‘চ্যাম্পিয়ন’ রোহিত তিনে, ‘রানার্সআপ’ স্যান্টনার উঠলেন দুইয়ে
Published: 12th, March 2025 GMT
রেকর্ড তৃতীয়বার চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জিতেছে ভারত। দুবাইয়ে ফাইনালে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে দলকে চ্যাম্পিয়ন করতে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দিয়েছেন রোহিত শর্মা। রান তাড়ায় ৭৬ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেই ম্যাচসেরাও হয়েছেন ভারত অধিনায়ক। ফাইনালের সেই পারফরম্যান্স ওয়ানডে র্যাঙ্কিংয়েও এগিয়ে দিয়েছে তাঁকে। আজ প্রকাশিত সর্বশেষ র্যাঙ্কিংয়ে দুই ধাপ এগিয়ে তিনে উঠেছেন রোহিত।
ব্যাটসম্যানদের মধ্যে শীর্ষেও একজন ভারতীয়। ৭৮৪ রেটিং পয়েন্ট নিয়ে ১ নম্বর ভারতের ওপেনার শুবমান গিল। গিল ও রোহিতের মাঝে আছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক বাবর আজম। শীর্ষ পাঁচের বাকি দুজন—দক্ষিণ আফ্রিকার হাইনরিখ ক্লাসেন (৪র্থ) ও ভারতের বিরাট কোহলি (৫ম)। দুজনই পিছিয়েছেন এক ধাপ করে।
রানার্সআপ নিউজিল্যান্ডের ত্রয়ী ড্যারিল মিচেল (এক ধাপ এগিয়ে ছয়ে), রাচিন রবীন্দ্র (১৪ ধাপ এগিয়ে ১৪ নম্বরে) ও গ্লেন ফিলিপসও (ছয় ধাপ এগিয়ে ২৪-এ) বলার মতো এগিয়েছেন।
চোটের কারণে ফাইনালে না থাকায় টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি ম্যাট হেনরি পিছিয়েছেন তিন ধাপ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
দেশের জন্য যা যা করা দরকার, সব করেছেন আহমদ ছফা
আহমদ ছফাকে বুদ্ধিজীবীদের অনেকেই সহ্য করতে পারতেন না। কিন্তু তাঁর বেশির ভাগ কথা এখন সত্যে পরিণত হয়েছে। দেশের সঙ্গে তিনি প্রাণকে যুক্ত করেছিলেন। দেশকে ভালোবেসে যা যা করা দরকার, তার সবকিছু করেছেন।
শুক্রবার বিকেলে আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতায় সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান এসব কথা বলেন। এশীয় শিল্পী ও সংস্কৃতি সভা জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘আহমদ ছফা স্মৃতি বক্তৃতা-২০২৫’ আয়োজন করে। ‘আহমদ ছফার রাষ্ট্র বাসনা এবং জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের পরিচয়’ শীর্ষক স্মৃতি বক্তৃতা দেন বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের পরিচালক ফারুক ওয়াসিফ। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন এশীয় শিল্পী ও সাংস্কৃতিক সভার সভাপতি জহিরুল ইসলাম। আহমদ ছফা (১৯৪৩–২০০১) ছিলেন লেখক, প্রগতিশীল সাহিত্যকর্মী ও রাজনৈতিক চিন্তক।
অধ্যাপক সলিমুল্লাহ খান বলেন, ‘আহমদ ছফা ছিলেন মূলত সাহিত্যিক। তবে তিনি সাহিত্যের গণ্ডি পেরিয়ে চিন্তাকে রাষ্ট্রভাবনা বিষয়ে প্রসারিত করেছিলেন। তিনি ছিলেন অনেক দূরদৃষ্টিসম্পন্ন। তিনি এমন বিষয় নিয়ে চিন্তা করেছিলেন, তা অনেক সময় আমরা বুঝতে পারি না।’ ছফা বলেছিলেন, ‘বিপ্লবের একটি নতুন ভাষা থাকতে হবে। মানুষের রাষ্ট্রের বাসনা বুঝতে হবে। দেশটা আমার নিজের বলে মনে করলে তার সমস্যার সমাধানও আমার নিজের মতো করেই ভাবতে হবে।’
স্মৃতি বক্তৃতায় ফারুক ওয়াসিফ বলেন, আহমদ ছফা রাষ্ট্র নিয়ে গভীরভাবে ভেবেছেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ যে ধরনের দেশ সেই বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করার মতো কোনো তাত্ত্বিক রাজনৈতিক রূপরেখা নেই। কোনো রাজনৈতিক দলও নেই।
ফারুক ওয়াসিফ বলেন, ‘আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পূর্বপরিকল্পনা ছিল না। একাত্তর ছিল অপরিকল্পিত। একইভাবে জুলাই অভ্যুত্থানও হয়েছে অপ্রস্তুতভাবে। এখন জুলাইয়ের নেতারা প্রান্তিক শক্তিতে পরিণত হয়েছেন। বড় দলের যে সামর্থ্য আছে, সেই শক্তি–সামর্থ্য তাদের নেই। তারা মিত্রহীন হয়ে পড়েছে।’
আহমদ ছফার বন্ধু ব্যবসায়ী আবদুল হক বলেন, জনগণ রাষ্ট্রের পরিবর্তন চেয়েছিল। বাংলাদেশের নবীন প্রজন্ম সেই পরিবর্তন ঘটিয়েছে। সারা বিশ্ব দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ প্রতিবাদ করতে জানে। এখন একটি নতুন রাজনীতি দরকার।