২০২২ সালের টি-২০ বিশ্বকাপের ঠিক আগে সংক্ষিপ্ত সংস্করণকে বিদায় বলেছিলেন মুশফিকুর রহিম। এবার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ফরম্যাটকে বিদায় বললেন ডানহাতি এই ব্যাটার। সামাজিক মাধ্যমে এক পোস্ট দিয়ে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন ৩৮ বছরের প্রান্তে থাকা মুশফিক। তার বিদায়ে অভিনন্দন জানিয়েছেন সতীর্থ ও ভাইরা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। 

এছাড়া পঞ্চপাণ্ডবের দু’জন তামিম ইকবাল ও মাশরাফি মর্তুজা সামাজিক মাধ্যমে প্রশংসা করেছেন মুশফিককে। জাতীয় দলের অধিনায়ক নাজমুল শান্ত শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা এই ব্যাটারকে। তাওহীদ হৃদয় স্মৃতিমন্থন করেছেন। 

মুশফিককে নিয়ে ফেসবুকে এক পোস্ট দিয়ে রিয়াদ লিখেছেন, ‘মুশফিক, অসাধারণ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের জন্য অভিনন্দন। দুবাইয়ে তোমার ভাঙা পাঁজর নিয়ে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে করা সেঞ্চুরি আমার মনে ভাসছে। শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে তোমার ত্যাগ, পরিশ্রম প্রমাণ করে খেলার প্রতি তুমি কতটা সম্মান দেখিয়েছ। নিঃসন্দেহে তুমি বাংলাদেশ ক্রিকেটের একটা রত্ন। টেস্ট ফরম্যাটের জন্য তোমাকে শুভকামনা।’ 

মাশরাফি সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘তোমার বিদায়ের ঘোষণায় এক লহমায় অনেক কিছু ভেসে উঠল চোখে। এত বছরের একসঙ্গে পথচলা, মাঠের ভেতরে-বাইরে কতশত স্মৃতি ওয়ানডেতে তোমার রেকর্ডই তোমার হয়ে স্বাক্ষ্য দেবে। রেকর্ড বইয়ে লেখা থাকবে না, কতটা নিবেদন আর নিষ্ঠায় তুমি ক্যারিয়ার গড়েছিলে। আশা করি, সাদা পোশাকের বাকি অধ্যায়টুকু রঙিন করে তুলবে।’

তামিম ভিডিও বার্তা দিয়ে মুশফিককে নিয়ে বলেছেন, ‘তার সঙ্গে আমার ২০-২৫ বছরের সম্পর্ক। তাকে শুধু এতটুকু বলতে চাই, দোস্ত তোর সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৫ থেকে খেলা শুরু। সাধারণ থেকে দেশের অন্যতম সেরা ব্যাটার হইছোস তুই। আমি দেখছি, একটা ছেলে কতটা কষ্ট করতে পারে। খেলার প্রতি তার ত্যাগ, ভালোবাসা বলে বোঝানো যাবে না। তুই যা-ই অর্জন করেছিস তা অসাধারণ। তোর অবদান বছরের পর বছর মনে রাখা হবে। তুই অন্তত ১০০ টেস্ট খেলবি, এটাই আমার আশা। যেটা বাংলাদেশের কেউ এখনো পারেনি।’

মুশফিককে ধন্যবাদ দিয়ে জাতীয় দলের অধিনায়ক শান্ত লিখেছেন, ‘মুশফিক ভাই, আমাদের মতো লক্ষ্য তরুণকে উৎসাহিত করায় আপনাকে ধন্যবাদ। আপনার ক্রিকেটের প্রতি আত্মত্যাগ আমাদের জন্য আদর্শ হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের পরবর্তী প্রজন্মকে উৎসাহ দেবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট আপনার অবদান ভুলবে না।’ 

তাওহীদ হৃদয় লিখেছেন, ‘বগুড়ায় ছোটবেলায় আপনাকে দেখার আশায় স্টেডিয়ামের গেইট ধরে দাঁড়িয়ে থাকা, ওডিআই ক‍্যাপ গ্রহণ করা এবং ড্রেসিংরুম শেয়ার করা; আমার কাছে রূপকথার থেকে কম নয়! আপনি আমার আইডল। আপনার অবসর আনন্দের হোক। আমি আপনাকে সবার চেয়ে এবং সবকিছুর চেয়ে বেশি মিস করবো।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বছর র

এছাড়াও পড়ুন:

২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি

গত ৫ মার্চ চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অবরুদ্ধ করে হেনস্তা করার অভিযোগে নিজ সংস্থার ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে শেয়ার বাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটি এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। একইসঙ্গে এ ঘটনায় দুইজন কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার বিএসইসির জরুরি কমিশন সভায় এ কর্মকর্তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত হয়। আজ বুধবার সকালে কাজে যোগ দেওয়ার পর সাময়িক দরখাস্তের আদেশ হাতে পেয়েছেন তারা।

বিএসইসির সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সাময়িক বরখাস্ত কর্মকর্তাদের মধ্যে রয়েছেন- বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম (৫৪), পরিচালক আবু রায়হান মো. মোহতাছিন বিল্লা (৫১), অতিরিক্ত পরিচালক নজরুল ইসলাম (৫০), যুগ্মপরিচালক রাশেদুল ইসলাম (৪৮), উপপরিচালক বনী ইয়ামিন (৪৫), উপপরিচালক আল ইসলাম (৩৮), উপপরিচালক শহিদুল ইসলাম (৪২), উপপরিচালক তৌহিদুল ইসলাম (৩২), সহকারী পরিচালক জনি হোসেন (৩১), সহকারী পরিচালক রায়হান কবীর (৩০), সহকারী পরিচালক সাজ্জাদ হোসেন, সহকারী পরিচালক আবদুল বাতেন (৩২), লাইব্রেরিয়ান মো. সেলিম রেজা বাপ্পী (৩১) এবং ব্যক্তিগত কর্মকর্তা আবু ইউসুফকে (২৯)।

মামলার আসামিদের বাইরে আরো যে ৬ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে, তারা হলেন- পরিচালক আবুল হাসান, পরিচালক ফখরুল ইসলাম মজুমদার, অতিরিক্ত পরিচালক মিরাজ উস সুন্নাহ, উপ-পরিচালক নানু ভূঁইয়া, সরকারি পরিচালক আমিনুর রহমান খান এবং সহকারী পরিচালক তরিকুল ইসলাম।

যে দুই কর্মকর্তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে, তারা হলেন- মাকসুদা মিলা, সহকারী পরিচালক (রেজিস্ট্রেশন) এবং কাউসার পাশা বৃষ্টি, ব্যক্তিগত কর্মকর্তা।

বরখাস্তের আদেশে হিসেবে গত ৫ মার্চ শেয়ারবাজার তদন্ত কমিটির চারটি প্রতিবেদনের বিষয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের সময় বৈঠককালে কমিশনের অনুমতি ছাড়াই সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জোরপূর্বক প্রবেশ করে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের হেনস্তা এবং ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

সাময়িক বরখাস্ত মিরাজ উস সুন্নাহর বিরুদ্ধে জোরপূর্বক কমিশন সভায় ঢুকে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের অভিযোগ আনা হলেও ওই সভায় চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের সঙ্গে আগে থেকেই উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় আগেই (গত ৬ মার্চ) ১৬ জনের বিরুদ্ধে বিএসইসি চেয়ারম্যানের গানম্যান মো. আশিকুর রহমান বাদী হয়ে শেরে বাংলা নগর থানায় মামলাটি করেছিলেন। এ মামলায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিনে আছেন তারা।

মামলার ১৬ আসামির মধ্যে নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমানকে এরই মধ্যে বাধ্যতামূলক অবসর দেওয়া হয়েছে। আরেকজন নির্বাহী পরিচালক মাহবুবুল আলম স্বেচ্ছায় অবসরে যাওয়ার আবেদন করেছেন।

ওই মামলার আসামিদের বাইরে আরো ছয়জনকে ঘটনার সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগ এনে বরখাস্ত করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ছয় কোটি শ্রমিক রাষ্ট্রীয় সুরক্ষার বাইরে
  • ৩ কর্মকর্তার অবসর ও বরখাস্তের আদেশ আদালতে বহাল
  • ২১ কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করলো বিএসইসি
  • বাবার মরদেহ দুই বছর লুকিয়ে রাখেন সন্তান