সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলায় সাত বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় আসামির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন উপজেলার ছাত্র-জনতা। আজ শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলা সদরের ধানগড়া পুরোনো চৌরাস্তা মোড়ে সমাবেশের ডাক দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধিরা।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী বলেন, সমাবেশে অভিযুক্তের শাস্তি দাবি করে বিভিন্ন স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারী ছাত্র–জনতা। এতে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলে অনেকেই ধর্ষণবিরোধী ও অভিযুক্তের শাস্তি দাবিসংবলিত বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড বহন করেন। পরে মিছিলটি ধানগড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়।

আরও পড়ুনসিরাজগঞ্জে শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে কিশোরের বিরুদ্ধে মামলা৫ ঘণ্টা আগে

বক্তব্য দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছাত্র প্রতিনিধি সাইমুজ্জামান শ্রাবণ, শেখ রিয়াদ, আশিক আহমেদ প্রমুখ। তাঁরা দ্রুত অভিযুক্ত ব্যক্তির উপযুক্ত শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানান।

ওই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে শিশুটির বাবা বাদী হয়ে রায়গঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। এতে ১৪ বছরের এক কিশোরকে আসামি করা হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রায়গঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, মামলা হওয়ার পর আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অভিযান চলছে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন

প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।

শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্‌রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।

আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

রাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।

কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।

দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।

২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।

প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।

আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।

সূত্র: এনবিসি নিউজ

আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ