‘প্রাথমিক শিক্ষা নির্বিঘ্নে নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে’
Published: 9th, March 2025 GMT
দেশের প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে শূন্য পদে নতুন নিয়োগ ও পদোন্নতির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।
রোববার (৯ মার্চ) সকালে কক্সবাজার জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ‘মাঠ প্রশাসন ও প্রাথমিক শিক্ষা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সাথে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
উপদেষ্টা জানান, শিক্ষার মানোন্নয়নে ‘মিডডে মিল’ চালু করা হয়েছে, যা শিশুদের বিদ্যালয়ে অবস্থান ও পড়াশোনায় উৎসাহিত করবে। এছাড়া, ঝরে পড়া শিশুদের জন্য উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে। চট্টগ্রাম অঞ্চলে ‘স্কিলফো’ প্রকল্পের আওতায় শিশুদের জীবনমুখী বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তারা কর্মক্ষম ও উপার্জনক্ষম হয়ে উঠতে পারে।
আরো পড়ুন:
নতুন বইয়ে গণঅভ্যুত্থানের গ্রাফিতি থাকবে : প্রাথমিক উপদেষ্টা
চার মাসে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হবে
এ সময় তিনটি চ্যালেঞ্জের কথা উল্লেখ করা হয়। তাহলো, শিক্ষক ও কর্মকর্তা পদ শূন্য থাকায় শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে। জন্ম নিবন্ধন জটিলতার কারণে উপবৃত্তি প্রদানে সমস্যা হচ্ছে। শিশুশ্রমের সুযোগ বেশি থাকায় শিক্ষার্থী বিদ্যালয়মুখী করায় চ্যালেঞ্জ দেখা দিচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব আবু তাহের মো.
ঢাকা/তারেকুর/বকুল
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
নাফ নদীতে বড়শিতে ধরা পড়ল ২০ কেজির কোরাল
কক্সবাজারের টেকনাফের নাফ নদীর ট্রানজিট জেটিতে বড়শিতে ধরা পড়েছে ২০ কেজি ওজনের একটি কোরাল মাছ। মাছটি স্থানীয় বাজার থেকে ২৪ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন এক ব্যবসায়ী।
গতকাল রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাছটি ধরা পড়ে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ বাসস্টেশন মাছ বাজারের সভাপতি মোহাম্মদ তাহের।
টেকনাফ পৌরসভার ট্রানজিট জেটিঘাটের ইজারাদার আবদুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা মনু মিয়া নামের এক ব্যক্তি বড়শিতে মাছটি ধরেন। সন্ধ্যায় বড়শি ফেলেও তিনি কোনো মাছ পাননি। ঘরে ফেরার আগমুহূর্তে আবার বড়শি ফেললে কোরালটি ধরা পড়ে। বড়শি টেনে মাছটি জেটিতে তোলা হলে আশপাশের লোকজন একনজর দেখার জন্য ভিড় করেন।
বড়শির মালিক মনু মিয়া বলেন, মাছটির দাম চেয়েছিলেন ২৬ হাজার টাকা। টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়ার বাসিন্দা ও মাছ ব্যবসায়ী আবু হানিফ ২৪ হাজার টাকায় মাছটি কিনে নেন।
আবু হানিফ বলেন, তাঁর কাছ থেকে অনেকে প্রতি কেজি ১ হাজার ৩০০ টাকা দামে কেনার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি প্রতি কেজি ১ হাজার ৪০০ টাকা দামে মাছটি বড় বাজারে কেটে বিক্রি করবেন।
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, ১১ জুন সাগরে ৫৮ দিনের মাছ ধরার নিষেধাজ্ঞা শেষ হয়েছে। তবে নাফ নদী এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় ছিল না। মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির তৎপরতার কারণে অনেক বাংলাদেশি জেলে নদীতে জাল নিয়ে যেতে পারছেন না। তাই তাঁরা বড়শিতে মাছ ধরছেন। নাফ নদীতে প্রায়ই বড় কোরাল ধরা পড়ছে। এখানকার কোরালের স্বাদও ভালো।