বানিয়াচংয়ে নয় হত্যা মামলায় আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
Published: 10th, March 2025 GMT
হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নয়জন হত্যা মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াজ উদ্দিন (৫৫) গ্রেপ্তার হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে সেনাবাহিনীর বানিয়াচং ক্যাম্পের মেজর আশরাফুল ইসলাম তামিম তাকে বানিয়াচং থানায় সোপর্দ করেন। এর আগে রোববার (৯ মার্চ) দিবাগত রাতে উপজেলা সদরের গরিব হোসেন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে সেনা সদস্যরা তাকে গ্রেপ্তার করে বলে বানিয়াচং ক্যাম্পের ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানিয়েছেন।
গ্রেপ্তার রিয়াজ বানিয়াচংয়ের ২নং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও গরিব হোসেন মহল্লার মরহুম শামসু উদ্দিনের ছেলে।
আরো পড়ুন:
নাটোরে অজ্ঞাত যুবকের মরদেহ উদ্ধার
আশুলিয়ায় স্ত্রীর সামনে ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বর্ণালঙ্কার লুট
পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র-জনতা সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে মিছিল বের করে। গ্যানিংগঞ্জ বাজার প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী কয়েক হাজার লোক বড় বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়। আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুঁড়তে থাকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঘটনার সময় পুলিশ গুলি, রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে। পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজনসহ সাতজন নিহত হয়। তখন চিত্রধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করে। পর দিন গুলিবিদ্ধ আরেকজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। মোট মৃতের সংখ্যা হয় নয়জন। বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপপরিদর্শক সন্তোষ চৌধুরীকে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।
এ ঘটনায় নিহত নয়জনের পরিবারের পক্ষ থেকে ও এসআই সন্তোষ হত্যায় ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা দুটি মামলা করা হয়। রিয়াজ উদ্দিন নয়জন হত্যা মামলার ৮৫ নম্বর নং আসামি।
সেনাবাহিনীর ল্যান্স কর্পোরাল শামীম আহমেদ জানান, নাইন মার্ডার মামলার আসামি রিয়াজ সাত দিন ধরে নিজ বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। পরে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।
ঢাকা/মামুন/বকুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি
সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।
আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।
আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’
অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।