১২ টার দিকে গুলশান-২ নম্বরে শাহাবুদ্দিন পার্কের পাশের ওই বাসায় তল্লাশি চালানো শুরু হয়। 

এর আগে বিপুল পরিমাণ অবৈধ টাকা লুকিয়ে রাখার তথ্য পেয়ে বাড়িটি ঘেরাও করে ছাত্র-জনতা। খবর পেয়ে গুলশান থানা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। তবে রাত ১টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ওই বাসা থেকে কাউকে আটক বা টাকা জব্দের খবর পাওয়া যায়নি।

গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো.

শামিম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।  

ছাত্র-জনতার প্রতিনিধি দলের সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া রাজিব সরদার বলেন, আমাদের কাছে তথ্য আছে এই বাসায় অস্ত্র, মাদক ও কালোটাকাসহ জুলাই গণহত্যার আসামিরা লুকিয়ে আছেন। আমরা তল্লাশি চালিয়েছি। পুলিশ ও সেনাবাহিনী এসেছে। সেনাবাহিনী দোতলায় তল্লাশি চালালে আসামিদের পাওয়া যাবে। 
 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

তিন অধিনায়ক কাঠামো নিয়ে প্রশ্ন তামিমের

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সাম্প্রতিক কিছু সিদ্ধান্ত নিয়ে খোলামেলা মন্তব্য করেছেন দেশের অন্যতম সফল ব্যাটার ও সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবাল। সমকাল পত্রিকায় দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, জাতীয় দলের নেতৃত্বের বর্তমান কাঠামো তার কাছে কার্যকর মনে হয়নি। তার মতে, তিন সংস্করণে তিনজন অধিনায়ক থাকা দলের পারফরম্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।

বিশেষ করে নাজমুল হোসেন শান্তকে সরিয়ে নতুন অধিনায়ক নিয়োগের প্রক্রিয়াকে দুঃখজনক বলেই অভিহিত করেছেন তামিম। তার কথায়, ‘বিসিবি চাইলে যে কাউকে অধিনায়ক করতে পারে। কিন্তু যেভাবে শান্তকে সরানো হয়েছে, সেটা সম্মানজনক হয়নি। তার সঙ্গে আগেই কথা বলা উচিত ছিল।’

আসন্ন টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে বিশ্বকাপ সামনে রেখে বোর্ডের ভূমিকা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন তিনি। বলেন, ‘খেলোয়াড়দের মধ্যে অনিশ্চয়তা, বোর্ডের অস্থিরতা এবং হঠাৎ করে অধিনায়ক পরিবর্তনের মতো সিদ্ধান্ত মাঠের পারফরম্যান্সেও প্রভাব ফেলছে।’ এই অবস্থায় তামিমের পরামর্শ, বোর্ডের উচিত খেলোয়াড়দের আস্থার জায়গা তৈরি করা। খেলোয়াড়দের আত্মবিশ্বাস দেওয়া যে– যা কিছুই ঘটুকু বোর্ড তোমাদের সঙ্গে আছে। ‘এই খেলোয়াড়রাই কিন্তু ২০২৬ ও ২০২৭ বিশ্বকাপে খেলবে’ বলেন তিনি।

তামিমের মতে, ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগেও রয়েছে কাঠামোগত দুর্বলতা। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যানের একাদশ গঠনের সিদ্ধান্তে থাকা ঠিক নয়। তার অধীনে তিনজন নির্বাচক আছেন; কোচ, সহকারী কোচ আছেন। সবাইকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া উচিত। এর পর দল ফেল করলে জবাবদিহি চাইবেন। নিজেই সবকিছুতে জড়িয়ে গেলে নির্বাচক, কোচিং স্টাফকে প্রশ্ন করবে কে?’ 

বোর্ডের ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান হলে তামিম কী করতেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচক প্যানেল ও কোচিং স্টাফকে পূর্ণ স্বাধীনতা দিতাম। ক্রিকেটারদের সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতাম। উন্নত কোচিং অভিজ্ঞতার জন্য কাউন্টির সঙ্গে কাজ করতাম, যেন আমাদের কোচরাও বিশ্বমানের কোচিং শিখতে পারেন।’

এছাড়াও বিপিএল ও বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক লিগে খেলার বাইরে, অফ সিজনে এক-দু’জন ক্রিকেটারকে কাউন্টিতে পাঠানোর উদ্যোগকে জরুরি মনে করেন তামিম। পাশাপাশি এইচপি, ‘এ’ দল এবং টাইগার্স প্রজেক্টে আরও বেশি বিনিয়োগের আহ্বানও জানান।

সম্পর্কিত নিবন্ধ