ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নতুন রেজিস্ট্রার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক (পিডি) হিসেবে মোয়াজ্জেম হোসেন নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.
নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, এইচএম আলী হাসানকে তাঁর রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) পদ থেকে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো। তিনি পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিসের উপ-পরিচালক পদে যোগদান করবেন। এ পদে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল হককে নিয়োগ দেওয়া হলো।
আরো পড়ুন:
শেখ পরিবারের নামে থাকা ইবির ৫ স্থাপনার নাম পরিবর্তন
ইবি প্রক্টরকে জামায়াত ট্যাগ উপ-উপাচার্যের, উপাচার্য কার্যালয়ে হট্টগোল
অপর আদেশে বলা হয়েছে, ড. নওয়াব আলীকে পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক পদ থেকে বুধবার (৫ মার্চ) থেকে অব্যাহতি দিয়ে এস্টেট অফিসের উপ-রেজিস্ট্রার মোয়াজ্জেম হোসেনকে নিয়োগ দেওয়া হলো।
আদেশ দুইটিতে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তারা তাদের পদে দায়িত্ব পালন করবেন। তারা বিধি মোতাবেক পদ সংশ্লিষ্ট সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
নবনিযুক্ত রেজিট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক বলেন, “আমার ২৬ বছরের শিক্ষকতায় কখনো পদ নিয়ে পড়ে ছিলাম না। আমি সবসময় শিক্ষার্থীদের সঙ্গেই ছিলাম। তারপরেও উপাচার্য আমাকে এই দায়িত্ব দিয়েছেন। আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করবো ভালো কাজ করার। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভালো কাজের সঙ্গে থাকব।”
তিনি বলেন, “কোন অন্যায় যাতে না হয়, সে বিষয়ে সচেষ্ট থাকব এবং বর্তমান প্রশাসনকে গতিশীল করতে যেসব কাজ করা প্রয়োজন, তা করব। একইসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের খারাপ দিকগুলো কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করব। আমাকে সবাই সৎ পরামর্শ দিবেন। সবাইকে নিয়েই কাজ করতে চাই।”
ঢাকা/তানিম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপ চ র য করব ন
এছাড়াও পড়ুন:
রুয়া নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে ছাত্রশিবিরের বিক্ষোভ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের (রুয়া) কার্যনির্বাহী কমিটির নির্বাচন স্থগিতের প্রতিবাদে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে সাড়ে চারটার দিকে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে এ কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। এর আগে তাঁরা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক হয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, রুয়া অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ মে পুনর্মিলনী এবং ১০ মে রুয়ার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু গঠনতন্ত্র লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জন করেন বিএনপিপন্থী সাবেক শিক্ষার্থীরা। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দুই পক্ষের নির্বাচন নিয়ে পাল্টাপাল্টি যুক্তি চলতে থাকে।
এদিকে গতকাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে রুয়া নির্বাচন কমিশনের প্রধান কমিশনার পদত্যাগ করেন। সেই সঙ্গে গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদের বাসভবনে ককটেল হামলার ঘটনা ঘটে। এ পরিস্থিতিতে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নির্বাচন স্থগিতের সিদ্ধান্ত জানিয়ে নোটিশ জারি করেন রুয়ার অ্যাডহক কমিটির আহ্বায়ক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান। এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ করছেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা ‘সিলেকশন না ইলেকশন, ইলেকশন ইলেকশন’, ‘প্রশাসন জবাব দে, রুয়া কি তোর বাপের রে’, ‘রুয়া নিয়ে টালবাহানা, চলবে চলবে না’, ‘অ্যাডহক না নির্বাচন, নির্বাচন নির্বাচন’, ‘সিন্ডিকেট না রুয়া, রুয়া রুয়া’ প্রভৃতি স্লোগান দেন।
এ সময় ছাত্রশিবিরের সাবেক নেতা-কর্মীদেরও উপস্থিত থেকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। পরে জামায়াত ইসলামীর কয়েকজন নেতাও কর্মসূচিতে যোগ দেন। একপর্যায়ে বিকেল পৌনে ছয়টার দিকে বিক্ষোভকারীদের একটি প্রতিনিধি দল উপাচার্যের সঙ্গে আলোচনার জন্য বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে। বিকেল ছয়টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চলছিল।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকুর রহমান জাহিদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘১০ মে রুয়া নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ সেই নির্বাচন স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন। এই সিদ্ধান্তে ক্যাম্পাসের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীরা মনঃক্ষুণ্ন হয়েছে। যারা রুয়া নির্বাচন দিতে পারে না, তারা রাকসু নির্বাচন কীভাবে বাস্তবায়ন করবে? ১০ মের নির্বাচন সেই একই তারিখে হতে হবে। এই সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।’