পুলিশের মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম বলেছেন, ‘‘৫ আগস্টের আগে আমাদের কী অবস্থা ছিল আপনারা জানেন। আমাদের কিছু সদস্য এবং মোস্টলি সিনিয়র অফিসারদের অতি উৎসাহ ও রাজনৈতিক আনুগত্যের কারণে পুরো পুলিশ বাহিনী কলঙ্কিত হয়েছে।’’

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাস এলাকায় শিল্প পুলিশ-২ এর ইউনিটের বিশেষ কল্যাণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আইজিপি বলেন, ‘‘সরকারি কর্মচারী হয়ে পুলিশের কিসের রাজনৈতিক আনুগত্য থাকবে? কিছুসংখ্যক পুলিশের উচ্চাভিলাষী ও অন্ধ আনুগত্যের কারণে আমাদের জীবন দিতে হয়েছে। এই দায়ভার যিনি জীবন দিয়েছেন তার নয়। এই দায়ভার যিনি অর্ডার করেছেন তার, তাকে অবশ্যই পানিশমেন্ট পেতে হবে। পাশাপাশি যিনি বাধ্য অর্ডার পালন করেছেন, তিনি আদালতে ন্যায়বিচার পাবেন বিশ্বাস করি।’’

এ সময় শ্রমিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘‘শ্রমিক ভাইদের বিশেষভাবে অনুরোধ করছি, আপনারা শিল্প কারখানায় ভাঙচুর করবেন না। কোনো গুজবে কান দেবেন না। আর যারা গুজবে কান দিয়ে ধ্বংসাত্মক কাজে লিপ্ত হবেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’

সড়ক অবরোধ ও ঈদযাত্রা নিয়ে আইজিপি বলেন, ‘‘শ্রমিক ভাইদের কাছে অনুরোধ, দাবি আদায়ে রাস্তা আটকাবেন না। রাস্তা আটকালে লক্ষ লক্ষ মানুষের কষ্ট হয়। ঈদযাত্রায় কোনো বিঘ্ন সৃষ্টি করবেন না। মানুষের চলাচলে বাধা সৃষ্টি করা দণ্ডনীয় অপরাধ।’’

ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশের অ্যাডিশনাল ডিআইজি মো.

ছিবগাত উল্লাহ সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি একেএম আওলাদ হোসেন, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার নাজমুল করিম খান প্রমুখ।

ঢাকা/রেজাউল/রাজীব

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সরকারের ভেতরে একটা অংশ নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে: এনসিপি

সরকারের ভেতরের একটি পক্ষ ঐকমত্য কমিশনের সুপারিশের বাইরে গিয়ে নিজেরাই ঐকমত্য কমিশন হওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন। তিনি বলেন, এই চেষ্টার কারণে নির্বাচন ঝুঁকিতে পড়বে।

আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আখতার হোসেন এ কথা বলেন।

আখতার হোসেন বলেন, তাঁদের কাছে স্পষ্টতই প্রতীয়মান যে সরকারের ভেতরের কোনো একটা অংশ সংস্কারকে ভন্ডুল করে নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা করছে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলাপ–আলোচনার ভিত্তিতেই কমিশন সুপারিশ উপস্থাপন করেছে উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সেই সুপারিশের ভিত্তিতেই সরকার আদেশ জারি করবে, সেটাই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যখন সরকারের তরফ থেকে সংবাদ সম্মেলন করে আরও এক সপ্তাহ রাজনৈতিক দলগুলোকে আলাপ–আলোচনার কথা বলা হয়, তখন মনে হয় যে সরকার আসলে এই সংস্কারের বিষয়গুলো নিয়ে সাপ-লুডো খেলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ৯৬-তে পৌঁছে গিয়েছিলাম, সেটাকে আবার তিনে নিয়ে আসা হয়েছে সাপ কেটে। এ অবস্থায় বাংলাদেশের বর্তমান যে রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তাতে সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে।’

অতি দ্রুত সরকারকে দায়িত্বশীল আচরণ করার আহ্বান জানিয়ে এনসিপির সদস্যসচিব বলেন, সরকারকে নিজেকেই দায়িত্ব নিয়ে জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি করতে হবে। সামনের সংসদকে গাঠনিক ক্ষমতা প্রদান করার মধ্য দিয়ে সংবিধান সংস্কার পরিষদ হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। গণভোটের মাধ্যমে অর্জিত জনগণের অভিপ্রায় স্বয়ংক্রিয়ভাবে যেন বাস্তবায়িত হয়, সেই সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ