আদালতে আত্মসমর্পণ করার ইঙ্গিত দিয়েছেন সিলেট জেলা ছাত্রলীগের (নিষিদ্ধ ঘোষিত) সভাপতি নাজমুল ইসলাম। বুধবার রাত ১টার দিকে সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক তাঁর পেজে দেওয়া একটি পোস্টে এই ইঙ্গিত দেন তিনি। তার এই পোস্টের পর অনেকেই নানা মন্তব্য করেছেন। 

পোস্টে নাজমুল ইসলাম লিখেছেন, ‌একজন রাজনৈতিক কর্মীর জন্য কারাগার দ্বিতীয় বাড়ির মতো। আমাদের যাদের ভবিষ্যতে দেশে রাজনীতি করার ইচ্ছা আছে আমাদের প্রত্যেককেই আত্মসমর্পণ করার প্রস্ততি নিতে হবে। আদালতে আইনি লড়াইয়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে আমি, আমরা নির্দোষ নাকি অপরাধী? খুব শিগগিরই আমি এই কাজটি করব। কাপুরুষের মতো পালিয়ে থেকে বাঁচার চেয়ে কারাগারে বীরের মতো মৃত্যুবরণ করাটাই আমার কাছে সম্মানের।

এদিকে তাঁর এই পোস্টের পরপরই শুরু হয়েছে আলোচনা। কেউ কেউ তার এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। কেউ বলছেন- এখন আত্মসমর্পণ করার সময় হয়নি। আত্মসমর্পণ করলে বিপদ অনিবার্য।  

হুমায়ুন এ জনি নামে একজন মন্তব্যের ঘরে লিখেছেন, ‘আর ভাল্লাগে না ভাই। রাজনীতির পাঠশালা কারাগারে থেকে নতুন করে শুরু করি।’

এম সরওয়ার জাহান মামুন লিখেছেন, সঠিক সিদ্ধান্ত। কারণ রাত যত গভীর হয় প্রভাত তত নিকটে আসে। 

স্বপন আহমদ নামে একজন লেখেন, হ্যাঁ! এটাই একজন রাজনীতিবিদের সঠিক সিদ্ধান্ত।

এস এ সাদিক নামেব একজন লেখেন, ‘ভাই জীবনেও ধরা দিও না। ভালা বুদ্ধি দেয়ার অন্য দেশে স্থায়ী বসবাসের চিন্তা কর। আপাতত জীবিত থাকলে পরে রাজনীতি। 

দিলসাদ আহমদ নামে একজন লেখেন, প্রকৃত রাজনৈতিক নেতার চিন্তা চেতনা এই রকমই থাকা প্রয়োজন। 

ফুয়াদ আল আমিন নামে একজন মন্তব্য করেন, ‘এই সাহস যদি করেন ভাই বিশ্বাস করেন বাংলাদেশের পটপরিবর্তনের আন্দোলনে নেতাকর্মীদের আলাদা একটি শক্তি সঞ্চালন করবে। আপনার সভাপতি হওয়াটা যেমন অবাক ইতিহাস, এমন আরেক ইতিহাস হয়ে থাকবেন।’

কামরান আহমদ নামে একজন মন্তব্য করেন, সাধারণ কর্মীরা কি চায় আপনাদের কাছে এটা আপনাদের জানতে হবে। কর্মীরা আপনাদের কাছে টাকা পয়সা কিছুই চায় না, ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়েও চায়নি। এখনও সময় আছে আপনার কর্মীদের খোঁজখবর নেন। এদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। এরা রাজপথে থাকলেই আপনারা ফিরতে পারবেন। আওয়ামী লীগ খুব শিগগির রাজপথে ব্যাক করবে। আপনার আপনাদের মুখ তখন কীভাবে দেখাবেন একটু চিন্তা করুন.

?’

জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর নাজমুল ইসলামসহ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় অনেক নেতা ভারতে চলে যান। বর্তমানে নাজমুল সৌদি আরবে অবস্থান করছেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আপন দ র র জন ত আপন র

এছাড়াও পড়ুন:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। এতে একজন শিক্ষকসহ হোটেলের দুই কর্মচারী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। আহত তিনজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বড়িকান্দি ইউনিয়নের বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকে উভয় পক্ষের লোকজন এলাকা ছেড়ে পালিয়েছেন।

নিহত ব্যক্তির নাম শিপন মিয়া (৩০)। তিনি বড়িকান্দি ইউনিয়নের নুরজাহানপুর গ্রামের মোন্নাফ মিয়া ওরফে মনেক মিয়ার ছেলে। নবীনগর থানা সূত্রে জানা গেছে, ওই দুজনের বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে।

গুলিবিদ্ধ আহত ব্যক্তিরা হলেন বড়িকান্দি ইউনিয়নের থোল্লাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা এমরান হোসেন (৩৮) এবং হোটেলের দুই কর্মচারী—উপজেলার আলমনগর গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে ইয়াসিন মিয়া (২০) ও চরলাপাং গ্রামের রশিদ মিয়ার ছেলে নুর আলম (১৮)। এমরান উপজেলার শ্যামগ্রামের মোহিনী কিশোর স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক। তাঁর ভাই ঢাকায় কর্মরত পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) বিল্লাল হোসেন।

বড়িকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লুৎফুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মনেক ডাকাত এলাকাটা শেষ করে ফেলেছেন। তাঁর কারণেই এলাকায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বেড়েছে। মনেক ডাকাতদের কারণেই এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিতে মনেক ডাকাতের ছেলে নিহত হয়েছেন।

স্থানীয় লোকজন, প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, এলাকায় মোন্নাফ মিয়া ও তাঁর ছেলে শিপনের দীর্ঘদিন ধরে একক প্রভাব ছিল। তাঁদের সঙ্গে একই এলাকার থোল্লাকান্দি গ্রামের মিস্টার মিয়ার ছেলে আরাফাত মিয়ার বিরোধ চলছিল। শনিবার রাত আনুমানিক নয়টার দিকে বড়িকান্দি গণি শাহ মাজার বাজারের একটি হোটেলে শিপন মিয়া আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের জেরে আরাফাতের নেতৃত্বে সশস্ত্র একটি দল হোটেলে ঢুকে গুলি চালায়। এতে শিপনসহ হোটেলের দুই কর্মচারী ইয়াসিন ও নুর আলম গুলিবিদ্ধ হন। গুলির শব্দে বাজারজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। হামলার পর আরাফাত ও তাঁর সহযোগীরা দ্রুত পালিয়ে যান।

শিপনের গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর নুরজাহানপুরে পৌঁছালে মোন্নাফ মিয়ার নেতৃত্বে একদল লোক গণি শাহ মাজারের অদূরে তালতলায় এমরান হোসেনের কার্যালয়ে হামলা চালান। সেখানে এমরান গুলিবিদ্ধ হন। এরপর তাঁরা থোল্লাকান্দি গ্রামে হামলা চালিয়ে একাধিক বাড়িঘর ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। রাতে ঘটনাস্থলে অভিযান চালালেও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। কারণ, উভয় পক্ষের লোকজন বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। সংঘর্ষ এড়াতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নবীনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, গুলিবিদ্ধ কাউকেই শনিবার রাতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়নি। তাঁদের হয়তো অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, শিপনের ওপর হামলাকারী আরাফাত থোল্লাকান্দি গ্রামের এমরান হোসেনের আত্মীয়। এ কারণেই এমরানের কার্যালয়ে গিয়ে হামলা এবং তাঁকে গুলি করা হয়েছে।

নবীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহিনুর ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত শিপন ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। শিপন ও তাঁর বাবার বিরুদ্ধে হত্যা, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে অন্তত ২০টি মামলা আছে। ওই ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। ঘটনার পর থেকে সবাই পলাতক। তাই কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • বগুড়ায় বাড়িতে হাতবোমা তৈরির সময় বিস্ফোরণ, আহত একজন গ্রেপ্তার
  • দখলদারদের কাছে প্রশাসনের আত্মসমর্পণ
  • ‘সাংস্কৃতিক জাগরণেই মুক্তি’
  • যদি ঠিক পথে থাকো, সময় তোমার পক্ষে কাজ করবে: এফ আর খান
  • বিবাহবিচ্ছেদ ও খোরপোষ নিয়ে ক্ষুদ্ধ মাহি
  • ফতুল্লায় দুই ট্রাকের মাঝে পড়ে যুবকের মৃত্যু
  • ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই পক্ষের সংঘর্ষে ২০ মামলার আসামি নিহত, গুলিবিদ্ধ ৩
  • রাজধানীর দক্ষিণখানে নিজ বাসা থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
  • নির্বাচনের আগে একটি দল জাতির মধ্যে বিভক্তি সৃষ্টি করতে চায়: সালাহউদ্দিন আহমদ
  • টেকনাফে মোটরসাইকেলে বাসের ধাক্কা, নিহত ১