কর্মস্থল থেকে মোটরসাইকেলে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জয়ন্ত কুমার রায় (৩৫)। পথে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় তিনি নিহত হয়েছেন। গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলার ব্র্যাক মোড় এলাকার ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত জয়ন্ত কুমার রায় বগুড়ার পল্লী উন্নয়ন একাডেমির (আরডিএ) সহকারী পরিচালক (প্রশাসন) ছিলেন। তাঁর বাড়ি লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার তেঁতুলিয়া গ্রামে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে জয়ন্ত কুমার রায়ের সহকর্মী ও স্বজনেরা জানান, লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে পারিবারিক অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন জয়ন্ত। সেখানে আগেই তাঁর স্ত্রী-সন্তান গিয়েছিলেন। গতকাল আরডিএতে দাপ্তরিক কাজ শেষে জয়ন্ত বিকেল চারটার দিকে মোটরসাইকেলে রওনা হন। সন্ধ্যার দিকে পলাশবাড়ি উপজেলার ব্র্যাক মোড় এলাকায় দ্রুতগতির একটি কাভার্ড ভ্যান মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে জয়ন্ত সড়কে ছিটকে পড়েন এবং কাভার্ড ভ্যানের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে নিহত হন। খবর পেয়ে পলাশবাড়ী থানা-পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

আরডিএ বগুড়ার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) আবদুল মজিদ বলেন, জয়ন্ত কুমার পরিবার নিয়ে আরডিএর আবাসিক কোয়ার্টারে থাকতেন। পারিবারিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তাঁর পরিবারের সদস্যেরা আগেই লালমনিরহাট গিয়েছিলেন। জয়ন্ত এক দিনের ছুটি নিয়ে বাড়িতে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে সড়ক দুর্ঘটনা তিনি নিহত হয়েছেন। এমন মৃত্যুতে আরডিএর সহকর্মীরা শোকাহত।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প র ব র ক অন ষ ঠ ন জয়ন ত ক ম র

এছাড়াও পড়ুন:

তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন

নাটক, সিনেমা কিংবা ওয়েব—সব প্ল্যাটফর্মেই তিনি সরব। তবে অনেকেই হয়তো জানেন না, এই অভিনেতা চাকরির ফাঁকে শুটিং করেন। একসঙ্গে দুই জায়গায় মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। এ কারণে দু–তিন মাস পরপরই সিদ্ধান্ত নেন, চাকরি ছাড়বেন। তাঁর এই চাকরি ছাড়ার কথা শুনলেই এখন সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন। এই অভিনেতার নাম মোস্তফা মন্ওয়ার। আজ তাঁর জন্মদিন।

এই অভিনেতা এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছিলেন, চাকরি ছাড়ার কথা তিন-চার মাস পরপর বলবেন—এটা সহকর্মীরা ধরেই নিয়েছেন। কারণ, শুটিংয়ে সময় দিতে হয়। অফিসেও দায়িত্ব পালন করতে হয়।

মোস্তফা মন্ওয়ার বলেন, ‘দীর্ঘ দুই দশকের বেশি সময় ধরে আমি অভিনয় ও চাকরি একসঙ্গে করছি। অনেকবার চেয়েছি চাকরি ছেড়ে শুধু শুটিং শুরু করি। কিন্তু কোনোভাবেই এটা হচ্ছে না। অর্থনৈতিক কারণে অভিনয়কেই শুধু পেশা হিসেবে নিতে পারছি না। চাকরিও ছাড়তে পারছি না। এর আগে চার-পাঁচবার চাকরি ছেড়েছি। কিন্তু আবার চাকরিতেই ফিরতে হয়েছে। ছুটির দিনে পরিবারকে সময় দিতে পারি না। শুটিংয়ে যাই।’

মোস্তফা মন্ওয়ার। ছবি: ফেসবুক থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘মোটরসাইকেল আমার ছেলেটার জীবন নিল’
  • তিনি চাকরি ছাড়বেন শুনলেই সহকর্মীরা হাসাহাসি করেন