Risingbd:
2025-06-16@19:57:15 GMT

ইবিতে শীর্ষ দুই পদে রদবদল

Published: 5th, March 2025 GMT

ইবিতে শীর্ষ দুই পদে রদবদল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (পিডি) হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.

নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহর স্বাক্ষরিত পৃথক আদেশে এসব নিয়োগ দেওয়া হয়। পুনরাদেশ না দেয়া পর্যন্ত তারা উক্ত পদে দায়িত্ব পালন করবেন।

নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, এইচএম আলী হাসানকে তাঁর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ-পরিচালক পদে যোগদান করবেন। এ পদে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল হককে নিয়োগ দেওয়া হলো।

আরো পড়ুন:

শেখ পরিবারের নামে থাকা ইবির ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তন

ইবি প্রক্টরকে জামায়াত ট্যাগ উপ-উপাচার্যের, উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল

অপর আদেশে বলা হয়েছে, ড. নওয়াব আলীকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক পদ থেকে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে অব্যাহতি দিয়ে এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হলো।

আদেশ দুইটিতে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা তাদের পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা বিধি মোতাবেক পদ সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।

নবনিযুক্ত রেজিট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, “আমার ২৬ বছরের শিক্ষকতায় কখনো পদ নিয়ে পড়ে ছিলাম না। আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম। তারপরেও উপাচার্য আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ভালো কাজ করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কাজের সঙ্গে থাকব।”

তিনি বলেন, “কোন অন্যায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব এবং বর্তমান প্রশাসনকে গতিশীল করতে যেসব কাজ করা প্রয়োজন, তা করব। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের খারাপ দিকগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। আমাকে সবাই সৎ পরামর্শ দিবেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।”

ঢাকা/তানিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য করব ন

এছাড়াও পড়ুন:

অধ্যাপক ইউনূস প্রধান উপদেষ্টা থাকাকালে তাঁর ‘থ্রি জিরো’ তত্ত্বের উল্টো যাত্রা ঘটল: অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের ‘থ্রি জিরো’ (তিন শূন্য) তত্ত্ব সমর্থন করেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ। কিন্তু অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকারের শাসনামলে তার উল্টো যাত্রা হচ্ছে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তাঁর খেয়াল করা দরকার। আমরা চাই, থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলোর কার্যালয়ে এক গোলটেবিল বৈঠকে অংশ নিয়ে আনু মুহাম্মদ এ কথা বলেন। ‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শিরোনামে যৌথভাবে এ বৈঠকের আয়োজন করে ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি) ও প্রথম আলো।

বৈঠকে অর্থনীতির অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের “থ্রি জিরো” (তিন শূন্য) তত্ত্ব সারা পৃথিবীতে পরিচিত। আমি এটা খুবই সমর্থন করি যে শূন্য কার্বন নিঃসরণ, শূন্য বেকারত্ব ও শূন্য দারিদ্র্য। কিন্তু পুরো যাত্রাটা তো হচ্ছে উল্টো দিকে। অধ্যাপক ইউনূসের একটা সুযোগ ছিল যে প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে থ্রি জিরো তত্ত্বের বাস্তবায়নের একটা মডেল হিসেবে বাংলাদেশকে দাঁড় করানোর কিছু চেষ্টা করা। কিন্তু আমরা দেখছি, কীভাবে কার্বন নিঃসরণ আরও বাড়ে, সেটার একটা চেষ্টা চলছে। গত ১০ মাসে লক্ষাধিক বেকারত্ব বেড়েছে শুধু কারখানা বন্ধ করার কারণে আর দারিদ্র্য বেড়েছে ২৫ থেকে ৩০ লাখ। প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে তিনি থাকা অবস্থায় তাঁর থ্রি জিরো তত্ত্বের যে উল্টো যাত্রাটা ঘটল, এটা তো তাঁর একটু খেয়াল করা দরকার। এতে তো আমরা খুশি না। আমরা তো চাই যে থ্রি জিরো তত্ত্বটাই অগ্রসর হোক।’

‘রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যেভাবে হতে পারে’ শীর্ষক গোলটেবিলে আলোচকদের একাংশ। সোমবার বিকেলে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে

সম্পর্কিত নিবন্ধ