উৎসব আয়োজনের মধ্য দিয়ে ঢাকার রাশিয়ান হাউজে উদযাপন করা হয় আন্তর্জাতিক নারী দিবস।

ঢাকা রুশ ভবনে সোভিয়েত বা রুশ প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের সংগঠনের সাথে আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে গত ৬ মার্চ এক আনন্দঘন সন্ধ্যার আয়োজন করা হয়। উষ্ণ পরিবেশে ১০০-র বেশি অতিথি একত্রিত হয়ে এই বসন্ত উৎসবে নারীদের শুভেচ্ছা জানান।

অনুষ্ঠানে বিশেষভাবে ৫০ জন নারীকে ঢাকাস্থ রাশিয়ান হাউজের পক্ষ থেকে স্মরণীয় ক্রেস্ট এবং ফুল উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়, যা ভালোবাসা, শ্রদ্ধা ও সংস্কৃতি এবং শিক্ষার বিকাশে তাদের অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেওয়া হয়েছে।

আরো পড়ুন:

রাশিয়ায় ব্যাপক ড্রোন হামলা ইউক্রেনের

কুরস্কে আরো ৩ এলাকা পুনরুদ্ধারের দাবি রাশিয়ার

এ বছর এই অনুষ্ঠান পবিত্র রমজান মাসে হওয়ায় ঢাকার রাশিয়ান হাউজ একটি সম্মিলিত ইফতারের আয়োজন করে।ধর্ম নির্বিশেষে অতিথিরা ঐতিহ্যবাহী খাবার উপভোগ করেন। যা ঐক্য ও পারস্পরিক শ্রদ্ধার চেতনাকে আরো সুদৃঢ় করে।

অনুষ্ঠানটি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অব্যাহত থাকে, যেখানে নতুন সাংস্কৃতিক উদ্যোগের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হয়। যা শিক্ষা, শিল্প এবং পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও রাশিয়াকে আরো ঘনিষ্ঠভাবে সংযুক্ত করবে বলে আশা করা হয়।

ঢাকা/হাসান/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা

চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।

কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।

এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।

অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।

একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।

এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।

যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সুন্দরবনে দুবলার চরে রাস উৎসব শুরু আজ, এবারও নেই মেলার আয়োজন
  • শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত
  • ‘মবের’ পিটুনিতে নিহত রূপলাল দাসের মেয়ের বিয়ে আজ
  • এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
  • ডাইনির সাজে শাবনূর!
  • প্রার্থনার সুরে শেষ হলো ‘ফাতেমা রানীর’ তীর্থোৎসব 
  • ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
  • টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
  • উদ্ভাবন–আনন্দে বিজ্ঞান উৎসব
  • নবীনদের নতুন চিন্তার ঝলক