Samakal:
2025-06-15@21:22:45 GMT

গুলি ছোড়া সোহাগের খোঁজে পুলিশ

Published: 7th, March 2025 GMT

গুলি ছোড়া সোহাগের খোঁজে পুলিশ

ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেনি কোনো পক্ষই। সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষের দিকে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। কিন্তু তাকে এখনও আটক করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সোহাগ নামে ওই যুবককে আটক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে। 
প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়া আলোচিত সোহাগের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। সোহাগ নিজেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ফুফাতো ভাই বলে পরিচয় দেয়। 
নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.

মনির হোসেনের ভাষ্য, সোহাগ অবৈধ অস্ত্রধারী। সে দীর্ঘদিন ধরে মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ক্যাডার হিসেবে কাজ করছে। সাগরের আত্মীয় হওয়ায় সোহাগ তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগী। তাই সাগরের ক্যাডার বাহিনীর নেতৃত্বও দিয়ে আসছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সিদ্ধিরগঞ্জ পুরাতন থানার পশ্চিম পাশে ডিএনডি সেচ খাল এলাকায় বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় খালের সেতু থেকে প্রতিপক্ষের নেতাকর্মীর প্রতি লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে সোহাগ। 
রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসীকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দিইনি, দেব না। সোহাগের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।’ তাঁকে বিতর্কিত করতেই তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় সে (সোহাগ) সংঘর্ষের সময় এমন কাজ করেছে বলেও মনে করেন সাগর।
আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কয়েকটি পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয় নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহআলম মানিক ও রুহুল আমিনের লোকজনের সঙ্গে। এ সময় আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে ডিএনডি সেচ খালের সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে। এ দৃশ্য শুক্রবার দৈনিক সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। পরে ছবিটি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম। তিনি বলেন, পরিচয় জানার পরই অস্ত্রধারী ওই যুবককে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ঘর ষ

এছাড়াও পড়ুন:

আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার

আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব-১১। 

শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।  

গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।

এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

শুক্রবার বিকেলে র‌্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে। 

পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।
 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বিএনপি কি জামায়াতকে চাপে রাখার কৌশলে
  • সোনারগাঁ উপজেলা জাতীয়তাবাদী ওলামা দলের কমিটি গঠন
  • ৮নং ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের উদ্যোগে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
  • সিদ্ধিরগঞ্জের হিরাঝিলে দিনে দুপুরে ১০ লাখ টাকা ছিনতাই
  • আড়াইহাজারে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের কমিটি গঠন
  • মুক্তিপণ না পেয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশিকে হত্যা
  • ইসলামী আন্দোলনের বাবুরাইল ইউনিট কমিটি গঠন
  • পরিবার নিয়ে চীন ভ্রমণে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সদস্যরা
  • নারায়ণগঞ্জে ফ্যাসিবাদদের পুনর্বাসনের চেষ্টা চালানো হচ্ছে : আবদুল্লাহ
  • আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার