ঝুট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় বিএনপির দু’পক্ষে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা করেনি কোনো পক্ষই। সংঘর্ষের মধ্যে প্রতিপক্ষের দিকে প্রকাশ্যে গুলি ছোড়া যুবকের পরিচয় মিলেছে। কিন্তু তাকে এখনও আটক করা যায়নি। পুলিশ জানিয়েছে, তারা সোহাগ নামে ওই যুবককে আটক ও আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।
প্রকাশ্যে পিস্তল দিয়ে গুলি ছোড়া আলোচিত সোহাগের বাড়ি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) ৭ নম্বর ওয়ার্ডে। সে সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী দক্ষিণপাড়া এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে। সোহাগ নিজেকে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি রাকিবুর রহমান সাগরের ফুফাতো ভাই বলে পরিচয় দেয়।
নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো.
রাকিবুর রহমান সাগর বলেন, ‘কোনো সন্ত্রাসীকে আমি কখনোই প্রশ্রয় দিইনি, দেব না। সোহাগের সঙ্গে পারিবারিকভাবে আমার কোনো সম্পর্ক নেই। সে আমার দূর সম্পর্কের আত্মীয়। এই পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন সুবিধা আদায় করে।’ তাঁকে বিতর্কিত করতেই তৃতীয় পক্ষের প্ররোচনায় সে (সোহাগ) সংঘর্ষের সময় এমন কাজ করেছে বলেও মনে করেন সাগর।
আদমজী ইপিজেডের ঝুট ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ ও আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির কয়েকটি পক্ষের মধ্যে কয়েক মাস ধরে বিরোধ চলছে। এর জের ধরে বৃহস্পতিবার বিকেলে রাকিবুর রহমান সাগরের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয় নাসিকের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহআলম মানিক ও রুহুল আমিনের লোকজনের সঙ্গে। এ সময় আদমজী-নারায়ণগঞ্জ সড়কের পূর্ব পাশে ডিএনডি সেচ খালের সেতুর ওপর দাঁড়িয়ে গুলিবর্ষণ করতে দেখা যায় সোহাগকে। এ দৃশ্য শুক্রবার দৈনিক সমকালের প্রথম পৃষ্ঠায় প্রকাশিত হয়। পরে ছবিটি আলোচনার কেন্দ্রে উঠে আসে। টনক নড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর।
গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত কোনো পক্ষই অভিযোগ দেয়নি বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মাদ শাহীনুর আলম। তিনি বলেন, পরিচয় জানার পরই অস্ত্রধারী ওই যুবককে গ্রেপ্তারে পুলিশের একাধিক দল মাঠে নেমেছে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: স দ ধ রগঞ জ ন র য়ণগঞ জ ব এনপ র স ঘর ষ
এছাড়াও পড়ুন:
কমিউনিষ্ট পার্টির হাফিজের বিরুদ্ধে ইসমাইলের সংবাদ সম্মেলন
নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিউনিস্ট পার্টির সভাপতি হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে হুমকি ও মে দিবসের সমাবেশ বানচাল করার পাঁয়তারা করছে বলে অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের কেন্দ্রীয় সভাপতি এবং ১০ টি শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় জোট, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলনের কেন্দ্রীয় পরিচালনা কমিটির অন্যতম শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) সকাল এগারোটায় নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে শ্রমিক নেতা এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল অভিযোগ তুলে বলেন, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন দীর্ঘ ২০ বছর যাবত শ্রমিকদের ন্যায় সংঘত অধিকার আদায়ে দক্ষতা ও সুনামের সংগে দায়িত্ব শীল ভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে আসছে।
ফেডারেশনের পক্ষ থেকে মহান মে দিবস ও আমাদের শ্রমিক ফেডারেশনের সপ্তম জেলা সম্মেলন উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের চাষাড়া শহীদ মিনারে স্থান বরাদ্দের জনা যথানিয়মে আবেদন করিলে সিটি করোপরেশন লিখিতভাবে ১ মে, বৃহস্পতিবার, বিকাল ৪ টা হতে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত ব্যবহারের অনুমতি প্রদান করে এবং আমরা নির্ধারিত ফি প্রদান করি।
তিনি বলেন, অতঃপর বিশিষ্ট কুট ব্যবসায়ী, পাথর ব্যবসায়ী ও কন্ট্রাকটার এবং কমিউনিস্ট পার্টি, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি পদে থাকা মোঃ হাফিজ সে বিভিন্ন জায়গায় প্রচার করে বেড়াচ্ছে যে, গত ১৫ বছর নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন তার কথায় চলেছে।
তার ক্ষমতা জোড়ে সমাবেশের স্থান বাতিল করে দিবে। আমাদের জেলার সম্মেলন তিনি অনুষ্ঠিত হতে দিবেন না। আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করে দিবেন। আমাদের জেলা সম্মেলন হতে দিবেন না।
অতঃপর আমরা এবিষয়ে তার সংগে একাধিক বার যোগাযোগ করিলে সে নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংস্কৃতিক জোটের নাম ভাঙ্গিয়ে বলে শহীদ মিনারে সাংস্কৃতিক জোটের প্রোগাম করবে।
আমরা সাংস্কৃতিক জোটের সম্মানিত নেতৃবৃন্দের সংগে আলাপ করিয়া জানিতে পাড়ি সাংস্কৃতিক জোট এই ধরনের কোন প্রোগামের ঘোষনা দেয় নাই বা তাহারা সিটি কর্পোরেশনে এই জন্য কোন আবেদন করেন নাই। মোঃ হাফিজ এই বিষয়ে মিথ্যা প্রচারনা চালাচ্ছে।
আমাদের ধারনা সে আমাদের শ্রমিক সম্মেলন বানচাল করিয়া উদ্দেশ্যমূলক ভাবে নারায়ণগঞ্জ শহরের শান্তি শৃংক্ষলা অবনতি ঘাটাইতে পারে। এবং সে এখনো একই স্থান বিনা অনুমোদিত সময়ে পোস্টার দিয়া প্রচার চালাইতেছে।
উল্লেখ্য, তাহার এই কর্মকান্ড স্থগিত করার জন্য কমিউনিস্ট পার্টিসহ স্থানীয় বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দকে অবগত করিলেও তাহার কর্মকান্ড স্থগিত করে নাই। যার কারনে আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে গত ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ মডেল থানায় একটি জিডি এন্ট্রি করি, জিডি এন্ট্রি নং-১৫৩৯।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগরের সভাপতি নাজমূল হাসান নান্নু, জেলা কমিটির সভাপতি এফ এম আবু সাঈদসহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা।