গৃহসজ্জা ও রঙের ক্ষেত্রে গ্রাহকদের অন্যতম প্রধান আকাঙ্ক্ষা হলো দেয়ালের সৌন্দর্য, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা এবং রঙের দীর্ঘস্থায়ী উজ্জ্বলতা। গ্রাহকদের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করতে এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ নিয়ে এলো দেশের প্রথম প্রযুক্তিনির্ভর আল্ট্রা ননস্টিক পেইন্ট, যা অ্যান্টি-স্টেইন পলিমার প্রযুক্তির সমন্বয়ে উন্নত করা হয়েছে। এই অত্যাধুনিক প্রযুক্তি দেয়ালেকে  এমনভাবে সুরক্ষা দেয় যাতে ধুলো-ময়লা এবং দাগ জমতে দেয় না। 

আল্ট্রা ননস্টিক পেইন্টের উন্নত প্রযুক্তি দেয়ালের সৌন্দর্য দীর্ঘস্থায়ী করে, সেইসঙ্গে ঘরের অভ্যন্তর ও বাইরের উভয় ক্ষেত্রেই বাড়ির দেয়াল দীর্ঘদিন ধরে উজ্জ্বল ও দৃষ্টিনন্দন রাখতে সহায়তা করে। এই পেইন্ট ইন্টেরিয়র এবং এক্সটেরিয়র উভয় ক্ষেত্রে সৌন্দর্যের নতুন মাত্রা যোগ করে। আল্ট্রা ননস্টিক ইন্টেরিয়র প্রিমিয়াম ইমালসন ঘরের অভ্যন্তরের দেয়ালের জন্য তৈরি, যা সাধারণ প্লাস্টিক পেইন্টের তুলনায় ৫ গুণ মসৃণতা এবং ২ গুণ বেশি উজ্জ্বলতা প্রদান করে। এটি দেয়ালে নরম ও চকচকে ফিনিশ এনে বিলাসবহুল পরিবেশ তৈরি করে। বাইরের দেয়ালের জন্য, আল্ট্রা ননস্টিক এক্সটেরিয়র প্রিমিয়াম ইমালসন ব্যবহৃত হয়, যার ডাস্ট পিক-আপ রেজিস্ট্যান্স প্রযুক্তি ধুলো জমতে দেয় না, ফলে রঙ দীর্ঘদিন উজ্জ্বল ও জীবন্ত থাকে।

এশিয়ান পেইন্টস বাংলাদেশ শুধুমাত্র রঙের সৌন্দর্যের উপর গুরুত্ব দেয় না, বরং দেয়ালের স্থায়িত্ব এবং পরিবেশবান্ধব উদ্ভাবনে সচেতন। আল্ট্রা ননস্টিক পেইন্ট কম ভিওসি নির্গমনকারী, যা ঘরের বাতাসকে বিশুদ্ধ রাখে এবং স্বাস্থ্যবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স ট ক প ইন ট র স ন দর য আল ট র ইন ট র

এছাড়াও পড়ুন:

বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ

চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।

নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।

গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।

আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।

গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ